সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! ইতোপূর্বে রাসূল (ﷺ) নূরের সৃষ্টি মর্মে বিভিন্ন কোরআনের আয়াত, প্রিয় নবীর হাদিস, সাহাবী, তাবেয়ীদের বক্তব্য উল্লেখ করেছি, আরও অনেক প্রমাণ আমার লিখিত ‘রাসূল (ﷺ)-এর সৃষ্টি নিয়ে বিভ্রান্তির নিরসন’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছি। এত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কতিপয় দেওবন্দী ও আহলে হাদিসগণ রাসূল (ﷺ) নূরের সৃষ্টি বিষয়ক হযরত জাবের (رضي الله عنه)-এর হাদিসটি উল্লেখ করে থাকেন। তাঁরা সাধারণ মানুষদেরকে বুঝাতে চান যে এ বিষয়ে যারা দলিল দেন তাদের এটি ছাড়া আর কোনো দলিল নেই, অথচ এটি তাদের ধোঁকার অন্যতম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। পাঠকবর্গ! তাদের এ ধোঁকা কতটুকু বাস্তব সম্মত তা আপনারা ইতোপূর্বে দলিল থেকে বুঝুন!
❏ “এসব হাদীস নয়” গ্রন্থের ২২০ পৃষ্ঠায় মাওলানা মুতীউর রহমান সাহেব এ হাদিসের গ্রহণযোগ্যতা প্রসঙ্গে উসূলে হাদিসের নীতিমালাকে উপেক্ষা করে লিখেছেন-‘‘উলামায়ে কেরাম তা দেখামাত্রই বুঝতে পারবেন যে, পূর্ণ রেওয়ায়েতটাই জাল ও বাতিল।’’
❏ সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! হাদিসের ইবারত দেখেই যদি হাদিস সহীহ যঈফ নির্ণয় করা যেতো তাহলে আর কেহ মুহাদ্দিস হওয়ার জন্য বছরের পর বছর অধ্যয়ন করতে হতো না। তিনি এ হাদিসকে জাল বলার পিছনে ১৯৩ পৃষ্ঠায় ইবনে তাইমিয়ার দলিলকে উপস্থাপন করেছে।
❏ ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার লিখিত আরেক ভয়ংঙ্কর গ্রন্থ ‘হাদীসের নামে জালিয়াতি’ গ্রন্থের ৩২৪ পৃষ্ঠা হতে ৩৪৫ পৃষ্ঠা পর্যন্ত আলোচনা করেছেন এটিকে জাল প্রমাণের জন্য। উক্ত হাদিস সম্পর্কে আলোচনা করে তা মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য তিনি কোনো গ্রহণযোগ্য দলীল বা প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পেরে দুটি অনির্ভরযোগ্য দলীল উপস্থাপন করেছেন।
❏ উক্ত গ্রন্থের ৩২৫ পৃষ্ঠায় আরো লিখেছেন, ‘এই হাদিসটি কোনো হাদিসের গ্রন্থে সংকলিত হয়নি।’ লেখক এ কথা বলে চরম মিথ্যা এবং মুর্খতার পরিচয় দিয়েছেন। আছে নাকি নেই তার জবাব সামনে আসছে, ইন শা আল্লাহ।
❏ ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ৩২৫ পৃষ্ঠায় আরও লিখেছেন-‘‘যতটুকু জানা যায়, ৭ম হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ আলিম মহিউদ্দিন ইবনু আরাবী সর্বপ্রথম এই কথা গুলোকে হাদিস হিসেবে উল্লেখ করেন।’’
❏ লক্ষ্য করুন! উক্ত গ্রন্থের লেখক ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের মিথ্যা ও ধোঁকাবাজী, এত বড় বুযুর্গ ওলীয়ে কামেল আরিফ বিল্লাহ মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবী (رحمة الله) এর উপর কি রকম জঘন্য মিথ্যারোপ করেছেন।
❏ হযরত মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবী (رحمة الله) এর কোন গ্রন্থে তা বর্ণনা করা হয়েছে তা তিনি উল্লেখও করেননি। তার কারণ হলো তিনি তার নামে এটি সাজিয়েছেন।
❏ উক্ত গ্রন্থের ৩২৫ পৃষ্ঠায় মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবী (رحمة الله) এর সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে লিখেন, ‘‘বিশেষত মুজাদ্দিদে আলফে সানী সিরহিন্দী (رحمة الله) ইবনুল আরাবীর এ সকল জাল ও ভিত্তিহীন বর্ণনার প্রতিবাদ করেছেন বারংবার। কখনো কখনো নরম ভাষায়, কখনো কখনো কঠোর ভাষায়।
(‘মাকতুবাত শরীফ : ১/১ পৃ. মাকতুবাত নং : ৩১)
❏ প্রিয় পাঠক! একটু গভীরভাবে চিন্তা করুন! তিনি যে দলীল উপস্থাপন করেছেন তাও মিথ্যা। আমি অধমের কাছে মাকতুবাত শরীফ বিদ্যমান রয়েছে, তিনি মাকতুবাত শরীফ থেকে দলীল দিয়েছেন প্রথম খণ্ডের প্রথম পৃষ্ঠার ৩১ নং মাকতুবাত, এটা কী করে সম্ভব! প্রথম পৃষ্ঠায় ৩১ নং মাকতুবাত! আমি সুনিশ্চিত লেখার সময় মনে হয় ‘হাদীসের নামে জালিয়াতি’ গ্রন্থের লেখকের মাথা ঠিক ছিল না, হয়তো বা তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন। কারণ যারা ভালো কোনো আলেমও নন তারাও খুব সহজে বুঝবেন যে তিনি যে এটি ১০০% ইবনে আরাবীর বিরোদ্ধে মিথ্যা দলিল দিয়েছেন।
❏ ইমাম মুজাদ্দিদে আলফেসানী (رحمة الله) কী এ বিষয়ে ইবনে আরাবী (رحمة الله)’র তার বিরোধীতা করেছেন নাকি তার কথার সমর্থন জানিয়েছেন তা উপস্থাপন করবো। রাসূল (ﷺ) সর্বপ্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে ইমাম মুজাদ্দিদে আলফেসানী (رحمة الله) মাকতুবাত শরীফের ৩য় খণ্ড ২৩১ পৃষ্ঠায় লিখেন-
حقيقت محمد عليہ من الصلوة افضلها ومن التسليمات اكملها كہ ظهور أول است وحقيقتہ الحقائق است باں معنى كہ حقائق ديگر چہ حقائق انبياء كرام وچہ حقائق ملائك عظام عليہ الصلوة والسلام كا اظلام اند مرا او واجل حقائق است قال عليہ الصلوة السلام أول ما خلق الله نورى وقال عليہ الصلوة والسلام خلقت من نور الله والمؤمنون من نورى-
-‘‘হাকিকতে মুহাম্মদ (ﷺ) বিকাশের দিক দিয়ে সর্বপ্রথম এবং সকল হাকিকতের হাকীকত। সমস্ত আম্বিয়া (عليهم الصلاة والسلام) সম্মানিত সকল ফেরেশতাগণ হুযূর (ﷺ)-এর হাকীকতের নির্যাস। রাসূলে খোদা (ﷺ) ইরশাদ করেন, আল্লাহ্ তা‘য়ালা সর্বপ্রথম যা সৃষ্টি করেছেন তা হল আমার নূর মোবারক। আরও বলেছেন আমি আল্লাহর নূর হতে আর সমস্ত মুমিনগণ আমার নূর হতে সৃষ্টি।’’ ১০০
➥{মুজাদ্দেদে আলফেসানী : মকবুতবাত শরীফ : ৩/২৩১ পৃ., আল্লামা শায়খ ইউসূফ বিন নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/২০৮ পৃ.}
অতএব, প্রমাণিত হলো তার বর্ণনা মুতাবেক শায়খ মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবীর আক্বিদা ও নূরের হাদিস প্রচারে মুজাদ্দিদে আলফেসানী (رحمة الله)-এর বিরোধিতা নয় বরং সমর্থন প্রমাণিত হয়। তাই ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের বক্তব্যে মিথ্যা ও ধোঁকাবাজীর সংমিশ্রন রয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি ইমাম মুজাদ্দিদে আলফেসানী (رحمة الله)-এর কিতাবের মূল ইবারত দেননি যাতে করে তিনি ধোঁকাবাজী সহজেই করতে পারেন। সাধারণ মানুষতো মূল কিতাব গবেষণা করে না, ফলে তাদের ধোঁকাই বিভ্রান্তিতে পতিত হচ্ছে। তাই আমি সাধারণ আম জনতাকে আমার এই কিতাবের মাধ্যমে সতর্ক করছি এবং বিভ্রান্তিতে যেন না পড়ে সে জন্য ধোঁকাবাজদের বই পড়া থেকে বিরত থাকার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী সম্পাদিত ‘প্রচলিত জাল হাদীস’ গ্রন্থের ১৫৭ পৃষ্ঠায় একে একক আহলে হাদিসদের ইমাম পথভ্রষ্ট ইবনে তাইমিয়ার দলিল দিয়ে একে জাল প্রমাণের অনেক চেষ্টা করেন।
❏ ইমাম আব্দুর রাজ্জাক, কাস্তাল্লানী (رحمة الله)সহ এক জামাত ইমাম সংকলন করেন-
عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي أَخْبِرْنِي عَنْ أَوَلَّ شَيْءٍ خَلَقَهُ اللَّهُ قَبْلَ الأَشْيَاءِ، فَقَالَ: يَا جَابِرُ! إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ قَبْلَ الأَشْيَاءِ نُورُ نَبِيِّكَ مِنْ نُورِهِ، فَجَعَلَ ذَلِكَ النُّورِ يَدُورُ بِالْقُدْرَةِ حَيْثُ شَاءَ اللَّهُ، وَلَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ لَوْحٌ وَلا قَلَمٌ وَلا جَنَّةٌ وَلا نَارٌ وَلا مُلْكٌ وِلا سِمِاءٌ وَلا أَرْضٌ وَلا شَمْسٌ وَلا قَمَرٌ وَلا جِنِّيٌ وَلا إِنْسٌ. فلما أراد الله تعالى أن يخلق الخلق قسم ذلك النور أربعة أجزاء، فخلق من الجزء الأول القلم، ومن الثانى اللوح، ومن الثالث العرش. ثم قسم الجزء الرابع أربعة أجزاء، فخلق من الجزء الأول حملة العرش، ومن الثانى الكرسى، ومن الثالث باقى الملائكة، ثم قسم الجزء الرابع أربعة أجزاء، فخلق من الأول السماوات، ومن الثانى الأرضين ومن الثالث الجنة والنار، ثم قسم الرابع أربعة أجزاء، فخلق من الأول نور أبصار المؤمنين، ومن الثانى نور قلوبهم- وهى المعرفة بالله- ومن الثالث نور أنسهم، وهو التوحيد لا إله إلا الله محمد رسول الله-
-‘‘হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী (رضي الله عنه) বলেন, আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার মাতা পিতা আপনার প্রতি উৎসর্গ। আমাকে বলুন, আল্লাহ্ তা‘য়ালা সবকিছুর পূর্বে কি সৃষ্টি করেছেন? হুযূর (ﷺ) ফরমালেন, হে জাবের! নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা‘য়ালা সবকিছুর পূর্বে তাঁর নূর হতে তোমার নবীর নূরকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর ঐ নূর খোদায়ী কুদরতে যেখানে আল্লাহর ইচ্ছা ভ্রমণ করতে থাকে। তখন লওহ, কলম, জান্নাত, জাহান্নাম, ফেরেশতা, আসমান, যমীন, সূর্য, চন্দ্র, দানব, মানব কিছুই ছিল না। অতঃপর যখন আল্লাহ্ তা‘য়ালা অন্যান্য মাখলূককে সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করলেন তখন ঐ নূরকে চারভাগে ভাগ করলেন, প্রথমভাগ দ্বারা কলম, দ্বিতীয়ভাগ দ্বারা লওহে মাহফুয, তৃতীয়ভাগ দ্বারা আরশ সৃষ্টি করলেন। চতুর্থ ভাগকে আবার চারভাগ করলেন, প্রথম ভাগ দ্বারা আরশবহনকারী ফেরেশতা, দ্বিতীয় ভাগ দ্বারা কুরসী, তৃতীয় ভাগ দ্বারা অপরাপর সকল ফেরেশতা সৃষ্টি করলেন, চতুর্থ ভাগকে আবার চারভাগ করলেন। প্রথমভাগ দ্বারা সপ্ত আসমান, দ্বিতীয়ভাগ দ্বারা সপ্ত যমীন, তৃতীয় ভাগ দ্বারা জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করলেন। চতুর্থ ভাগকে আবার চারভাগ করলেন। প্রথমভাগ দ্বারা সৃষ্টি করলেন মুমিনদের চোখের জ্যোতি, দ্বিতীয়ভাগ দ্বারা তাদের অন্তরের নূর, যার মাধ্যমে তারা আল্লাহর মা‘রেফাত লাভ করে, চতুর্থ ভাগ দ্বারা সৃষ্টি করলেন তাদের স¤প্রীতি ও ভালবাসার তা হল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।’’
এ হাদিস যারা বর্ণনা করেছেন:
১. ইমাম বুখারী (رحمة الله) এর দাদা উস্তাদ। ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (رحمة الله) [ওফাত. ২১১ হি.] হাদিসটি তার ‘মুসান্নাফ’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। ১০১
➥{এই তথ্যটি আল্লামা ঈসা মানে হিমইয়ারী (মা.জি.আ.) সংকলিত ‘জুযউল মুফকুদ’ কিতাব হতে সংগ্রহিত।}
২. এক জামাত মুহাদ্দিস এ হাদিসটি তিনি বর্ণনা করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। তবে এদের মধ্যে একদল মুহাদ্দিস বলেছেন তিনি এটি তার মুসান্নাফে বর্ণনা করেছেন, আর একদল মুহাদ্দিস বলেছেন তিনি এটি বর্ণনা করেছেন, কিন্তু সেটি তার কোন গ্রন্থে তা তারা উল্লেখ করেননি।
উপরে যে সমস্ত (বাতিল বই মতবাদের) গ্রন্থের নাম উল্লেখ করা হলো তাদের সবার দাবী এ হাদিস ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (رحمة الله) এটি সংকলন করেননি।
২. মাওলানা নুরুল হক মুজাদ্দেদী (رحمة الله) তার লিখিত ‘নূরে মুজাস্সাম (ﷺ)’ গ্রন্থের ২২২ পৃষ্ঠায় (যা ইসলামিক ফাউন্ডেশন হতে প্রকাশিত) এ হাদিসটি ইমাম বায়হাকী (رحمة الله) [ওফাত.৪৫৮ হি.] স্বীয় প্রসিদ্ধ সিরাত সম্পর্কিত হাদিস গ্রন্থ ‘দালায়েলুন নবুয়ত’ বর্ণনা করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
৩. বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার ইমাম কাস্তাল্লানী (رحمة الله) [ওফাত. ৯২৩ হি.] তাঁর প্রসিদ্ধ সিরাত গ্রন্থ ‘মাওয়াহিবুল্লা লাদুন্নীয়া’ এর ১/১৫ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাজ্জাক (رحمة الله) এর বরাতে উক্ত হাদিসটি সংকলন করেছেন।
৪. আল্লামা জুরকানী (رحمة الله) [ওফাত. ১১২২ হি.] স্বীয় প্রসিদ্ধ সিরাত গ্রন্থ ‘শারহুল মাওয়াহেব এর ১/৮৯ পৃষ্ঠায় ইমাম আব্দুর রাজ্জাক এর সূত্রে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেন।
৫. আল্লামা আজলূনী (رحمة الله) [ওফাত. ১১৬২ হি.] তার ‘‘কাশফুল খাফা’ এর ১/৩১১ পৃষ্ঠায় হাদিস নং ৮১১ এ ইমাম আবদুর রাজ্জাক (رحمة الله) এর বরাতে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেন।
উক্ত হাদিসকে জাল দাবীকারী ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, মাওলানা মুতীউর রহমান এবং মাওলানা জাকারিয়া হাসনাবাদী তাদের গ্রন্থের অসংখ্য স্থানে ‘কাশফুল খাফা’ কিতাব হতে দলীল গ্রহণ করেছেন। তাই তাদেরকে বলতে চাই একটু মাথা ঠান্ডা করে চিন্তা করে কাশফুল খাফা গ্রন্থটি খুলে দেখুন ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (رحمة الله)‘র এটি বর্ণনা করেছেন সে কথা আছে কি নেই। আল্লাহর কাছে পানাহ চাই এই সমস্ত সত্য গোপনকারী লোকদের থেকে, যারা জেনে শুনে সত্যকে গোপন করে। কেননা ‘আল্লাহ্ তা‘য়ালা বলেন, তার চেয়ে বড় যালিম কে যে সত্যকে গোপন করে? (আল-কোরআন)।
৬. ইমাম বুরহানুদ্দিন হালবী আশ-শাফেয়ী (رحمة الله) [ওফাত. ১০৪৪ হি.] স্বীয় বিখ্যাত সিরাত গ্রন্থ ‘‘সিরাতে হালাবিয়্যাহ’’ এর ১/৩৭ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাজ্জাক (রহ.) সূত্রে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেন।
৭. আল্লামা শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী (رحمة الله) স্বীয় প্রসিদ্ধ সিরাত গ্রন্থ ‘‘মাদারিজুন নবুয়াত’’ (ফার্সী, মুদ্রণ: মাকতাবা এ নূরিয়্যাহ, করাচী, পাকিস্তান) এর ২য় খণ্ডের ৫ পৃষ্ঠায় উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেন।
৮. মাওলানা আব্দুল হাই লাক্ষনৌভি [ওফাত. ১৩০৪ হি.] তাঁর ‘‘আছারুল মারফ‚আ ফিল আখবারিল মাওদ্বুআহ’’ ৪২-৪৩ পৃষ্ঠায় ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (رحمة الله) এর সনদ সহকারে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন বলে উলেখ করেছেন।
পাঠকবৃন্দ! আপনারা লক্ষ্য করুন, প্রচলিত উক্ত তিনটি গ্রন্থের লেখকগণ অসংখ্য স্থানে তাদের গুরু হিসেবে মাওলানা আব্দুল হাই লাক্ষনোভী সাহেবের উক্ত গ্রন্থ হতে অসংখ্য স্থানে দলীল গ্রহণ করেছেন, কিন্তু উক্ত হাদিসটির বেলায় তারা উক্ত রায়টিকে এবং উক্ত হাদিসটিকে কি গ্রহণ করেছেন? না, বরং সত্যকে ধামাচাপা দিয়েছেন। তাই আল্লাহ্ তা‘য়ালার নিকট এই সমস্ত সত্য গোপনকারী নামধারী আলেম হতে পানাহ চাই।
৯. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) [ওফাত. ১০১৪ হি.] ‘আল-মাওরিদুর রাভী ফিল মাওলীদিন নবী’ গ্রন্থের (মাকতুবাতুল তাওফিকহিয়্যাহ, কায়রু, মিসর থেকে মুদ্রিত) ২২ পৃষ্ঠায় উক্ত হাদিসটি ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (رحمة الله)‘র সূত্রে উলেখ করেছেন।
১০. আল্লামা ইবনে হাজার হায়তামী আল মক্কী (رحمة الله) [ওফাত. ৯৭৪ হি.] তার হাদিস ভিত্তিক ফিকহের গ্রন্থ ‘ফতোয়ায়ে হাদীসিয়্যাহ’ (যা দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন হতে প্রকাশিত) এর ৪৪ পৃষ্ঠায় উক্ত হাদিসটি ইমাম আবদুর রাজ্জাক (رحمة الله)‘র সূত্রে সংকলন করেন।
১১. আল্লামা শায়খ ইউসূফ নাবহানী (رحمة الله) স্বীয় প্রসিদ্ধ সিরাত গ্রন্থ ‘‘হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামীন’’ এর ৩২-৩৩ পৃষ্ঠায় (যা মাকতুবাতু তাওফিকহিয়্যা, কায়রু, মিশর হতে প্রকাশিত) উক্ত হাদিসটি ইমাম আবদুর রাজ্জাক (رحمة الله)‘র সূত্রে সংকলন করেন।
১২-১৪. আল্লামা শায়খ ইউসূফ বিন নাবহানী (رحمة الله) স্বীয় অন্যতম প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘‘জাওয়াহিরুল বিহার’’ এর ৩য় খণ্ডের ৩৭৭ পৃষ্ঠায় এবং ৩/৩১২ পৃষ্ঠায় এবং ২/২১৯ পৃষ্ঠায় ইমাম আব্দুর রাজ্জাকের বরাতে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
১৫. আল্লামা আরেফ বিল্লাহ আবদুল গণী নাবলূসী (رحمة الله) স্বীয় প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘‘আল হাদীকাতুন নাদিয়্যাহ শরহে আত-তারীকাতুল মুহাম্মাদিয়্যাহ’’ গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ৩৭৫ পৃষ্ঠায় ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (رحمة الله) বরাতে উক্ত হাদিসটি হযরত জাবের (رضي الله عنه) এর সূত্রে উলেখ করেছেন।
১৬. আল্লামা শায়খ ইউসূফ বিন নাবহানী (رحمة الله) স্বীয় প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘‘আনওয়ারে মুহাম্মাদিয়া’’ গ্রন্থের ৯ পৃষ্ঠায় উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করার পর বলেন, উক্ত হাদিসটি ইমাম আব্দুর রাজ্জাক সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন।
১৭. আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ বিন উমর নববী আল-জাভী [ওফাত. ১৩১৬ হি.] স্বীয় বিখ্যাত সিরাত গ্রন্থ ‘‘আদ্-দুরারুল বাহিয়্যাহ’’ গ্রন্থের ৪-৮ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাজ্জাক (رحمة الله) এর সনদে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
১৮. আল্লামা আহমদ আবদুল জাওয়াদ দামেস্কী (رحمة الله) স্বীয় সিরাজুম মুনীর গ্রন্থের ১৩-১৪ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাজ্জাক (رحمة الله) এর বরাতে উক্ত হাদিসটি উলেখ করেছেন।
১৯ ইমাম মুহাম্মদ মাহদী আল-ফাসী সুফী (رحمة الله) [ওফাত.১২২৪ হি.] তাঁর ‘‘দালায়েলুল খায়রাত’’ গ্রন্থের ব্যাখ্যা গ্রন্থ ‘‘মাতালিউল মার্সারাত শরহে দালায়েলুল খায়রাত’’ এর ২১ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাজ্জাক (رحمة الله) এর বরাতে উক্ত হাদিসটি উলেখ করেছেন।
২০. আরেফ বিল্লাহ শায়খ আবদুল করিম জলীলী (رحمة الله) স্বীয় বিখ্যাত গ্রন্থ الناموس الاعظم والقاموس الاقدام فى المعرفة قدر النبى صلى الله عليه و سلم এর ২৪১ পৃষ্ঠায় ইমাম বায়হাকী (رحمة الله) এর বরাতে ও ইমাম আবদুর রাজ্জাক (رحمة الله) এর বরাতে উক্ত হাদিসটি উলেখ করেছেন।
২১. মুহাদ্দিস ইমাম খরপূতী (رحمة الله) স্বীয় প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘‘কাসীদাতুশ শাহাদাহ শরহে কাসীদায়ে বুরদাহ’’ গ্রন্থের পৃষ্ঠা নং ১০০ এ ইমাম আবদুর রাজ্জাক (رحمة الله) এর বরাত দিয়ে উক্ত হাদিসটি উলেখ করেছেন।
২২. আল্লামা শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী (رحمة الله) স্বীয় বিখ্যাত গ্রন্থ তাহফিমাতে ইলাহিয়্যাহ এর ১৯ পৃষ্ঠায় ইমাম আব্দুর রাজ্জাক সূত্রে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
২৩. আল্লামা ইমাম মাহমুদ আলূসী (رحمة الله) স্বীয় বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ ‘তাফসীরে রুহুল মায়ানী’ তে সূরা আম্বিয়ার ১০৭ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় ১৭ তম পারার ৯ম খণ্ডের ১৭৭ পৃষ্ঠায় হযরত জাবের (رضي الله عنه) এর সূত্রে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
২৪. আল্লামা কাযি হোসাইন ইবনে মুহাম্মদ দিয়ার বকরী (رحمة الله) [ওফাত. ৯৬৬ হি.] তাঁর প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘‘কিতাবুল খামীস ফি আহওয়ালি আনফাসে নাফীস’’ গ্রন্থের ১/১৯-২০ পৃষ্ঠায় কিছুটা শব্দ পরিবর্তন করে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেন।
২৫. আল্লামা ইবনুল হাজ্জ আল মালেকী (رحمة الله) [ওফাত. ৭৩৭ হি.] স্বীয় প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘আল-মাদখাল’ এর ২য় খণ্ডের ৩২ পৃষ্ঠায় (দারুল ইহ্ইয়াউত তুরাস আল-আরাবী, বয়রুত, লেবানন হতে প্রকাশিত) হাদিসটি সংকলন করেন।
২৬. আল্লামা ইবনে হাজার হায়তামী মক্কী (رحمة الله) [ওফাত.৭৯৪ হি.] ‘আশরাফুল ওসায়েল ইলা ফাহমিল শামায়েল’ গ্রন্থের ১/২৭ পৃষ্ঠায় ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (رحمة الله)‘র বরাতে হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ আনসারী (رضي الله عنه) হতে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। ১০২
➥{আল্লামা ইউসূফ বিন নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/৯৬ পৃ.}
২৭. আল্লামা শরীফ সৈয়দ আহমদ বিন আব্দুল গণী বিন উমর দামেস্কী (رحمة الله) তার একাধিক গ্রন্থে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন বলে শায়খ ইউসুফ নাবহানী (رحمة الله) তার কিতাবে উল্লেখ করেছেন। ১০৩
➥[আল্লামা শায়খ ইউসূফ বিন নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৭৭ পৃ.]
২৮. ইমাম আরিফ বিল্লাহ শায়খ আলী দুদাহুল বুসনভী (رحمة الله) তার خلاصة الاثر গ্রন্থে ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (رحمة الله)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
২৯. ইমাম আবু সা‘দ খরকুশী নিশাপুরী (رحمة الله) যার ওফাত হচ্ছে ৪০৭ হিজরীতে তিনি তার প্রসিদ্ধ সিরাত গ্রন্থ ‘শরফুল মুস্তফা‘র ১/৩০৭ পৃষ্ঠায় (যা দারুল বাশায়েরুল ইসলামিয়্যাহ, মক্কাতুল মুর্কারামা হতে প্রকাশিত) হাদিসটি সংকলন করেছেন।
৩০. ইমাম ইয়াহইয়া বিন আবি বকর বিন মুহাম্মদ বিন বিন ইয়াহইয়া আল-আমরী আল-হারদ্বী (رحمة الله) যার ওফাত হচ্ছে ৮৯৩ হিজরীতে তিনি হাদিসটি ‘‘বাহজাতুল মাহফিল ওয়া বাগিয়াতুল আমসাল ফি তালখিসুল মু‘যিজাত ওয়াল সিইরু ওয়াল শামায়েল’’ গ্রন্থের ১/১৫ পৃষ্ঠায় ( যা দারুস্-সদর, বয়রুত, লেবানন হতে প্রকাশিত, শামেলা) পৃষ্ঠায় হাদিসটি সংকলন করেছেন।
৩১. শায়খ মুহাম্মদ বিন খিলাফাত বিন আলী আল-তাইমী তাঁর সিরাত গ্রন্থ ‘‘হুকুকুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আ‘লা উম্মাতি ফি যুউল কিতাব ওয়া সুন্নাহ’’ এর মধ্যে হাদিসটি সংকলন করেন। এটি আল-মুমলাকাতুল আরাবিয়্যাহ, রিয়াদ, সৌদি আরব হতে প্রকাশিত।
৩২. ইমাম ইয়াদরুসী (رحمة الله) তার ‘‘তারীখে নূরুস সফর’’ গ্রন্থে হাদিসটি সংকলন করেছেন।
৩৩. আল্লামা মাহমুদ আলূসী বাগদাদী (رحمة الله) স্বীয় ‘তাফসীরে রুহুল মা‘য়ানী’ প্রথমে সূরা ফাতেহার তাফসীরে (১/৫৪ পৃষ্ঠায়) হযরত জাবের (رضي الله عنه) হাদিসটি সংক্ষেপে ইঙ্গিত দিয়ে বর্ণনা করেছেন।
৩৪. আল্লামা সাভী আল-মালেকী (رحمة الله) [ওফাত. ১২৪১ হি.] তাঁর ‘‘হাশিয়াতুল সাভী আ‘লাল শরহুল সগীর’’ গ্রন্থের ৪/৭৭৮ পৃষ্ঠায় হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
৩৫. ইমাম মুহাম্মদ মাহদী আল-ফাসী সুফী (رحمة الله) [ওফাত. ১২২৪ হি.] তাঁর লিখিত তাফসীর ‘‘আল-বাহারুল মুদিদ ফি তাফসিরুল মাজিদ’’ এর ৫/২৭৪ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাজ্জাক (رحمة الله) এর বরাতে উক্ত হাদিসটি উলেখ করেছেন।
৩৬. ইমাম শিহাবুদ্দীন খিফ্ফাযী হানাফী (رحمة الله) [ওফাত. ১০৬৯ হি.] তাঁর স্বীয় তাফসীর গ্রন্থ ‘হাশিয়াতুল শিহাব আ‘লা তাফসিরুল বায়যাভী’ এর (৪/১৪৩ পৃষ্ঠায়, সূরা আন‘আমের এক আয়াতের ব্যাখ্যায়) মধ্যে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
৩৭. সৌদি আরবের আলেমদের সম্মেলিত ফাতওয়ার কিতাব ‘‘র্কুরাতুল আইনী বি ফাতওয়ায়ে উলামাউল হারামাইন’’ (যার ১/৩২৫ পৃষ্ঠায়, যা মাকতাবাতুল তাযারিয়্যাহতুল কোবরা, মিশর হতে প্রকাশিত) যা সংকলন করেছেন শায়খ হুসাইন বিন ইবরাহিম আল-মাগরীবী আল-মিশরী আল-মালেকী. যার ওফাত হলো ১২৯২ হিজরীতে।
৩৮. আহলে হাদিস শায়খুল তৈয়্যব আহমদ হাতিয়্যাহ তিনি তাঁর ‘‘তাফসীরে শায়খ আহমদ হাতিয়্যাহ’’ এর ৩/৩৯৫ পৃষ্ঠায় বর্ণনা করেছেন।
৩৯. আল্লামা ইমাম আহমদ রেযা খাঁন ফাযেলে বেরলভী (رحمة الله) [ওফাত. ১৯২১ খৃ.] তার ‘‘নূরুল মোস্তফা’’ গ্রন্থে ৫-৭ পৃষ্ঠায় বিস্তারিত ভাবে ইমাম আবদুর রাজ্জাক (রহ.)‘র সূত্রে এবং ইমাম বায়হাকী (رحمة الله) ‘দালায়েলূল নবুয়ত’ এর বরাতসহ অনেক কিতাবের উদ্বৃতি দিয়ে উক্ত হাদিসটি উলেখ করেছেন।
৪০. আল্লামা সৈয়দ আহমদ সাঈদ কাযেমী (رحمة الله) ‘মিলাদুন্নবী’ গ্রন্থের ২২ পৃষ্ঠায় ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (رحمة الله)‘র সূত্রসহ আরো অনেক কিতাবের উদ্বৃতি দিয়ে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
৪১. ইসলামী ইতিহাসবিদ আল্লামা আব্দুল হামিদ মুহাম্মদ যিয়াউল্লাহ কাদেরী (رضي الله عنه) স্বীয় গ্রন্থ ‘ওহাবী মাযহাব কী হাকীকত’ (উর্দু) এর ৬৪১ পৃষ্ঠায় হযরত জাবের (رضي الله عنه) এর হতে অনেক সূত্রে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
৪২. আল্লামা মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী (رحمة الله) স্বীয় অন্যতম গ্রন্থ ‘‘রিসালায়ে নূর’’ এর ১৯ পৃষ্ঠায় জাবের (رضي الله عنه) হতে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
৪৩. মাওলানা কেরামত আলী জৈনপুরী সাহেব তার উলেখযোগ্য গ্রন্থ ’’বারাহেনে কাতেয়া ফি মওলিদে খাইরিল বারিয়্যাহ’’ এর ৫ পৃষ্ঠায় হযরত জাবের (رضي الله عنه) এর বর্ণনায় উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
৪৪. দেওবন্দের অন্যতম আলেম মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেব ‘‘নশরুত্তীব’’ এর ২৫ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাজ্জাক (رحمة الله) এর সূত্রে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
৪৫. দেওবন্দীদের অন্যতম শায়খুল হাদিস ইদ্রিস কান্দ্রলভী সাহেব ’’মাকামাত ফি হাদিসিয়্যাহর ’’১ম খণ্ডের ২৪১ পৃষ্ঠায় আবদুর রাজ্জাক (رحمة الله) এর সূত্রে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
৪৬. পাকিস্তানের ওহাবী দেওবন্দী মুহাদ্দিস সরফরায খাঁন সফদর ‘‘নূর আওর বাশার’’ এর ৩২ (উর্দূ) পৃষ্ঠায় বর্ণনা করে হাদিসের সত্যতা স্বীকার করেছেন। কিন্তু তার মাথা ব্যথা হলো ইমাম আবদুর রাজ্জাক (رحمة الله) নাকি শিয়া পন্থী, তার জবাব সামনে আলোচনায় আসবে।
৪৭. ভারতীয় উপমহাদেশের ওহাবী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা শাহ ইসমাঈল দেহলভী সাহেব তার ‘রেসালায়ে একরোজী’ পৃষ্ঠা নং ১১ এ উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
৪৮. ‘তাফসীরে নূরুল কোরআন’ এর লেখক মাওলানা আমিনুল ইসলাম সাহেব ‘‘নূর নবী’’ গ্রন্থের ১৫ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাজ্জাক (رحمة الله) এর সূত্রে উক্ত হাদিসটি তার গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। অপরদিকে তিনি মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেবের নশরুত্তীব এর হুবহু বাংলা অনুবাদও করেছেন আর তার নাম তিনি দিয়েছেন ‘যে ফুলের খুশবোতে সাড়া জাহান মাতোওয়ারা’ এ পুস্তুকটি এখনও বাংলাবাজার ইসলামী টাওয়ারে পাওয়া যায়।
৪৯. বর্তমানের দেওবন্দীদের তথাকথিত শাইখুল হাদিস মুফতি মনসুরুল হক ‘‘মাসিক আদর্শনারীতে (২০১২ ইং এর সিরাতুন্নবী (ﷺ) সংখ্যায় দরসে হাদিসে) এক পর্যায়ে হযরত জাবের (رضي الله عنه)-এর হাদিসটি সংক্ষেপে ইমাম আবদুর রাজ্জাকের সূত্রে সংকলন করেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন