আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম‘আত কারা?


বিষয় নং-০৮: দূর এবং নিকট হতে শুনা:


দেওবন্দীদের আকিদা হল যে, হুযুর পুর নূর (ﷺ) কেবল মদীনা শরীফেই আমাদের আওয়াজ শুনেন। দূর দূরান্ত থেকে শুনেন না। এমন আকিদা রাখা শিরক।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা হল সরকারে কানেয়াত (ﷺ) মদিনা মুনাওয়ারা থেকে যেভাবে উম্মতের প্রার্থনা শুনেন, অনুরূপভাবে দূর দূরান্ত থেকেও শুনতে পান।

আ‘লা হযরত (رحمة الله) বলেন-

دورد نزد يک کى سننے والے وه كان

كان لعل كرامت پر لاكهوں سلام

‘‘দূর-সামীপ্য শ্রাব্য নবুওয়তি কান

কারামাতপূর্ণ ভান্ডারে লাখো সালাম।’’

শাহেনশাহে আরব ওয়া আজম (ﷺ)’র মর্যাদাবান সাহাবায়ে কেরাম (রা:) গণ যেমনিভাবে মদিনা শরীফ হতে ডাকেন, অনুরূপভাবে দূরদূরান্ত এলাকা, এমন কী যুদ্ধের ময়দান হতেও আহ্বান সূচক হরফ (يا) দ্বারা ডাকেন। যেমন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه)’র ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ) বলে ডাকা, অনুরূপভাবে যুদ্ধের ময়দান থেকে ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ) বলে ডাকাও সাহাবায়ে কিরামগণ (রা:) অভ্যাস ছিল।

তেমনিভাবে হয়রত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) এবং হয়রত উসমান বিন হানিফ (رضي الله عنه)ও ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ) বলে প্রার্থনা করতেন। এসব বর্ণনা হতে প্রতীয়মান হয় যে, সাহাবায়ে কিরাম (রা:) গণ দূর-কাছ থেকে রাসূল (ﷺ) কে ডেকে প্রার্থনা করতেন এর ফলে তাঁদের হাজতপূর্ণ হত। সাহাবায়ে কেরামগণ (রা:) দূরদূরান্ত থেকে আহ্বান করা দ্বারা বুঝা যায়, তাঁদের আকিদা ছিল যে, রাসূল (ﷺ) দূর-কাছ থেকে সমানভাবে শুনতেন।

শাফিয়ে মহাশর, ছাকিয়ে কাউসার (ﷺ) ইরশাদ করেন,

إِنِّي أَرَى مَا لَا تَرَوْنَ، وَأَسْمَعُ مَا لَا تَسْمَعُونَ

-“আমি তাই শুনি যা তোমরা শুনোনা।’’ ১০৮

টিকা━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━

১০৮. সুনানে ইবনে মাযাহ, ২/১৪০২ পৃ. হা/৪১৯০, তিবরিযি, মিশকাত শরীফ, ৩/১৪৬৯ পৃ. হা/৫৩৪৭, ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান, ৪/১৩৪ পৃ. হা/২৩১২, বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, ৭/৮৩ পৃ. হা/১৩৩৩, ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ৩৫/৪০৫ পৃ. হা/২১৫২৬,
ইমাম হাকেম, আল-মুস্তাদরাক, ২/৫৫৪ পৃ. হা/৩৮৮৩, তিনি বলেন-

 هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ -

‘‘এ হাদিসটির সনদ সহীহ, যদিওবা তাঁরা সংকলন করেননি।

━━━━━━━━━
আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম‘আত কারা?

মূল: আল্লামা আবুল হামেদ মুহাম্মদ জিয়াউল্লাহ কাদেরী আশরাফী (رحمة الله)।

ভাষান্তর
মাওলানা হাফেয মুহাম্মদ আতিকুর রহমান
বিএ অনার্স ৪র্থ বর্ষ, ইসলামিক স্টাডিজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

সম্পাদনায়, তাখরীজ, প্রকাশক:
মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন