নবীজির মু'জিযা
(৮৭)
কুলির পানি থেকে ফলজ বৃক্ষ
আল্লামা যমখাশরী “রবীউল আবরার” নামক গ্রন্থে হযরত উম্মে মা'বাদ (رضي الله عنه)'র খালত বােন হিন্দ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী করিম (ﷺ) আমার তাঁবুতে আরাম করেছিলেন। ঘুম থেকে উঠে তিনি পানি তলব করলেন। পানি দিয়ে তিনি হাত ধুয়ে এবং কুলি করে কুলির পানি তাঁবুর পাশেই একটি বৃক্ষের শিকড়ে নিক্ষেপ করলেন। সকালে উঠে আমরা দেখি সেখানে একটি তরু-তাজা বৃক্ষ উঠে ফলে ভারে নুয়ে পড়েছে এবং পাকা ফলের সুগন্ধি বের হচ্ছে। এই বৃক্ষের ফল মধুর চেয়েও মিষ্টি ছিল। কোন ক্ষুধার্ত লােকে খেলে পরিতৃপ্ত হয়ে যেতাে। কোন পিপাসার্ত লােকে খেলে তৃষ্ণা মিটে যেতাে এবং কোন অসুস্থ লােকে খেলে সুস্থ হয়ে যেতাে। কোন ছাগল কিংবা ভেড়ায় ঐ বৃক্ষের পাতা খেলে দুধে স্তন পূর্ণ হয়ে যেতাে। আমরা ঐ বৃক্ষের নাম রেখেছি মােবারাকাহ। লােকেরা দূর-দূরান্ত থেকে আমাদের কাছে বিভিন্ন প্রকারের রােগীদের নিয়ে এসে ঐ বৃক্ষের ফল খেয়ে শেফা লাভ করত।
একদিন আমরা দেখলাম যে, ঐ বৃক্ষের সব পাতা শুকিয়ে মাটিতে পড়ে গেল। এতে আমরা খুবই দুঃখিত হলাম, পরে রাসূল (ﷺ)’র ইন্তেকালের সংবাদ পেলাম। এর ত্রিশ বছর পর আমরা দেখলাম ঐ বৃক্ষের শাখা-প্রশাখায় পর্যন্ত শুধু কাঁটা আর কাঁটা এবং ফল ঝড়ে পড়েছে। ঐ দিনই আমরা হযরত আলী (رضي الله عنه)'র শাহাদতের সংবাদ পেয়েছে। এরপর থেকে ঐ বৃক্ষ আর ফল ধরেনা তবে আমরা ঐ বৃক্ষের পাতা থেকে উপকৃত হচ্ছি। একদিন উঠে দেখি ঐ বৃক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে এবং পাতাগুলাে মরে শুকিয়ে গিয়েছে। আমরা অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লাম। এ সময় আমরা হযরত হােসাইন (رضي الله عنه)'র শাহাদতের সংবাদ পাই। এরপর ঐ বৃক্ষ মরে শুকিয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছিল।
১৮৮. আব্দুর রহমান জামী (رحمة الله) (৮৯৮হি.), শাওয়াহেদুন নবুয়ত, উর্দু, বেরেলী, পৃ:১১৭)।
+++++++
বিষয় ভিত্তিক মুজিযাতুর রাসূল (ﷺ)
হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ওসমান গণি
আরবি প্রভাষক,জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া,ষােলশহর, চট্টগ্রাম।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন