ইয়াযিদের জন্ম-মৃত্যু



❏ ইয়াযিদের জন্ম তারিখ সম্বন্ধে কিছুটা মতানৈক্য রয়েছে। ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়ুতি আলাইহির রহমত ‘তারিখুল খোলাফা’ গ্রন্থে বলেছেন- (আরবি) পৃ-১৭


অর্থ: ইয়াযিত বিন মুয়াবিয়া হিজরি ২৫ অথবা ২৬ সনে জন্মগ্রহণ করে।


❏ আর মৃত্যু প্রসঙ্গে হাফিজ ইবনে কাছির (আরবি) পৃ-১৭ গ্রন্থে বর্ণনা করেন- (আরবি) পৃ-১৭


অর্থ: এজিদ ৬৪ হিজরি সনের ১৪ই রবিউল আউয়াল তারিখে মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৫ বছর অথবা ৩৮ বছর। তার দুঃশাসন ছিল ৩ বছর ৬ মাস। তার মৃত্যুর পরেই যুদ্ধ বিগ্রহ ফিতনা-ফাসাদ অবসান ঘটে।  (বেদায়া ওয়ান নেহায়া- ৬৩৬ পৃষ্ঠা)।



 স্বভাব চরিত্র


আমিরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু এর ইন্তিকালের পর ৬০ হিজরিতে সে ক্ষমতা দখল করে। অতঃপর ৬৪ হিজরিতে তার অকাল মৃত্যু হয়। তার শাসনকাল ছিল মাত্র ৩ বছর ৬ মাস। কিন্তু এ সামান্য সময়ের শাসনকাল পুরোটাই ছিল যুলুম, নির্যাতন, অন্যায়, অত্যাচারে ভরপুর। ক্ষমতা দখলের পূর্বেও সে ছিল একজন বদচরিত্রের অধিকারী।


১. হাফিজ ইবনে কাছির বলেন-(আরবি) পৃ-১৭

অর্থ: ক্ষমতা দখলের পূর্বেও সে খেল-তামাশা, ঠাট্টা, মশকারি ও অহেতুক কাজে লিপ্ত থাকতো। (বেদায়া- ৮/২২)


২. ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়ুতি বলেন-(আরবি) পৃ-১৮

অর্থ: ইয়াযিদ ছিল এমন ব্যক্তি যে উম্মে ওলদ তথা মাতা, কন্যা ও বোনদেরকে বিবাহ করত। সে ছিল মদ্যপায়ী এবং নামাযের ধারধারি ছিল না। (তারিখুল খোলাফঅ- ১৬৬)


৩. আররাদ্দু আলাল মুতাআসসিব কিতাবের ৬৪ পৃষ্ঠা আছে-(আরবি) পৃ-১৮

অর্থ: সে মদপান করে বাদ্যযন্ত্র বাজায়, কুকুরের সাথে খেলা করে।


৪. আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া গ্রন্থের ৮/২১৬ পৃষ্ঠায় আছে-(আরবি) পৃ-১৮

অর্থ: আল্লাহর কসম! সে মদপান করতো এবং নেশাগ্রস্থ থাকতো, এমনিভাবে নামাযের ওয়াক্ত চলে যেত।




 ইয়াযিদ সম্বন্ধে নবীজির ভবিষ্যতবাণী



রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াবিদ সম্বন্ধে পূর্বেই ভবিষ্যতবাণী করে গেছেন। তার চরিত্র, দুষ্কর্ম, এমনকী তার বংশ পরিচয় সবকিছুই নবীজি বর্ণনা করে গেছেন। ইহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইলমেগায়েব সংক্রান্ত একটি বড় মো’জেযা।


ইমাম বুখারি ও ইমাম মুসলিম এ ব্যাপারে বর্ণনা করেন-

(আরবি) পৃ-১৯ 


অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি- কুরাইশদের কিছু যুবকদের হাতে আমার উম্মত ধ্বসং হবে। তখন মারওয়ান বললেন- এ সমস্ত যুবকদের প্রতি আল্লাহর লা’নত। অতঃপর আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু বলেন- আমি যদি চাই তাহলে বলতে পারব তারা ওমুকের পুত্র ওমুক। (বুখারি হাদিস নং ৭০৫৮, মুসলিম হাদিস কিতাবুল ফিতান)

     

হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী আলাইহির রহমত উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন-(আরবি) পৃ-২০

অর্থ: নিশ্চয়ই এজিদই হল সর্বপ্রথম যুবক শাসক। হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য ইহাই প্রমাণ করে। তিনি অন্য হাদিসে ৬০ হিজরির শুরু এবং যুবক শাসন কথা উল্লেখ করেছেন। কারণ এজিদই সর্বপ্রথম বিভিন্ন শহরের বয়স্ক শাসকদের বরখাস্ত করে তদস্থলে তার স্বগোত্রীয় যুবকদের নিযুক্ত করে। (ফাতহুল বারী ১৩/০৩)।

_________________

ইয়াযিদের হাকিকত
কৃতঃ হাফেজ মুহাম্মদ ইকরাম উদ্দিন।
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন