সপ্তম অধ্যায়ঃ সফরের উদ্দেশ্যে আওলিয়ায়ে কেরামের মাযার যিয়ারত প্রসঙ্গঃ
কোরআনের আলোকে যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর
হযরত মুসা (আ:) কে নির্দেশ দেয়া হলোঃ
اذْهَبْ إِلَى فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَى
-‘‘ফিরাউনের কাছে যাও, কারণ সে বিদ্রোহী হয়ে গেছে।’’(সুরা নাযিআহ, আয়াত নং.১৭) তাবলীগের জন্য সফর প্রমাণিত হলো। মহান রব অন্যত্র বলেন-
قُلْ سِيرُوا فِي الْأَرْضِ ثُمَّ انْظُرُوا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُكَذِّبِينَ
-‘‘তাদেরকে বলুন, পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং কাফিরদের কি পরিণাম হয়েছে, তা দেখ।’’(সুরা আন‘আম, আয়াত, নং.১১) যেসব দেশে খোদায়ী গজব নাযিল হয়েছে, ওগুলো দেখে সতর্ক হওয়ার জন্য সফর প্রমাণিত হলো। কুরআন করীমে রয়েছে-
وَمَنْ يَخْرُجْ مِنْ بَيْتِهِ مُهَاجِرًا إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ يُدْرِكْهُ الْمَوْتُ فَقَدْ وَقَعَ أَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ
-‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও রাসূলের উদ্দেশ্য নিজ গৃহ থেকে মুহাজির হয়ে বের হলো এবং (পথে) তার মৃত্যু ঘটলো, তার পুরষ্কার আল্লাহর কাছে অবধারিত হয়ে গেল। (সুরা নিসা, আয়াত নং.১০০) হিজরত উপলক্ষে সফর প্রমাণিত হলো। এ রকম কুরআনুল কারীমে আরও বিভিন্ন নির্দেশনা রয়েছে সফরের জন্য।
+++++++++
ফতোওয়ায়ে আহলে সুন্নাহ (আটটি বিষয়ের সমাধান)
গ্রন্থনা ও সংকলনেঃ
মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর
প্রতিষ্ঠাতা, ইমাম আযম রিসার্চ সেন্টার, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ ০১৭২৩-৯৩৩৩৯৬
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন