"ঈমান " প্রসঙ্গে ইমামে আহলে সুন্নাত ইমাম আহমদ রজা ফাজেলে বেরেলভী রদিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্যঃ
--------------------
তােমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্ রব্বুল আলামীন এরশাদ করেন-
يحلفون با الله ماقالوا - ولقد قالوا كلمة الكفر وكفروا بعد اسلامهم
তরজমাঃ তারা (অর্থাৎ মুনাফিকরা) আল্লাহর নামে শপথ করে বলে, নবীর শানে অবমাননা করে নাই। আর (আল্লাহ্ পাক বলেন) নিশ্চয় তারা কুফরী বাক্য বলেছে এবং মুসলমান হওয়ার পর কাফের হয়ে গেছে। (সূরা তাওবা, ১৬ নং রুকু)।
ইমাম ইবনে জরীর, তবরানী, আবুশ শেখ এবং ইবনে মারদুয়া মুফাসসীরকুল সরদার সাইয়্যেদুনা হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন- রাসূলে আকরম নূরে মুজাসসাম ছাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম একদা এক বৃক্ষের ছায়ায় অবস্থানরত ছিলেন। রাসূল (দঃ) এরশাদ করলেন- অতিসত্বর এমন এক ব্যক্তির আগমন হবে যে ব্যক্তি তােমাদেরকে শয়তানের দৃষ্টিতে দেখবে। যদি সে আসে তবে তােমরা তার সঙ্গে
কথা বলবে না। অল্প কিছুক্ষণ পর ছােট চোখ বিশিষ্ট এক লােক আমাদের সম্মুখ দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলাে। রাসূলে আকরাম (দঃ) তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি এবং তােমার সঙ্গী কোন বিষয়ে আমার শানে অবমাননাকর কথা বলছাে? সে লােকটি গিয়ে তার সঙ্গীকে ডেকে নিয়ে এলাে। অতঃপর সবাই আল্লাহর নামে শপথ করে বলতে লাগলাে- আমরা হুজুর ছাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম শানে অবমাননাকর কোন বাক্য উচ্চারন করিনি। তখনই আল্লাহ্ পাক এই আয়াত অবতীর্ণ করলেন- আল্লাহর নামে শপথ করে বলে যে, তারা অবমাননা করে নাই। অথচ অবশ্য তারা (রাসূলের শানে) কুফরী বাক্য বলেছে এবং রাসূলে পাক ছাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের শানে অবমাননা করে মুসলমান হওয়ার পর কাফের হযে গেছে। এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো যে, আল্লাহ্ পাক স্বয়ং সাক্ষ্য দিচ্ছেন-নবীর শানে অবমাননাকর শব্দ বা বাক্য কুফরী এবং এই অবমাননাকারী শত-সহস্র বার মুসলমানীর দাবী কিংবা কলেমা পাঠ করলেও সে তৎক্ষনাৎ কাফের হয়ে যাবে।
আল্লাহপাক আরাে এরশাদ করেন-
ولئن سألتهم ليقولن انما كنا نخوض وتلعب - قل ابا الله واياته ورسوله کنتم تستهزؤن لاتعتذروا قدكفرتم بعد ايمانکم.
তরজমাঃ আর যদি আপনি জিজ্ঞাসা করেন তাদেরকে অবশ্যই তারা বলবে আমরা তাে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছি মাত্র। (ও হে রাসূল (দঃ)! আপনি তাদের বলুন- তােমরা কি আল্লাহপাক তাঁর কুদরতের নিদর্শনাবলী এবং তাঁর রাসূলের সঙ্গে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছাে। কোনরুপ উযর-অজুহাত পেশ করাে না। তােমরা ঈমান আনয়নের পর কাফের হয়ে গেছো।
ইমাম ইবনে আবি শাইবা (রঃ), ইবনে জরীর (রঃ), ইবনুল মুনাযির (রঃ) , ইবনে আবী হাতেম (রঃ), ইমাম আবুশ শেখ (রঃ) এবং ইমাম মুজাহিদ (রঃ) মুফাসসিরকুল শিরমনী হযরত আবদুল্লাহ্ বিন আব্বাস (রঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে-
انه قال في قوله تعالی ولئن سألتهم ليقولن انما كنا نخوض وتلعب قال رجل من المنافقين يحدكنا محمد ان ناقة فلان بوادي كذا واما يدريه بالغيب
অর্থাৎ কোন এক ব্যক্তির উষ্ট্রী হারিয়ে গিয়েছিল। অতঃপর তা তালাশ করা হচ্ছিল। রাসূলে আকরম ছাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করলেন- উষ্ট্রী অমুক জঙ্গলের অমুক স্থানে আছে। তখন এক মুনাফিক মন্তব্য করে বসলাে- মুহাম্মদ (দঃ) কি গায়ব বা অদৃশ্য জ্ঞান জানেনঃ তখনই আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীন এই আয়াত অবতীর্ণ করলেন- "আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের সঙ্গে ঠাট্টা করছো? তবে কোন অজুহাত পেশ করােনা তােমরা মুসলমানীর দাবীদার হয়েও শানে রেছালতে এহেন অবমাননাকর শব্দ উচ্চারণ করার কারণে কাফের হয়ে গেছে।
(তাফসীরে ইবনে জরীর, দশম খন্ড, ১০৫ পৃঃ, তাফসীর দুররে মনছুর তৃতীয় খন্ড ২৫৪ পৃঃ)
মুমিনগণ!
লক্ষ্য করুন, রাসূলে করীম ছাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের শানে এতটুকু অবমাননাকর শব্দ- মুহাম্মদ (দঃ) কি "গায়ব" জানেনঃশত-সহস্র বারের কলেমা পাঠ কিংবা ইবাদত-রেয়াজত কোন কাজে আসে নাই। বরং আল্লাহ পাক সাফ জানিয়ে দিলেন- কোন অজুহাত গ্রহনযােগ্য নয় তােমরা মুসলমান হওয়ার পর কাফের হয়ে গেছে।
- সমাপ্ত -
--------------------
তােমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্ রব্বুল আলামীন এরশাদ করেন-
يحلفون با الله ماقالوا - ولقد قالوا كلمة الكفر وكفروا بعد اسلامهم
তরজমাঃ তারা (অর্থাৎ মুনাফিকরা) আল্লাহর নামে শপথ করে বলে, নবীর শানে অবমাননা করে নাই। আর (আল্লাহ্ পাক বলেন) নিশ্চয় তারা কুফরী বাক্য বলেছে এবং মুসলমান হওয়ার পর কাফের হয়ে গেছে। (সূরা তাওবা, ১৬ নং রুকু)।
ইমাম ইবনে জরীর, তবরানী, আবুশ শেখ এবং ইবনে মারদুয়া মুফাসসীরকুল সরদার সাইয়্যেদুনা হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন- রাসূলে আকরম নূরে মুজাসসাম ছাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম একদা এক বৃক্ষের ছায়ায় অবস্থানরত ছিলেন। রাসূল (দঃ) এরশাদ করলেন- অতিসত্বর এমন এক ব্যক্তির আগমন হবে যে ব্যক্তি তােমাদেরকে শয়তানের দৃষ্টিতে দেখবে। যদি সে আসে তবে তােমরা তার সঙ্গে
কথা বলবে না। অল্প কিছুক্ষণ পর ছােট চোখ বিশিষ্ট এক লােক আমাদের সম্মুখ দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলাে। রাসূলে আকরাম (দঃ) তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি এবং তােমার সঙ্গী কোন বিষয়ে আমার শানে অবমাননাকর কথা বলছাে? সে লােকটি গিয়ে তার সঙ্গীকে ডেকে নিয়ে এলাে। অতঃপর সবাই আল্লাহর নামে শপথ করে বলতে লাগলাে- আমরা হুজুর ছাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম শানে অবমাননাকর কোন বাক্য উচ্চারন করিনি। তখনই আল্লাহ্ পাক এই আয়াত অবতীর্ণ করলেন- আল্লাহর নামে শপথ করে বলে যে, তারা অবমাননা করে নাই। অথচ অবশ্য তারা (রাসূলের শানে) কুফরী বাক্য বলেছে এবং রাসূলে পাক ছাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের শানে অবমাননা করে মুসলমান হওয়ার পর কাফের হযে গেছে। এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো যে, আল্লাহ্ পাক স্বয়ং সাক্ষ্য দিচ্ছেন-নবীর শানে অবমাননাকর শব্দ বা বাক্য কুফরী এবং এই অবমাননাকারী শত-সহস্র বার মুসলমানীর দাবী কিংবা কলেমা পাঠ করলেও সে তৎক্ষনাৎ কাফের হয়ে যাবে।
আল্লাহপাক আরাে এরশাদ করেন-
ولئن سألتهم ليقولن انما كنا نخوض وتلعب - قل ابا الله واياته ورسوله کنتم تستهزؤن لاتعتذروا قدكفرتم بعد ايمانکم.
তরজমাঃ আর যদি আপনি জিজ্ঞাসা করেন তাদেরকে অবশ্যই তারা বলবে আমরা তাে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছি মাত্র। (ও হে রাসূল (দঃ)! আপনি তাদের বলুন- তােমরা কি আল্লাহপাক তাঁর কুদরতের নিদর্শনাবলী এবং তাঁর রাসূলের সঙ্গে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছাে। কোনরুপ উযর-অজুহাত পেশ করাে না। তােমরা ঈমান আনয়নের পর কাফের হয়ে গেছো।
ইমাম ইবনে আবি শাইবা (রঃ), ইবনে জরীর (রঃ), ইবনুল মুনাযির (রঃ) , ইবনে আবী হাতেম (রঃ), ইমাম আবুশ শেখ (রঃ) এবং ইমাম মুজাহিদ (রঃ) মুফাসসিরকুল শিরমনী হযরত আবদুল্লাহ্ বিন আব্বাস (রঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে-
انه قال في قوله تعالی ولئن سألتهم ليقولن انما كنا نخوض وتلعب قال رجل من المنافقين يحدكنا محمد ان ناقة فلان بوادي كذا واما يدريه بالغيب
অর্থাৎ কোন এক ব্যক্তির উষ্ট্রী হারিয়ে গিয়েছিল। অতঃপর তা তালাশ করা হচ্ছিল। রাসূলে আকরম ছাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করলেন- উষ্ট্রী অমুক জঙ্গলের অমুক স্থানে আছে। তখন এক মুনাফিক মন্তব্য করে বসলাে- মুহাম্মদ (দঃ) কি গায়ব বা অদৃশ্য জ্ঞান জানেনঃ তখনই আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীন এই আয়াত অবতীর্ণ করলেন- "আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের সঙ্গে ঠাট্টা করছো? তবে কোন অজুহাত পেশ করােনা তােমরা মুসলমানীর দাবীদার হয়েও শানে রেছালতে এহেন অবমাননাকর শব্দ উচ্চারণ করার কারণে কাফের হয়ে গেছে।
(তাফসীরে ইবনে জরীর, দশম খন্ড, ১০৫ পৃঃ, তাফসীর দুররে মনছুর তৃতীয় খন্ড ২৫৪ পৃঃ)
মুমিনগণ!
লক্ষ্য করুন, রাসূলে করীম ছাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের শানে এতটুকু অবমাননাকর শব্দ- মুহাম্মদ (দঃ) কি "গায়ব" জানেনঃশত-সহস্র বারের কলেমা পাঠ কিংবা ইবাদত-রেয়াজত কোন কাজে আসে নাই। বরং আল্লাহ পাক সাফ জানিয়ে দিলেন- কোন অজুহাত গ্রহনযােগ্য নয় তােমরা মুসলমান হওয়ার পর কাফের হয়ে গেছে।
- সমাপ্ত -
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন