বেহেশতি রমণী

 

বেহেশতি রমণী-


হযরত ‘আত্বা ইবন আবু রিবাহ (রাদ্বি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- একদা হযরত ইবনু ‘আব্বাস (رضي الله عنه) আমাকে প্রশ্ন করে বসলেন-



أَلَا أُرِيكَ امْرَأَةً مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ؟



‘আমি কি তোমায় কোন এক জান্নাতি রমণীর দেখিয়ে দেব?’ আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন- ঐ কালো বর্ণের মহিলা সাহাবি, যিনি দরবারে মুস্তফায় এসে প্রার্থনা করেছেন-‘হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ), আমার মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে আর আমার অন্তরাত্মা বিষাদগ্রস্থ।’



فَادْعُ اللهَ لِي



-‘আপনি বারেগাহে ইলাহিতে আমার পক্ষে দু‘আ করুন।’



প্রত্তুত্তরে নবীজি (ﷺ) ইরশাদ করলেন-



إِنْ شِئْتِ صَبَرْتِ وَلَكِ الْجَنَّةُ، وَإِنْ شِئْتِ دَعَوْتُ اللهَ أَنْ يُعَافِيَكِ



-‘যদি তুমি চাও ধৈর্য্যধারণ করে জান্নাতে গমন করতে পার নতুবা তোমার পক্ষে আল্লাহর দরবারে দু‘আ করছি, তোমাকে আরোগ্য দান করবেন।’ মহিলা সাহাবি বললেন- আমি ধৈর্য্যধারণ করব তবে আমার অন্তরাত্মা বিষাদগ্রস্থ। এতটুকু দু‘আ করুণ যেন বিষাদগ্রস্থ না হয়। রাসূলে মাকবুল (ﷺ) তার অন্তরাত্মার জন্য দু‘আ করলেন।  ৭১


{৭১ .ইমাম মুসলিম, আস-সহীহ, ৪/১৯৯৪ পৃ. হা/২৫৭৬, ইমাম বুখারী, আস-সহীহ, ৭/১১৬ পৃ. হা/৫৬৫২, খতিব তিবরিযি, মিশকাতুল মাসাবীহ, ১/৪৯৬ পৃ. হা/১৫৭৭}



‘আক্বিদা


সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه) কে যখন কোনো দুঃখ-দুর্দশা পেয়ে বসত, তখন তাঁরা দরবার মুস্তফায় (ﷺ) এসে উত্তরণের জন্য প্রার্থনা করতেন। আর হুযুর (ﷺ) তাঁদের পক্ষে দু‘আ করলে তাঁদের সমূহ দুঃখ-দুর্দশা দূরীভূত হয়ে যেত। যেহেতু মহান আল্লাহ তাঁকে মুখ্তারে কুল (সমগ্র জাহানের অধিকারপ্রাপ্ত) হিসেবে নির্বাচন করেছেন। ফলে কখনো তিনি জান্নাতও দান করতেন।



كس چيز كى كمى ہے آقا تيرى گلى ميں


دنيا تيرى گلى ميں عقبى تيرى گلى ميں



কী আশীষ কমতি তব গলি ঘিরে


ইই-পর সবটুকু গলি ঘুরে ফিরে।


____________________

আকাইদে সাহাবাহ

(সাহাবায়ে কিরামদের সাথে সুন্নি আক্বিদার সাদৃশ্য)

মূল:আল্লামা আবুল হামিদ মুহাম্মদ যিয়াউল্লাহ

ক্বাদেরী আশরাফী (رحمة الله)

বঙ্গানুবাদ: মাওলানা হাফেয মুহাম্মদ আতিকুর রহমান

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন