সপ্তম অধ্যায়ঃ সফরের উদ্দেশ্যে আওলিয়ায়ে কেরামের মাযার যিয়ারত প্রসঙ্গঃ
ফাত্ওয়ায়ে শামী প্রথম খন্ডে ‘যিয়ারতে কুবুর’ শীর্ষক আলোচনায় উল্লিখিত আছে-
وَهَلْ تُنْدَبُ الرِّحْلَةُ لَهَا كَمَا اُعْتِيدَ مِنْ الرِّحْلَةِ إلَى زِيَارَةِ خَلِيلِ الرَّحْمَنِ وَأَهْلِهِ وَأَوْلَادِهِ، وَزِيَارَةِ السَّيِّدِ الْبَدَوِيِّ وَغَيْرِهِ مِنْ الْأَكَابِرِ الْكِرَامِ؟ لَمْ أَرَ مَنْ صَرَّحَ بِهِ مِنْ أَئِمَّتِنَا، وَمَنَعَ مِنْهُ بَعْضُ أَئِمَّةِ الشَّافِعِيَّةِ إلَّا لِزِيَارَتِهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قِيَاسًا عَلَى مَنْعِ الرِّحْلَةِ لِغَيْرِ الْمَسَاجِدِ الثَّلَاثَةِ. وَرَدَّهُ الْغَزَالِيُّ بِوُضُوحِ الْفَرْقِ،
-‘‘কবর যিয়ারত উপলক্ষে সফর করা মুস্তাহাব। যেমন আজকাল হযরত খলিলুর রহমান (رحمة الله) ও হযরত ছৈয়দ বদ্দবী (رحمة الله) এর মাযার যিয়ারতের জন্য সফর করা হয়। আমি এ ক্ষেত্রে আমাদের ইমামদের কারো ব্যাখ্যা দেখিনি। তবে শাফেঈ মাযহাবের কয়েকজন আলিম তিন মসজিদ ব্যতীত ভিন্ন সফর নিষেধ এ হাদীসের উপর অনুমান করে নিষেধ বলেছেন। কিন্তু ইমাম গাযযালী (رحمة الله) এ নিষেধাজ্ঞাকে খন্ডন করেছেন এবং পার্থক্যটা বিশ্লেষণ করে দিয়েছেন।’’
🔺(ইবনে আবেদীন শামী, ফাতওয়ায়ে শামী, ২/২৪২পৃ. দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন)
ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (رحمة الله) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় আরও বলেছেন-
وَأَمَّا الْأَوْلِيَاءُ فَإِنَّهُمْ مُتَفَاوِتُونَ فِي الْقُرْبِ مِنْ اللَّهِ - تَعَالَى، وَنَفْعُ الزَّائِرِينَ بِحَسَبِ مَعَارِفِهِمْ وَأَسْرَارِهِمْ.
-‘‘কিন্তু আল্লাহর ওলীগণ আল্লাহর নৈকট্য লাভে ও যিয়ারককারীদের ফায়দা পেীঁছানোর বেলায় নিজেদের প্রসিদ্ধ ও আধ্যাত্নিক শক্তি অনুসারে ভিন্নতর।’’
🔺(ইবনে আবেদীন শামী, ফাতওয়ায়ে শামী, ২/২৪২পৃ. দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন)
ইমাম ইবনে কুদামা (رحمة الله) বলেছেন- وَالصَّحِيحُ إبَاحَتُهُ، -‘‘বিশুদ্ধ হল তিন মসজিদ ছাড়াও অন্য কোন স্থানের উদ্দেশ্যে সফর করা বৈধ।’’
🔺(ইবনে কুদামা, আল-মুগনী, ২/১৯৫পৃ. মাকতুবাতুল কাহেরা, মিশর, প্রকাশ)।
+++++++++
ফতোওয়ায়ে আহলে সুন্নাহ (আটটি বিষয়ের সমাধান)
গ্রন্থনা ও সংকলনেঃ
মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর
প্রতিষ্ঠাতা, ইমাম আযম রিসার্চ সেন্টার, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ ০১৭২৩-৯৩৩৩৯৬
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন