বিকৃত মস্তিস্ক শিশু-
হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক মহিলা তার এক বিকৃত মস্তিসস্ক শিশু সন্তানকে নিয়ে বারেগাহে রিসালাত-এ উপস্থিত হয়ে নিবেদন করল- হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ), আমার এই সন্তান জ্ঞানহারা। সকাল-গৌধুলি সে জ্ঞানলুপ্ত হয়ে পড়ে, অতিশয় উন্মাদনা করে।
فَمَسَحَ رَسُولُ اللَّهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدْرَهُ وَدَعَا
-‘‘তখন নবীজি (ﷺ) ঐ সন্তানের বক্ষ মর্দন করলেন এবং তার জন্য দু‘আ করলেন।’’ এমন মুহুর্তে ঐ ছেলেটি বমি করে দিল এবং তার পিট থেকে কুকুর ছানা জাতীয় কিছু পেছনের দিকে বের হয়ে পালিয়ে গেল। সাথে সাথে সে সুস্থতা বোধ করল। ৬৪
{৬৪.খতিব তিবরিযি, মিশকাত শরীফ, ৩/১৬৬৫ পৃ. হা/৫৯২৩, ইমাম আহমাদ, আল-মুসনাদ, ৪/৩৭ পৃ. হা/২১৩৩, ইমাম দারেমী, আস-সুনান, ১/১৭০ পৃ. হা/১৯, ইমাম তাবরানী, মু‘জামুল কাবীর, ১২/৫৭ পৃ. হা/১২৪৬০, ইমাম ইবনে আবি শায়বাহ, আল-মুসান্নাফ, ৫/৪৭ পৃ. হা/২৩৫৮০}
আক্বিদা
সাহাবায়ে কিরাম আলাইহিমুর রিদ্বওয়ান দুঃখ ও হতাশার নিরসনে রাসূলে খোদা (ﷺ) এর দরবারে উপস্থিতি দিতেন। তিনি (ﷺ) তাদের পক্ষে দু‘আ করতেন। সমস্যা বিদূরিত হয়ে যেত। নবীজি (ﷺ) এর হাত মুবারক-এ আরোগ্যদান নিহিত। তাঁর দোয়ার বদৌলতেই সমূহ বালা মুসিবত দূরীভূত হয়।
বৃক্ষগুচ্ছ কর্তৃক নবীজির হুকুম মান্য করণ-
সাহাবিয়ে রাসূল (ﷺ) হযরত ইবনু ‘আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন- রাসূলে খোদা (ﷺ) এর রাজদরবারে এক গেঁয়োলোক এসে জিজ্ঞেস করল-
بِمَ أَعْرِفُ أَنَّكَ نَبِيٌّ؟
-‘‘আপনি যে আল্লাহর নাবী, তা তা আমি কীভাবে সত্যায়িত হব?’’ তদুত্তরে নবীজি (ﷺ) ইরশাদ করলেন- এই খেজুর বৃক্ষগুচ্ছকে আহ্বান কর, সেই সাক্ষ্য দেবে যে, আমি আল্লাহর প্রেরিত নাবী কিনা।
فَدَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ يَنْزِلُ مِنَ النَّخْلَةِ حَتَّى سَقَطَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
-আল্লাহর প্রিয়নবী (ﷺ) পার্শ্বে থাকা খেজুর বৃক্ষগুচ্ছকে আহ্বান করলে ঐবৃক্ষ সমূলে দরবারে মোস্তফায় (ﷺ) হাজিরা দিতে সমূহ প্রস্তুতি গ্রহণ করল। নবীজি (ﷺ) বললেন-
قَالَ: ارْجِعْ فَعَادَ، فَأَسْلَمَ الأَعْرَابِيُّ
-“হে বৃক্ষগুচ্ছ, তুমি ফিরে যাও। তখন খেজুরের ঐ বৃক্ষগুচ্ছ আপন অবস্থায় ফিরে এল আর ঐ বেদুইন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ফেললেন।’’ ৬৫
{৬৫. ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান, ৫/৫৯৪ পৃ. হা/৩৬২৮, ইমাম তিরমিযি (رحمة الله) এটিকে সংকলন করে বলেন- هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ -‘‘এই হাদিসটি হাসান, গরীব, সহীহ।’’ ইমাম খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ৩/১৬৬৬ পৃ. হা/৫৯২৬}
‘আক্বিদা
রাসূলে আকরাম (ﷺ) সমগ্র জাহানের নবী। আর তাঁরই হুকুম সমগ্র পৃথিবীব্যাপী। গাছপালা এবং পাথরাদি তাঁকে চিনেন, জানেন এবং তাঁর নির্দেশনা মান্য করেন। আর যে হতভাগা নিজেকে মুসলিম দাবি করে সরওয়ারে কায়েনাত (ﷺ) কে আদেশ ও নির্দেশদাতা (حَاكِمْ) হিসেবে অমান্য করে তারা হলো বড়ই দুর্ভাগা।
❏ আ‘লা হযরত আযীমুল বরকাত শাহ ইমাম আহমাদ রেযা খাঁন ফাযেলে বেরলভী (رحمة الله) বলেন-
وصلى الله على نور كزوشد نور ہا پيدا
زمين از حب او ساكن فلك در عشق اوشيدا
তিনিই খোদার জ্যোতি, ছায়া কুদরতি
সে তো সবার তরে, তারই তো সবি।
তিনি অতুল অতি, নয় মত তার সৃজনরাজি
না আকাশ না ভুবনরাজি, না তো সময়াদি। ৬৬
{৬৬. হাদাইক্বে বখশিশ।}
____________________
আকাইদে সাহাবাহ
(সাহাবায়ে কিরামদের সাথে সুন্নি আক্বিদার সাদৃশ্য)
মূল:আল্লামা আবুল হামিদ মুহাম্মদ যিয়াউল্লাহ
ক্বাদেরী আশরাফী (رحمة الله)
বঙ্গানুবাদ: মাওলানা হাফেয মুহাম্মদ আতিকুর রহমান
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন