নবীজির প্রতি ভালোবাসা: একজন সুলতান আব্দুল হামিদ


 তুরস্কের একটা সিরিয়াল আছে সুলতান আব্দুল হামিদকে নিয়ে। সেখানে একটি পর্বে দেখায়, তখনকার সময় ফ্রান্স নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে একটি ব্যাঙ্গাত্মক নাটক মঞ্চস্থ করার ঘোষণা দেয়৷ 


এই খবর পত্রিকা মারফত আব্দুল হামিদ জানতে পেরে আগুনের মত জ্বলে ওঠেন। সকল পাশাদের ডেকে বলেন, নবী (সাঃ) অপমানে যদি আমরা চুপ করে থাকি তবে কেয়ামতের দিন কোন মুখ নিয়ে নবীর চোখের দিকে তাকাবো! আমি মৃত্যু থেকে পুনর্জীবিত হবো, আমার দেহে যতক্ষন প্রান থাকবে ততক্ষণ তলোয়ার চালাবো। আমাকে টুকরো টুকরো করে ফেললেও নবী (সাঃ) অপমান সহ্য করবো না। 

তিনি ডেকে পাঠান ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে... 

রাষ্ট্রদূত এলে সুলতান তাকে বলেন, আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) প্রত্যেক মুসলমানদের কাছে নিজের প্রানের চেয়েও প্রিয়। আমরা নিজেদের জীবন দিয়ে দিতে পারি তারপরও নবী অবমাননা সহ্য করতে পারি না। তাই আপনি এই নাটক মঞ্চস্থ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিন।  রাষ্ট্রদূত জানিয়ে দেয়, এই মুহূর্তে বন্ধ করার মত অবস্থা, সময় নেই। এটা বন্ধ করা কোনভাবে আর সম্ভব না.৷  

আব্দুল হামিদ রাগে ফেটে পড়েন। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন- আমি বলকান, ককেশাস এবং হেজাজের সুলতান। আমি বলছি এই নাটক মঞ্চস্থ বন্ধ করুন। না হয় সারা দুনিয়া আমি তোমাদের মাথার উপর আছড়ে ফেলবো... 

রাষ্ট্রদূত তখনো মাথা ঝাঁকিয়ে বন্ধ করা সম্ভব না,  সম্ভব না বলতে থাকে। 

সুলতান রুম থেকে বেড়িয়ে টেলিগ্রাম করতে থাকে সারা মুসলিম জাহানে- "আমি সুলতান আব্দুল হামিদ। প্রিয় নবীকে (সাঃ) অবমাননা করে নাটক মঞ্চস্থ বন্ধ করতে সম্মত না হওয়ায় এই মুহূর্ত থেকে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করছি। মুসলিম সালতানাতের পতাকা নিয়ে যার যার অবস্থানে প্রতিটি ফ্রান্স স্বার্থের উপর হামলা করার হুকুম দিচ্ছি। আমরা এখন থেকে ওদের ভাষাতেই ওদের জবাব দেব...."

অবশেষে ফ্রান্স নাটক মঞ্চস্থ স্থগিত করে। সেদিন ভারতীয় মুসলিমরা রাস্তায় নেমে আনন্দ প্রকাশ করে। সুলতানের জন্য দোয়া এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠায়। আলজেরিয়ার, মরক্কো, মধ্য এশিয়া, হেজাজ সহ প্রতিটি মুসলিম এলাকায় আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। নারী পুরুষ সব উল্লাসে রাস্তায় নেমে আসে। 

ফ্রান্সের নবী অবমাননা কারীরা আজও আছে, শুধু আমাদের এখন একজন আব্দুল হামিদ নাই!

আজ ফ্রান্স রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলিমদের প্রানের চেয়েও প্রিয় নবী (সাঃ) কে অপমান করে কার্টুন প্রদর্শনী করছে। কোন মুসলিম শাসক শক্ত করে বললো না, এইসব বন্ধ করুন!

ও আই সি বলে একটা সংস্থা আছে। এদের কাজ কি? ও আই সি'র নেতৃত্বে সব মুসলিম রাষ্ট্র শক্ত করে হুমকি দিলে ফ্রান্স সেইদিনের মত এদিনেও ঠিক হয়ে যেত। 

ফ্রান্স লাথির উপর ঠিক থাকে, এইটা প্রমাণিত সত্য..

#cp

#StopIslamophobia

#ShameOnFrance

#Boycott_French_Products

সংগৃহীত পোষ্ট! সবাই বারবার শেয়ার করুন আর ফরাসী পণ্য বর্জন করুন! জাজাকাল্লাহু খাইরান!

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন