কদম রসূলের ইতিহাস

পৃ:- ১৭
---------
মসজিদ ও মাজার
*********
ঈশা খাঁর ছেলে মুছা খাঁ, তদ্বীয় পুত্র মনােয়ার খাঁ। মনােয়ার খাঁ অল্প দিনের জন্সাে নারগাঁ পরগণার শাসক ছিলেন। পরে মােগলদের ভয়ে অনেক সময় পালিয়ে
বেড়াতে হয়েছে মনােয়ার খাঁকে। জীবনে এমনি অবস্থার মধ্যে কদমরছুলকে তিনি ভুলতে পারেননি। বহুদিন তিনি এসেছেন এই দরগাহ শরীফে । তিনি কদমরছুল
দরগাহের প্রান্তরে একটি ছােট সুন্দর মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন । উক্ত মসজিদের পরিবর্ধন আজও বিদ্যমান। মুসলমানদের উৎসব বলিতে অনেকক্ষেত্রে সমাবেশকে বুঝায়। উৎসব মুসলমানরা পালন করে অনেকটা গম্ভীর পরিবেশে । ধর্ম উৎসবের প্রাণ আর ধর্মের প্রাণ যেন একই সুত্রে গাঁথা। ধর্মউৎসব এবং মিলন উৎসব তাও মসজিদকে কেন্দ্র করে ।
কবর বা কবরস্থান সম্পর্কে নানাপ্রকার মতবাদ থাকলেও মুসলমান কবরের কথা ভুলতে পারে না । ইহকাল, পরকাল, আল্লাহ এবং যাহারা এই পৃথিবী থেকে চলে গিয়াছেন তাদের মধ্যে যেন মুসলমান উপস্থিত থাকিতে চান। জান্নাতবাসী সাধক, মহাপুরুষদের কবর কখনও ভুলিতে পারে না । তাহারা কবর জেয়ারত শুধু পূণ্য কাজ মনে করে না, অনেকটা অপরিহার্য মনে করে। হৃদয়ের অনেকটা স্থান দখল করে থাকে পবিত্র কবরস্থান ।
কদমরছুলে রয়েছে হাজী নুর মােহম্মদ সাহেবের তদীয় বিবির মাজার। হযরত শাহজালালের অন্যতম শিষ্য ধর্ম প্রচারক শেখ বােরহান উদ্দিন সাহেবের কবরও
বিদ্যমান। চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন মােগলদের শ্রেষ্ঠ সেনাপতি মির্জা নাথানের পিতা সেনাপতি ইহতিমাম খান। তাছাড়া সমাধি রয়েছে বহু অজ্ঞাত মুসলমান সাধক ও মহাপুরুষদের। হাজার হাজার দর্শক, ভক্ত জেয়ারত করেন এই পবিত্র মাজারগুলাে । 


                                                           (চলবে)

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন