দাঁড়িয়ে জিকির করা


দাঁড়িয়ে জিকির করা


এ সম্পর্কে কিছু কথা বলা প্রয়ােজন। ফোকাহায়ে কেরামের দৃষ্টিতে মহব্বতের জোসের কারণে দাঁড়িয়ে আল্লাহর জিকির করা জায়েয। আর্থাৎ, জিকির করতে করতে ইশকের কারণে দাঁড়িয়ে জিকির করাতে কোন দোষের কিছু নেই। তবে সীমালঙ্গন কারীকে আল্লাহ পাক পছন্দ করেন না। দাড়িয়ে জিকির করা প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তা'লা এরশাদ করে:

الذين يرون الله قياما وقعودا وعلى جنوبهم

"তারাই তত্ত্বজ্ঞানী যারা দাঁড়িয়ে বসে ও শুয়ে আল্লাহর জিকির করেন।" (সূরা আলে ইমরান: ১৯১ নং আয়াত)


এ বিষয়ে অপর আয়াতে উল্লেখ আছে,

فإذا قضيه الصلاة فاذروا الله قياما وقعودا وعلى جثوبكم

-"যখন তােমরা নামাজ সম্পন্ন করবে তৎপর দাঁড়ানাে, বসা ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহর জিকির করবে।" (সূরা নিছা: ১০৩ নং আয়াত)

উল্লেখিত আয়াতদ্বয় দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, দাড়ানাে, বসা ও শুয়া অবস্থায় আল্লাহ তা'লার জিকির করা স্বয়ং আল্লাহ তা'লা কতৃক অনুমােদিত ও নির্দেশিত। তাই দাঁড়িয়ে জিকির করাকে এনকার বা তিরস্কার করা মূলত পবিত্র কোরআনের তিরস্কার বা বিরুধিতা করার নামান্তর। যেহেতু পবিত্র কোরআনে সরাসরি দাঁড়িয়ে জিকিরের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে সেহেতু এ বিষয় প্রমাণের জন্য হাদিসের দলিল প্রয়ােজন মনে করছি না। কারণ কিতাবুল্লাহ দ্বারা কোন বিষয় প্রমাণিত হলে আর কোন দলিলের প্রয়ােজন হয়না। যারা আল্লাহর জিকির থেকে গাফিল থাকবে তাদের ব্যাপারে আল্লাহর বক্তব্য হচ্ছে:

فويل للقاسية قلوبهم من ذكر الله أولئك في ضلال مبين

-"সর্বনাশ সেই সব লােকের জন্য, যাদের ক্বালব আল্লাহর জেকের হতে গাফেল হয়ে গেছে। আর তারা চরম পথভ্রষ্টার মধ্যে রয়েছে।" (সূরা জুমার: ২২ নং আয়াত)


তাই যারা আল্লাহর জিকির থেকে গাফিল রয়েছে তারা অবশ্যই পথভ্রষ্টতার মধ্যে রয়েছে। আর যারা আল্লাহর জিকির থেকে বাধা দেয় তারা আরাে গােমরাহীর মধ্যে রয়েছে। সুতরাং ক্বাল্বে জিকির জারি রাখাই মুমীনের কাজ।

______________________

শরীয়তের দৃষ্টিতে ক্বালবী জিকির ও ছামার বৈধ্যতা

রচনা ও সংকলনেঃ মুফতি মাওলানা আলাউদ্দিন জেহাদী

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন