হযরত সায়্যিদুনা ইবরাহীম খাওয়াস (رحمة الله) বলেন: “শাম দেশের একজন আল্লাহ্ ওয়ালা যুবকের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হল। তিনি আমাকে বললেন: “আপনি (رحمة الله) কি আমার সংস্পর্শে থাকাটা পছন্দ করবেন?” আমি বললাম: “আমিতাে ক্ষুধার্থ থাকি। তিনি (رحمة الله) বললেন: আমিও উপবাস থাকব।” চারদিন এভাবে উপবাস অবস্থায় কেটে গেল। এরপর কোথা থেকে কিছু খাবার আসল। আমি তাঁকে বললাম: আসুন খেয়ে নিন। উত্তর দিলেন, আমি অঙ্গীকার করেছি কারাে মাধ্যমে কোন জিনিস গ্রহণ করব না। আমি আনন্দিত হয়ে বললাম: মারহাবা! আপনি অনেক দরকারী কথা বলেছেন। এটা শুনে তিনি বলতে লাগলেন, “হে ইব্রাহীম! আমার মিথ্যা প্রশংসা করিওনা। কারণ লালন পালনকারী পরওয়ারদিগার তােমার অবস্থা এবং তাওয়াক্কুল ভালভাবে জানেন। অতঃপর বলতে লাগলেন, “তাওয়াক্কুলের সর্বনিম্নস্তর হচ্ছে, উপবাসের উপর উপবাস থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারাে প্রতি মনােনিবেশ না করা।” (রিসালাতুল কুশাইরিয়া তাওয়াক্কুল অধ্যায়, ১৬৮ পৃষ্ঠা)
আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁদের উপর বর্ষিত হােক এবং তাঁদের সদকায় আমাদের ক্ষমা হােক।
ছাচ হে ইনসান কো কুচ কুকে মিলা করতা হে, আপ কো কুকে তুজে পায়ে গা জাও ইয়া তেরা। (যাকে নাত)।
ইয়া রব্বে মুস্তফা (ﷺ) আমাদেরকে নফস ও শয়তানের অনিষ্ট হতে রক্ষা কর এবং ক্ষুধার মত মহান নেয়ামত দান করে তােমার ধৈর্যধারণকারী ও শােকর গুজারকারী বান্দা বানাও।
ভুক কি নেয়ামত ছে তু নাওয়ায মওলা,
ছবর কি দৌলত ছে তু নাওয়ায মাওলা।
_______________
কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন