স্রষ্টার অনুগ্রহকেও মানহানিকর ভাবেন?


ফিকাহবিদগণ সাধারণভাবে সকলেই একমত যে সমাজে এমন কিছু অপরাধ সংঘটিত হয় যার শাস্তি মৃদ্যুদন্ড। এসব বিচার কাজে সাক্ষীর ভূমিকার উপর একজন লোকের ফাঁসি কিংবা জীবন রক্ষা পায়। এজন্য সাক্ষীকে ঘটনার সত্যতা বর্ণনার জন্য কেবল সত্য বলাই যথেষ্ট হয় না বরং ঘটনার হুবহু বর্ণনা এবং একইসাথে কে কোন পর্যায়ে কতটুকু জড়িত তারও হুবহু আদালতে উপস্থাপন করতে হয়। একই ধরনের অপরাধ যেমন চুরি, অপহরণ, ধর্ষন, মদ্যপান ও মিথ্যা অপবাদ আরোপের বিচার কাজে নারীর সাক্ষী একমাত্র নারী, কোন পুরুষ সাক্ষীর উপস্থিতি নিশ্চত হয়-এমতাবস্থায় কেবলমাত্র সাক্ষীর অভাবে বিচার হবে না এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই সাক্ষী গ্রহণ করতে হবে।



কুরআন ও হাদীস নারীর সাক্ষ্যদান অগ্রহণযোগ্য বলেনি বরং তাকে তার মাসিক অসুস্থতা সাংসারিক ঝামেলা, পারিবারিক দায়-দায়িত্ব, শিশু থাকলে তাকে দুগ্ধপান এসব প্রতিকূলতা ঠেলে কোর্টে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর সাক্ষী হিসাবে যাওয়া সহজ বিষয় নয়-এজন্য সাক্ষ্যদানের বিষয়ে তাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তার সাক্ষ্য দানের অভাবে একজন মজলুম ব্যক্তির বিচারকাজ শুধু তখন বিলম্বিত হবে না বরং বিপরীতও হতে পারে। দ্বিতীয়ত আর্থিক লেনদেনের অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থতা সাধারণ অপরাধের মাত্রার চেয়েও গুরুতর। এখানেও নারীর দুর্বলতার কারণে তাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। সাক্ষী যদি হতেই হয় তাহলে তার একজন সহযোগী সাথে নিতে বলা হয়েছে মাত্র। এখন এটাকে গাণিতিক নিয়মের বাধ্যকাধকতা ভেবে যে কোন সামাজিক বিষয়বস্তুর সাক্ষ্যদান থেকে বিরত রাখা ইনসাফ হবে না। একজন শিক্ষিত মহিলার সাক্ষ্য যে কোন একজন অথর্ব, অযোগ্য, অশিক্ষিত মূর্খের চেয়ে বরং বেশি গ্রহণযোগ্য।

___________

কিতাব: নন্দিত নারী

লেখক: হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ওসমান গণি

আরবি প্রভাষক, জামেয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা, ষোলশহর, চট্টগ্রাম।

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন