অষ্টম অধ্যায়
★গেয়ারভী শরীফের ইতিহাস★
★হযরত গাউসুল আ’যম আবদুল কাদের জিলানী (رضي الله عنه) কিভাবে নবীগণের এই গেয়ারভী শরীফ পেলেন?★
গেয়ারভী শরীফ মূলতঃ খতম ও দোয়া বিশেষ। হযতর গাউসুল আযম (رضي الله عنه) এর ইনতিকাল দিবসকে উপলক্ষ করে প্রতি চন্দ্র মাসের ১১ই তারিখে রাতে বা দিনে গাউসে পাকের পবিত্র রূহে ইছালে ছাওয়াবের উদ্দেশ্যে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আলেম উলামা ও পীর মাশায়েখগণ উক্ত গেয়ারভী শরীফ বিশেষ নিয়মে খতমের মাধ্যমে পালন করে থাকেন। হযতর গাউসুল আযম (رضي الله عنه) কিভাবে এই গেয়ারভী শরীফ পেলেন- সে সম্পর্কে “মিলাদে শায়খে বরহক” বা ফাযায়েলে গাউছিয়া” নামক কিতাবে বর্ণিত আছেঃ
“হযতর গাউসুল আযম আবদুল কাদের জিলানী (رضي الله عنه) (৪৭১-৫৬১) নবী করিম (ﷺ) এর বেলাদত উপলক্ষে প্রতি বৎসর ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখটি নিয়মিতভাবে ও ভক্তি সহকারে পালন করতেন। এক দিন স্বপ্নের মধ্যে নবী করিম (ﷺ) গাউসে পাক্কে বললেন- “আমার ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখকে তুমি যেভাবে সম্মান প্রদর্শন করে আসছো এর বিনিময়ে আমি তোমাকে আম্বিয়ায়ে কেরামের গেয়ারভী শরীফ দান করলাম”- মীলাদে শায়খে বরহক।
হযতর গাউসুল আযমের তরিকাভূক্ত পীর মাশায়েখগণ এবং অন্যান্য তরিকার মাশায়েখগণও গাউসে পাকের অনুসরণে প্রতি চন্দ্র মাসের ১১ তারিখ রাত্রে বা দিনে বিশেষ নিয়মে এই গেয়ারভী শরীফ পালন করে থাকেন এবং কেয়ামত পর্যন্ত ইহা চালু থাকবে- ইন্শাআল্লাহ।
++++++++
ফতোওয়ায়ে আহলে সুন্নাহ (আটটি বিষয়ের সমাধান)
গ্রন্থনা ও সংকলনেঃ
মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর
প্রতিষ্ঠাতা, ইমাম আযম রিসার্চ সেন্টার, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ ০১৭২৩-৯৩৩৩৯৬
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন