ইসলাম বহির্ভূত দল সম্পর্কে নবীজির ভবিষ্যতবাণী
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাতের পর ইসলাম বহির্ভূত দল আসবে। সে সম্পর্কে নবীজি আগেই জানতেন। বিভিন্ন হাদিস শরীফে এ সম্পর্কে প্রমান। পাওয়া যায়। এখানে সেরকম কয়েকটি হাদিস শরীফ পাঠকের সামনে তুলে ধরছি।
১. নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, “শেষ জামানায় এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হবে, যারা হবে অল্প বয়স্ক যুবক, নির্বোধ। তারা সৃষ্টির সব চাইতে শ্রেষ্ঠতম কথা (কুরআন) থেকে আবৃত্তি করবে। অথচ ঈমান তাদের গলদেশ অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে বের হয়ে যায়। (বুখারী শরীফ ১০ম খন্ড, ৬৪৬১ নং হাদিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)।
২. নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, “উম্মতের মধ্য থেকে একটি দল বের হবে। যাদের নামাজের তুলনায় তােমরা তােমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে। তারা কুরআন পড়বে বটে কিন্তু তা তাদের গলদেশ অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন থেকে বের হয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে বের হয়ে যায়।” (বুখারী শরীফ ১০ম খন্ড, ৬৪৬২ নং হাদিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)।
৩.নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, “তােমাদের মধ্যে এক
সম্প্রদায় বের হবে যারা তুচ্ছ মনে করবে তােমাদের নামাজকে তাদের নামাজের
মুকাবিলায় এবং তােমাদের রােজাসমূহকে তাদের রােজার মুকাবিলায় এবং তােমাদের আমলসমূহকে তাদের আমলসমূহের মুকাবিলায়। তারা কুরআন পাঠ করবে কিন্তু কুরআন তাদের গলদেশের নিচে যাবে না। তারা ধর্ম হতে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর শিকারকে ভেদ করে বের হয়ে যায়।" (মুয়াত্তা শরীফ, ১ম খন্ড, ২৬৬ পৃষ্ঠা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)।
৪. নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, “পূর্বাঞ্চল থেকে একদল লােকের আবির্ভাব ঘটবে। তারা কুরআন পাঠ করবে, তবে তাদের এ পাঠ তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না।তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে, যেভাবে ধনুক থেকে তীর বেরিয়ে যায়। তারা আর ফিরে আসবে না, যে পর্যন্ত তীর ধনুকের ছিলায় না আসে। বলা হল, তাদের আলামত কি? তিনি বললেন,
তাদের আলামত হলাে মাথা মুন্ডন (মাথা ন্যাড়া করা)।” (বুখারী শরীফ ১০ম খন্ড, ৭০৫২ নং হাদিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)।
উল্লেখ্য যে, প্রচলিত তাবলীগ দল আরবের পূর্বাঞ্চল তথা ভারত হতেই আবির্ভূত হয়েছে। অধিকাংশ আলেম উলামাদের মতামত হলাে- উক্ত হাদিস খানা বর্তমান তাবলীগ জামাতের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য। কেননা বর্তমান তাবলীগীদের মধ্যে যুবকদের সংখ্যা বেশী এবং বেশিরভাগ তাবলীগ জামাতের লােকেরা মাথা ন্যাড়া করে রাখে। এটা কে তারা সুন্নত হিসেবে চালিয়ে দিতে চায়।
উপরােক্ত হাদিসের আলােকে প্রতীয়মান হয় যে, ইলিয়াছি তাবলীগ একটি নতুন ফিতনা। আরবের পূর্ব দিক (ভারত) হতে এ ফিতনা আবির্ভূত হবে, এ সম্পর্কে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূর্বেই ভবিষ্যত বাণী করেছেন। বুখারী শরীফে এ সম্পর্কে কয়েকটি হাদিস শরীফ উল্লেখ করা হয়েছে।
• আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেছি, তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করে বলেছেন, ‘সাবধান! ফিতনা এখানেই। সাবধান! ফিতনা এখানেই। যেখান হতে শয়তানের শিং উদিত হবে।' (বুখারী শরীফ, ৫ম খন্ড, ৩০৪৯ নং হাদিস, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন)।
ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ফিতনা এদিক থেকে আসবে। তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করলেন। (বুখারী শরীফ, ৯ম খন্ড, ৪৯১৪ নং হাদিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন