রাসূল (ﷺ) এর নূর হওয়া ও মানুষ হওয়া সম্পর্কে হুকুম কী? قل إنما أنا بشر ও قد جائكم من الله نور আয়াতদুটির শানে নুযুল কী?

 

❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ) এর নূর হওয়া ও মানুষ হওয়া সম্পর্কে হুকুম কী? قل إنما أنا بشر ও قد جائكم من الله نور আয়াতদুটির শানে নুযুল কী?

✍ জবাব : حامدا ومصليا ومسلما   মুহাম্মাদ (ﷺ) এর বাস্তবতা সম্পর্কে মানুষের বিবেক ও আদম সন্তানের ইলম সংকীর্ণ ও অক্ষম। আল্লাহ তা‘আলা জানেন। রাসূল (ﷺ) নুরানিয়াত ও বশরিয়াত উভয় গুণের সমন্বয়কারী। রাসূল (ﷺ) ফেরেশতাদের সরদার এজন্য নুরী বলে, মানুষের সরদার এই জন্য মানুষ বলে।



শুধু মানুষ মানুষ বলা কুফুরী ও কাফেরদের অভ্যাস এবং নবুওয়াতে বিপরীত। আবার শুধু নূর বলাও রেসালত ও তাবলীগের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক। রাসূল (ﷺ) নূরও। قد جائكم من الله نور  ইবাদাতের দিক থেকে নূর। আবার قل إنما أنا بشر অভ্যাস ও তাবলীগ রেসালাতের দিক থেকে মানুষও। শুধু মানুষ বলা হারাম।



قل إنما أنا بشر এই আয়াত কাফেরদের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে। যারা বলতো যে মানুষ সে নবী কিভাবে হবে? কারণ মানুষ মানবিক প্রয়োজন পূরণের পিছনে ব্যস্ত থাকে। রাসূল তো তা পবিত্র হওয়া উচিত। সুতরাং সেও আমাদের মতো মানুষ। তাদের প্রতিবাদের জন্য এই আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে।



قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ আপনি কাফের মোশরেকদেরকে বলে দিন, আমি তো মানুষ আমার সাথেও মানবিক প্রয়োজন আছে। তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে অহী প্রাপ্ত। অতুলনীয় দৃষ্টান্তহীন মানুষ। জিনও নই, ফেরেশতাও নই। কথা এতটুকু যে, আমার কাছে অহী আসে। তোমাদের মাবুদ শুধু একজন, তার সাথে কাউকে শরীক করো না।



ইয়াহুহীরা তাদের কিতাব তাওরাতের কিছু আয়াত গোপন করতো, কিছু প্রকাশ করতো। আল্লাহ তা‘আলা এবিষয়টি রাসূল (ﷺ)কে জানালেন। তার নূর নবুওয়াতের দ্বারা তার এই বিষয়টি খুব স্পষ্ট হয়ে গেলো। এ বিষয়টি এই আয়াতে বলেন, আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে রাসূলের আগমন ঘটেছে। কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। ইহুদীদের বাস্তবতা জানা হয়েছে।



আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে সম্মানিত নূর এসেছে। সংরক্ষিত কালাম কোরআনও অবতীর্ণ হয়েছে। চিরস্থায়ী সত্তার চিরস্থায়ী কালাম বোঝা মানব সাধ্যের বাহিরে। কারণ মানুষ তো অস্থায়ী। কিভাবে কদীম কালাম বুঝবে। তাই এটা বুঝা ও বুঝানোর জন্য নূরে নবুওয়াতের পয়োজন আছে।


সুতরাং সেই সম্মানিত নবুওয়াতী নূর পাঠালেন, এরপর চিরস্থায়ী কালাম অবতীর্ণ করলেন। আল্লাহ তা‘আলা লাতিফ। আর মানুষ ঘন। অতএব লাতিফ যাত থেকে ঘন যাত ফয়য, বরকত ও রহমত পাওয়ার জন্য নূর নবুওয়াতের মাধ্যম প্রয়োজন। সেদিকে ইঙ্গিত করে বলেন, قَدْ جَاءَكُمْ مِنَ اللَّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُبِينٌ আসল কিতাবের বাহক সেই হয় যে সকল নবীগণের সরদার হয় এবং যার সাথে খালেকের সাথে সম্পর্ক থাকে এবং মাখলুকের অন্তর্ভূক্ত হয়। এমন ব্যক্তি চিরস্থায়ী কালাম বুঝে ও বুঝায়।



সুতরাং রাসূল (ﷺ) নূরও মানুষও। এর বাস্তবতা ও ধরণ আল্লাহ তা‘আলা জানেন। মানুষ এর থেকে অক্ষম।

______________

ফতোয়ায়ে আজিজিয়া (১ম খন্ড) [অসম্পূর্ণ]

মূলঃ আল্লামা আজিজুল হক আল কাদেরী (رحمة الله)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন