জানাযার নামায


মৃত ব্যক্তিকে গোসল দিয়ে কাফন পরানোর পরে তার জন্য দু‘আ-প্রার্থনা করে যে নামায পড়া হয়, তাকে জানাযার নামায বলে।


মৃত ব্যক্তির খাটকে সকলের সম্মুখে রাখবে। মৃত ব্যক্তির মাথা উত্তর দিকে এবং পা দক্ষিণ দিকে রাখবে। ইমাম মৃত ব্যক্তির সিনা বরাবর দাঁড়াবে। জানাযার নামায চার তক্বীরের সাথে আদায় করতে হয়। জানাযার নামাযের নিয়ত হলো-


نَوَيْتُ أَنْ اُوَدِّىَ لِلّٰهِ تَعَالٰى اَرْبَعَ تَكْبِيْرَاتِ صَلٰوةِ الْجَنَازَةِ فَرْضُ الْكِفَايَةِ اَلثَّنَاءُ لِلّٰهِ تَعَالٰى وَالصَّلٰوَةُ  عَلَى النَّبِىِّ وَالدُّعَاءُلِهَذَا الْمَيِّتِ / لِهَذِهِ الْمَيِّتِ اِقْتِدَيْتُ بِهَذَا الاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلٰى جِهَةِ الْكَعْبِةِ الشَّرِيْفَةِ اَللهُ أَ  كْبَرُ.


উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন্ উওয়াদ্দিয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবা‘আ তাক্বীরাতি ছলা-তিল্ জ্বানাযাতি ফারদ্বুল্ কেফাইয়াতি আছ্ছানাউ লিল্লাহি তা‘আলা ওয়াছ্সালাতু আলান্নাবিয়্যি ওয়াদ্দু’আ-উ লিহা-যাল্ মাইয়্যিতি এক্বতাদাইতু বিহা-যাল্ ইমামি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জ্বিহাতিল্ কা‘আবাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।



অর্থ: আমি নিয়ত করলাম আল্লাহ্ তা‘আলার জন্য চার তাকবির ফরযে কিফায়া জানাযার নামায আদায় করব। প্রশংসা আল্লাহ্ তা‘আলার জন্য এবং দরূদ শরীফ রাসূলে করিম (ﷺ)ের জন্য। আর দু‘আ এই মৃতের জন্য। আমি ইক্তিদা করলাম এই ইমামের পিছনে কিবলার দিকে মুখ করে। আল্লাহ মহান। (প্রথম তাকবির বলে নামাযের নিয়ত বাঁধার পর নিচের দু‘আটি পড়বে)



ছানা


سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَ وَجَلَّ ثَنَاءُكَ وَلَآ إلٰهَ غَيْرُكَ.


উচ্চারণ: সুব্হানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহাম্দিকা ওয়াতাবা রাকাস্মুকা ওয়া তা’আলাজ্বাদ্দুকা ওয়া জ্বাল্লা ছানাউকা ওয়ালা ইলা-হা গাইরুকা।


অর্থ: হে আল্লাহ্! আমি তোমাকে তোমার পবিত্র এবং প্রশংসার সাথে স্মরণ করছি এবং তোমার বরকতময় নাম এবং উচ্চ মর্যাদার সাথে প্রশংসা করছি এবং তুমি ব্যতিত কোন মা’বুদ নাই।



দ্বিতীয় তাকবির ‘আল্লাহু আকবর’ বলে নামাযের মধ্যে যে দরূদ শরীফটি পড়া হয় উহা পড়বে।



দরূদ শরীফ



اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا  مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى سَيِّدِنَا  إبْرَاهِيمَ وَعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا  إبْرَاهِيمَ إنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيدٌ ، اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى سَيِّدِنَا  اِبْرَاهِيمَ وَعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا  إبْرَاهِيْمَ إنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ .


উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সায়্যিদি-না মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলা আলে সায়্যিদি-না মুহাম্মাদিন্ কামা ছাল্লাইতা আলা সায়্যিদি-না ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলে সায়্যিদি-না ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামিদুম্ মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক্ আলা সায়্যিদি-না মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলা আলে সায়্যিদি-না মুহাম্মাদিন্ কামা বারাক্তা আলা সায়্যিদি-না ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলে সায়্যিদি-না ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।



তারপর তৃতীয় তাক্বীর বলে নিচের দু‘আটি পড়বে।



মৃতের জন্য দু‘আ



اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَصَغِيْـرِنَا وَكَبِيْـرِِنَا وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا اللَّهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الْإِسْلَامِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلٰى الْإِيمَانِ.


উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাগ্ফির লিহায়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়া শা-হিদিনা ওয়া গা-য়িবিনা ওয়া ছগীরিনা ওয়া কাবীরিনা  ওয়া যাকারিনা ওয়া উন্ছা-না। আল্লাহুম্মা মান্ আহ্ইয়াইতাহূ মিন্না ফাআহ্য়িহী আলাল্ ইসলামি, ওয়ামান্ তাওয়াফ্ফাইতাহূ মিন্না ফাতাওয়াফ্ফাহু আলাল্ ঈমা-ন।


ইহা পড়ে চতুর্থ তক্বীর বলে ডান ও বাম দিকে সালাম ফিরাবে।



মুর্দা বালক তথা নাবালেগ হলে তৃতীয় তক্বীরের পর উপরোক্ত দু‘আর পরিবর্তে এই দু‘আ পড়বে-


اَللّٰهُمَّ اجْعَلْه لَنَا فَرْطًا وَّاجْعَلْه لَنَا اَجْرًا وَّزُخْرًا وَّاجْعَلْهُ لَنَا شَافِعًا وَّمُشَفَّعًا.


উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাজ্ আল্হু লানা ফারতাঁও ওয়াজ্আল্হু লানা আজ্রাওঁ ওয়া যুখ্রাওঁ ওয়াজ্আল্হু লানা শাফিয়াওঁ ওয়া মুশাফ্ফা‘আন।


অর্থ: হে আল্লাহ্! আমাদের জন্য তাকে (ছেলেটিকে) অগ্রদূত করে লও এবং তাকে আমাদের জন্য প্রতিদানের উসিলা ও সঞ্চিত ধন করে লও এবং তাকে আমাদের জন্য সুপারিশকারী ও গ্রহণযোগ্য সুপারিশকারী করে লও।



মুর্দা বালিকা তথা নাবালেগাহ হলে এই দু‘আ পড়বে-


اَللّٰهُمَّ اجْعَلْهَا لَنَا فَرْطًا وَّاجْعَلْهَا لَنَا اَجْرًا وَّزُخْرًا وَّاجْعَلْهَا لَنَا شَافِعَةً وَّمُشَفَّعَةً .


উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাজ্ আল্হা লানা ফারতাঁও ওয়াজ্আ-ল্হা লানা আজ্রাওঁ ওয়া যুখ্রাওঁ ওয়াজ্আল্হা লানা শাফিয়াতান্  ওয়া মুশাফ্ফাআতান্।


অর্থ: হে আল্লাহ্! আমাদের জন্য তাকে (মেয়েটিকে) অগ্রদূত করে লও এবং তাকে আমাদের জন্য প্রতিদানের উসিলা ও সঞ্চিত ধন করে লও এবং তাকে আমাদের জন্য সুপারিশকারিনী ও গ্রহণযোগ্য সুপারিশকারিনী করে লও।


দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তক্বীর বলার সময় হাত উঠাতে হবে না। এই ভাবে জানাযার নামায শেষ করতে হয়। তবে ইমাম উচ্চ আওয়াজে ও মুক্তাদি নিম্নস্বরে তাক্বীর বলতে হবে।



উল্লেখ্য যে, মৃত ব্যক্তি স্ত্রীলোক হলে لِهٰذَا الْمَيِّتِ (লি-হাযাল্ মাইয়্যেতি) এর পরিবর্তে لِهٰذِهِ الْمَيِّتِ (লিহাযিহিল্ মাইয়্যেতি) বলতে হবে। মোক্তাদীগণ বলবেনاِقْتَدَيْتُ بِهٰذَ الْاِمَامِ   (ইক্দাতাইতু বি-হাযল্ ইমামে) যিনি ইমাম তিনি বলবেন اَنَا اِمَامٌ لِّمَنْ حَضرَ وَ مَنْ يَّحْضُرُ ।


উচ্চারণ: আনা ইমামুল্লিমান্ হাদারা ওয়া মাইঁয়্যাহদোরু।

___________________

গাউছিয়া আজিজিয়া নামায শিক্ষা

রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী (রহ)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন