আম্বিয়া (عليه السلام)-এর মওলিদের স্মরণ: একটি কুরআনী বিশ্লেষণ

ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন নিদর্শন বা চিহ্ন, যেগুলো মুসলিম উম্মাহ’র (মানে সমাজের) প্রতি এবাদত-বন্দেগীর আকারে বাধ্যতামূলক হয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে পূর্ববর্তী অধ্যায়গুলোতে আমরা একখানা বিশ্লেষণ পেশ করেছি। যদি আম্বিয়া (عليه السلام)-বৃন্দের জীবন এবাদতের মাধ্যমে স্মরণ করা যায়, তাহলে মহানবী (ﷺ)-এর আশীর্বাদধন্য শুভাগমনকে কেন উদযাপনের মাধ্যমে স্মরণ করা যাবে না? কুরআন মজীদের গভীর অধ্যয়ন দ্বারা প্রতীয়মান হবে যে আল্লাহতা’লার নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দাদের বেলাদত (ধরাধামে শুভাগমন)-কে ঘিরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর বর্ণনা দেয়া একটি ঐশী প্রথা। এই অধ্যায়ে আমরা আলোকপাত করবো আল-কুরআন কীভাবে পয়গম্বর (আলাইহিমুস সালাম)-বৃন্দের বেলাদতের কথা উল্লেখ করেছে।





৩.১ মওলূদের পটভূমি

আরবদের মাঝে ইমামবৃন্দ ও হাদীসশাস্ত্রবিদমণ্ডলী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বেলাদত-বিষয়ে অনেক বইপত্র লিখেছেন। তাঁদের প্রচলিত ভাষায় এধরনের সাহিত্য ‘মওলিদ’, ‘মাওয়া’লীদ’ বা ‘মওলূদ’ হিসেবে বহুল পরিচিত। আরব বিশ্বে রবিউল আঊয়াল মাসে সর্বত্র প্রসারলাভকৃত সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানবৃন্দের একটি ঐতিহ্য বিদ্যমান, যা’তে মওলিদ পাঠের জন্যে তাঁরা সভা-সমাবেশের আয়োজন করেন এবং মহানবী (ﷺ)-এর আশীর্বাদপূর্ণ বেলাদতকে ঘিরে ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর উল্লেখ-ও করেন। ইমামমণ্ডলী ও হাদীসবেত্তাবৃন্দের লেখা মওলূদ শরীফ মদীনা মোনাওয়ারা, মক্কা মোয়াযযমা, সিরিয়া, মিসর, ইরাক, ওমান, জর্দান , আরব আমিরাত, কুয়েত, লিবিয়া ও মরক্কো ছাড়াও পৃথিবীর সবদেশে পাঠ করা হয়। উর্দূভাষীদের মাঝে এটা ’মীলা’দ-না’মা’ হিসেবে পরিচিত।

__________________

মওলিদুন্নবী (ﷺ)-এর উদযাপন ও অনুমতি (১ম খণ্ড)

মূল: শায়খুল ইসলাম ড: মুহাম্মদ তাহিরুল কাদেরী

অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন