ইহুদিদের মধ্যেও একদল বোনকে তার ভাইয়ের সমান অধিকার ও মর্যাদা দিতে সম্মত ছিল না। ইহুদি সমাজে নারীর মান ছিল নিছক সেবিকার সমান। নারীদেরকে তাদের ভাইদের ন্যায় সম্পত্তির উত্তরাধিকারের অংশ দেওয়া হতোনা এবং পিতা তার প্রাপ্ত বয়স্ক কিংবা অপ্রাপ্ত মেয়েকে বিক্রি করে দেওয়ার অধিকার রাখতো।
খ্রিস্ট ধর্মে নারী
খ্রিস্টান পাণ্ডিতরা তাদের ধর্মগ্রন্থের উদ্বৃতি দিয়ে প্রচার করে যে, “নারীকে লজ্জায় মরে যাওয়ার জন্যে এতটুকু কথাই যথেষ্ট যে, সে নারী। তাছাড়া মানুষকে পৃথিবীতে পাঠানোর মতো অবমাননার কারণও এই নারী। তাদের মতে নারী হচ্ছে নরকের দরজা এবং পাপের প্রতিমা।” তারা মনে করে ‘নারী হচ্ছে শয়তানের সন্তান।” তারা আরো বলেছে- “নারীদের উপর অভিশাপ করা অপরিহার্য, কারণ বিপথগামিতার আসল কারণ তারাই।” খ্রিস্টান পাদ্রিদের শংকা ছিল যে, নারীরা কি পুরুষদের মতো খোদার উপসনা করতে পারবে? নারী কি স্বর্গে যেতে পারবে? নারীর মধ্যে কি মানবিক আত্মা আছে? নাকি তারা ভৌতিক জীবন-যাপন করে? এই ছিল খ্রিস্টান ধর্মে নারী সম্পর্কে ধারণা।
বৌদ্ধ ধর্মে নারী
বৌদ্ধ ধর্মে নারীর অবস্থা ছিল অত্যন্ত হীন ও তুচ্ছ। বুদ্ধদেব স্বয়ং স্ত্রী পুত্র, সংসার পরিত্যাগ করে সন্যাসী জীবন-যাপন করেন। নারীদেরকে তিনি মোহের বাস্তব স্বরূপ ও মানবাত্মার নির্বাণ লাভে বিঘ্ন বলে মনে করতেন। বৌদ্ধরা নারীকে সর্বপ্রকার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখতো। নারীরা পূজা-অর্চনায় যোগদান কিংবা স্বাধীনভাবে ধর্মালোচনা করতে পারতো না। মন্দিরে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।
________________
কিতাব: নন্দিত নারী
লেখক: হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ওসমান গণি
আরবি প্রভাষক, জামেয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা, ষোলশহর, চট্টগ্রাম।
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন