অষ্টম অধ্যায়
★গেয়ারভী শরীফের ইতিহাস★
★গেয়ারভী শরীফের ফযিলত ★
ফাযায়েলে গাউছিয়া বা মীলাদে শায়খে বরহক কিতাবে উল্লেখ আছে-
১. যে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে প্রতি চাঁদের ১১ তারিখে গেয়ারভী শরীফ পালন করবে, সে অল্পদিনের মধ্যে ধনবান ও স্বচ্ছল হবে এবং তার দরিদ্রতা দূর হয়ে যাবে। যে ব্যক্তি ইহাকে অস্বীকার করবে, সে দারিদ্রের মধ্যে থাকবে।
২. যেখানে এই গেয়ারভী শরীফ পালিত হয়, সেখানে খোদার রহমত নাযিল হয়। কেননা, হাদীস শরীফে আছে-
تنزل الرحمة عند ذكر الصالحين
-“তানায্যালুর রাহমাতু ইন্দা যিকরিছ ছালেহীন”
অর্থাৎ আউলিয়াগনের আলোচনা মজ্লিশে খোদার রহমত নাযিল হয়ে থাকে।
🔺(ক. আল্লামা আযলূনী : কাশফুল খাফা : ২/৬৫ পৃ. হাদিস : ১৭৭০
খ. খতিবে বাগদাদী : তারিখে বাগদাদ : ৩/২৪৯ পৃ., দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত)
হযরত মু‘য়ায ইবনে জাবাল (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ) হতে বর্ণিত-
ذِكْرُ الأنْبِياءِ مِنَ العِبادَةِ وذِكْرُ الصَّالِحِينَ كَفَّارَةٌ وَذِكْرُ المَوْتِ صَدَقَةٌ وَذِكْرُ القَبْرِ يُقَرِّبُكُمْ مِنَ الجَنَّةِ
-‘‘রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন : নবীগণের যিকির হলো ইবাদত, সালেহীনদের (ওলীদের) যিকির হলো গুনাহের কাফ্ফারা, মওতের যিকির বা স্মরণ হলো সদকার সমতুল্য, কবরের কথা যিকির বা স্মরণ করলে তা তোমাদেরকে জান্নাতের নিকটবর্তী করে দেবে।’’
🔺(ক. ইমাম দায়লামী : আল মুসনাদুল ফিরদাউস : ১/৮২ পৃ., ইমাম সূয়তী : জামেউস সগীর : ১/৬৬৫ হাদিস নং : ৪৩৩১, ইমাম দায়লামী “হাসান” বলেছেন, ইমাম সূয়তী : জামিউল আহাদিস : ১৩/৪০পৃ. হাদিস : ১২৫০২, মুত্তাকী হিন্দী : কানযুল উম্মাল : ১৫/৮৬৪ পৃ. হাদিস : ৪৩৪৩৮,ও ১৫/৯১৮পৃ. হাদিস : ৪৩৫৮৪, আজলুনী, কাশফুল খাফা, ১/৪৮০পৃ. হাদিসঃ ১৩৪৫, শায়খ ইউসুফ নাবহানী, ফতহুল কাবীর, ২/১১৫পৃ. হাদিস, ৬৪৫৯, মানাবী, ফয়যুল কাদীর, ৩/৫৬৪পৃ.)
যে ব্যক্তি এই গেয়ারভী শরীফ পালন করবে, সে খায়র ও বরকত লাভ করবে।
৪. যে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে গেয়ারভী শরীফ পালন করবে, সে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাবে। দুঃখ ও চিন্তা মুক্ত হবে এবং সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করবে।
+++++++++
ফতোওয়ায়ে আহলে সুন্নাহ (আটটি বিষয়ের সমাধান)
গ্রন্থনা ও সংকলনেঃ
মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর
প্রতিষ্ঠাতা, ইমাম আযম রিসার্চ সেন্টার, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ ০১৭২৩-৯৩৩৩৯৬
(সমাপ্ত)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন