বর্ণিত, প্রসিদ্ধ আশিকে রাসূল বাদশাহ্ সুলতান মাহমূদ গযনবী (رحمة الله) এর নিকট কেউ একদা কিছু শশা (কাকড়ি) নিয়ে হাজির হল। সুলতান শশাগুলাে (কাকড়িগুলাে) গ্রহণ করলেন আর দাতাকে পুরস্কৃত করলেন। অতঃপর নিজের হাতে শশার (কাকড়ির) একটি টুকরা কেটে নিজের অতি প্রিয়ভাজন গােলাম আয়াযকে প্রদান করলেন, আয়ায মজা করে খেতে লাগল। এরপর সুলতান আর একটি ছিলকা কাটলেন আর নিজে খাওয়া শুরু করলেন। তখন দেখা গেল, তা এরূপ তিতা ছিল, মুখে রাখা কঠিন। সুলতান অবাক দৃষ্টিতে আয়াযের দিকে দেখলেন আর বললেন: “আয়ায! এরূপ তিতা শশা (কাকড়ি) তুমি কিভাবে খেয়েছ? বাহ্! তােমার চেহারায়তাে বিন্দুমাত্র বিরক্তির চিহ্নও প্রকাশ পেলনা?” আয়ায বলল: “আলীজা! শশা (কাকড়ি) সত্যিই খুবই তিতা ছিল। যখন মুখে দিলাম তখন আমার জ্ঞান বলে উঠল ফেলে দে, কিন্তু ইশক বলে উঠল, “আয়ায খবরদার! এটা ঐ হাত প্রদত্ত শশা, যে হাত দ্বারা প্রতিদিন মিষ্টি বস্তু সমূহ খেয়েছিস। যদিওবা একদিন তিক্ত বস্তু দিয়েছে তাতে কি হয়েছে! এটা ফেলে দেয়া ভালবাসার বহির্ভুত কাজ হবে। তাই ইশকের পথ-নির্দেশনা অনুযায়ী আমি শশার তিতা টুকরাগুলি হাসিমুখে খেয়ে নিলাম।” (রাহবারে যিন্দেগী, ১৬৭ পৃষ্ঠা) আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হােক এবং তাঁর সদকায় আমাদের ক্ষমা হােক।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এ রকম মর্যাদাবান মুসলমানদের মত আমাদেরও স্বভাব হওয়া উচিত। যে আল্লাহ আমাদের উপর অগণিত দয়া করেছেন, যদি কখনাে তাঁর পক্ষ থেকে কোন মুসীবত ও হঠাৎ দুর্ঘটনাও এসে পড়ে, তবে সেটাকে হাসি মুখে গ্রহণ করে নেয়া উচিত। খাঁটি প্রেমিক সে নয়, যে প্রিয়তমের পক্ষ থেকে ভালবাসা ও প্রেম পাওয়ার কারণে কৃতজ্ঞ থাকে। খাঁটি প্রেমিক সেই, যে প্রিয়তমের পক্ষ থেকে ধিক্কার পাওয়ার পরও তার প্রতি কৃতজ্ঞ ও জান উৎসর্গকারী হয়ে থাকে।
উও ইশকে হাকীকী লজ্জাত নেহী পা ছকতা,
জু রজো মুসীবত ছে দো-ছার নেহী হােতা।
_______________
কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন