সুন্নাত ও বিদ'আত

সুন্নাত ও বিদ‘আত
অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি
*************
عَنْ مالك رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تركت فيكم امرين لن تضلّوا ما تمسّكتم بهما كتاب الله وسنة نبيه [رواه مالك فى الموطا ـ رقم الحديث ـ ১৫৯৪]
অনুবাদ: হযরত মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, ‘‘আমি তোমাদের মাঝে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যদি তোমরা এ দু’টি জিনিস আঁকড়ে ধরো তবে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। আল্লাহ্ তা‘আলার কিতাব ও তাঁর নবীর সুন্নাত। [মুয়াত্তা শরীফ, হাদীস নং-১৫৯৪]
প্রাসঙ্গিক আলোচনা
বর্ণিত হাদীস শরীফে বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্য প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক হেদায়তের সঠিক নির্দেশনা বিঘোষিত হয়েছে। আল্লাহর নির্দেশিত ও প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক প্রদর্শিত সম্মানিত সাহাবাগণ ও আল্লাহর প্রিয় মকবুল বান্দাদের অনুসৃত জীবনাদর্শ অনুসরণই কুরআন সুন্নাহ্ ভিত্তিক জীবন গঠনের নামান্তর। ইহকালীন শান্তি, পরকালীন মুক্তি অর্জনে কুরআন-সুন্নাহর আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই। পবিত্র কুরআনের আলোকেই নবীজির জীবনাদর্শ পরিচালিত। মহাগ্রন্থ আল কুরআনই নবীজির পূর্ণাঙ্গ জীবনাদর্শের বাস্তব মডেল। কুরআন সুন্নাহ্ একটি অপরটির পরিপূরক। একটির অনুসরণ অপরটির বর্জন গোমরাহীর নামান্তর।
সুন্নত অনুসরণের অপরিহার্যতা
নবীজির সুন্নাত ও সাহাবায়ে কেরামের সুন্নাত অনুসরণের অপরিহার্যতা প্রসঙ্গে অসংখ্য হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে,
عن العرباض بن سارية رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فعليكم بسنتى وسنة الخلفاء الراشدين المهدين عضّوا عليها بالنواجذ
[رواه الترمذى وابن ماجه رقم الحديث ـ ৬২৭৬] অর্থ: হযরত ইরবাদ বিন সারিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, ‘‘তোমরা আমার ও আমার খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরো। (আমার সুন্নাতকে) শক্তভাবে আঁকড়ে ধরো এবং তা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরো। [তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং-২৬৭৬] মুসলিম মিল্লাতের সংকটময় মুহূর্তে ফিতনার যুগে বিভ্রান্তির কবলে নিমজ্জিত উম্মতের যুগ সন্ধিক্ষণে ঈমান ও আক্বিদা সংরক্ষণে যারা সুন্নাতকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ এরশাদ হয়েছে।
عن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من تمسك بسنتى عند فساد امّتى فله اجرمائة شهيدٍ [رواه البيهقى] অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, ‘উম্মতের ফিতনা ফাসাদের যুগে যারা আমার সুন্নাতকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে, তাঁর জন্য রয়েছে একশত শহীদের সওয়াব। [বায়হাক্বী শরীফ]
পবিত্র কুরআনে সুন্নাতের গুরুত্ব
সুন্নতের গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআন মজীদে এরশাদ হয়েছে-
وما اتاكم الرسول فخذوه ومانهاكم عنه فانتهوا
[سورة الحشر ـ ايت ৭] তরজমা: আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ করেছেন, ‘রাসূল যা কিছু তোমাদেরকে দিয়েছেন তা গ্রহণ কর। তিনি তোমাদেরকে যা থেকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাকো। [পারা-২৮, সূরা-হাশর, আয়াত-৭] মহান আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু আরো এরশাদ করেছেন-
لقد كان لكم فى رسول الله اسوة حسنة
[سورة الاحزاب ـ پاره ২১ـ ايت -২১] তরজমা: নিশ্চয় তোমাদের জন্য রসূলুল্লাহর জীবনে রয়েছে উত্তম আদর্শ। [সূরা আহযাব, পারা-২১, আয়াত-২১]
সুন্নাত শব্দের সংজ্ঞা
সুন্নাত শব্দটি আরবি, আভিধানিক দৃষ্টিকোণে শব্দটি নিয়ম পদ্ধতি, পথ, নমুনা, আদর্শ, চরিত্র ইত্যাদি ব্যাপক অর্থে প্রয়োগ হয়।
ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর আদর্শের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখাই সুন্নীয়ত।
এ আদর্শের অনুসারী লোকেরাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআতপন্থী মুসলমান হিসেবে পরিচিত। হাদীস শরীফে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যখন তোমরা মতবিরোধ দেখতে পাবে তখন সর্ববৃহৎ জামাতকে আঁকড়ে ধরবে। হাদীস শরীফে বর্ণিত, ‘সওয়াদে আজম’ দ্বারা সর্ববৃহৎ দল তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতকে বুঝানো হয়েছে। হানাফী, শাফেয়ী, মালেকী ও হাম্বলী মাযহাবের অনুসারীরা ভিন্ন ভিন্ন মাযহাবের অনুসারী হওয়া সত্ত্বেও সবাই সুন্নী মুসলমান হিসেবে পরিচিত। কারণ মাযহাবসমূহের পার্থক্য আক্বিদাগত নয়; বরং এ পার্থক্য ইসলামের শাখা-প্রশাখা বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত। পক্ষান্তরে মুতাজিলা, রাফেজী, খারেজী, শিয়া, কাদিয়ানী ভ্রান্ত মতবাদীরা এর ব্যতীক্রম। কারণ এরা ইসলামের মূলধারা তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মতাদর্শে বিশ্বাসী নয়।
বিদ‘আত প্রসঙ্গ
হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে-
واياكم ومحدثات الامور فان كل محدثة بدعة وكل بدعة ضلالة [رواه ابوداود واحمد] অর্থ: প্রত্যেক নতুন কথাবার্তা থেকে দুরে থাকো। কেননা প্রতিটি নতুন জিনিস বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত গোমরাহী। [আবূ দাঊদ, আহমদ]
বিদ‘আতের সঙ্গা
البدعة معناه الاتيان بشئ جديد لم يسبق ومنه بديع من اسماء الله تعالى لانه تعالى خلق كل شئ بدون مثال سابق وفى الاصطلاح كل مااحدث بعد النبى صلى الله عليه وسلم [تهذيبا الاسماء واللغات] অর্থ: বিদ‘আত অর্থ নতুন কিছু উদ্ভাবন করা, যা পূর্বে ছিল না। যেমন ‘বদীয়ূন’ আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। আল্লাহ্ যিনি বিশ্বজগতকে পূর্বের উপমা ছাড়া সৃষ্টি করেছেন। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় বিদ‘আত দ্বারা এমন নতুন কাজ বা নতুন কিছু উদ্ভাবন করা যা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় ছিলনা। [তাহযীবুল আসমা ওয়াল লুগাত, ৩ঢ খন্ড, পৃ. ২২] আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি বলেন, ‘শরীয়তে যে কাজের কোন ভিত্তি নেই, সেটা বিদ‘আত। শরীয়তে যে কাজের ভিত্তি রয়েছে সেটা বিদ‘আত নয়। যদিও শাব্দিক অর্থে তা বিদ‘আত।
বিদ‘আতের প্রকারভেদ
বিদ‘আত প্রধানত দু’ প্রকারঃ এক. বিদ‘আত এ- হাসানাহ্ তথা উত্তম বিদ‘আত। দুই. বিদআত-এ সাইয়্যেহ্ তথা মন্দ বিদ‘আত।
বিদ‘আত-এ হাসানাহ্’র সংজ্ঞা
এমন সব নতুন কাজ যা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের জীবদ্দশায় ছিলনা, তবে তা কুরআন ও হাদিস বিরোধী নয়। যেমন ইসলামের প্রচার প্রসারে ধর্মীয় কিতাব প্রণয়ন করা, রচনা করা, সংকলন করা, ধর্মীয় মাহফিল করা, খতমে বোখারী শরীফ আয়োজন করা, সালানা জলসা, সভা-সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কনফারেন্স আয়োজন করা। এভাবে এতিমখানা, হিফজখানা, মাদরাসা তথা দ্বীনি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি।
বিদ‘আত-এ সাইয়্যোহ্
এমন সব কাজ যা শরীয়তে অপছন্দনীয়, নিন্দনীয়, তা বিদ‘আত-এ সাইয়্যাহ্’র অন্তর্ভুক্ত। যেমন, সিনেমা, নাটক, অনৈসলামিক গান, নৃত্য, নগ্নতা, অশ্লীলতা, যা কুরআন-সুন্নাহ্ বিরোধী হযরত উম্মুল মুমেনীন আয়েশা সিদ্দিক্বা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা হতে বর্ণিত হাদিসটি এক্ষেত্রে প্রনিধানযোগ্য, ‘যে ব্যক্তি আমাদের এমন কোন নতুন বিষয় সৃষ্টি করে, যা এ ধর্মের অন্তর্ভুক্ত নয়, সেটি মরদুদ বা প্রত্যাখ্যাত। [মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-৪৫৮৯] বোখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার ইমাম বদরুদ্দীন আইনী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হির অভিমত
বিদ‘আত হল কোন নতুন কাজ যা প্রিয় রসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম -এর জীবদ্দশায় ছিলনা, এটি দু’ প্রকার এক প্রকার শরীয়তে পছন্দনীয়, তা হাসানাহ্, অপরটি অপছন্দনীয় তা সাইয়্যাহ।
[উমদাতুল ক্বারী, খন্ড-১১, পৃ. ১২৬] উত্তম বিদ‘আতকারী সওয়াব পাবে
وعن جرير بن عبد الله رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سن فى الاسلام سنة حسنة فله اجرها واجرمن عمل بها من بعده غير ان ينقص من اجورهم شيئا ومن سن فى الاسلام سنة سيئة كان عليه وزرها ووزر من عمل بها من بعده من غير ان ينقص من اوزارهم شيئًا [رواه مسلم] অর্থ: হযরত জরীর ইবনে আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলামে কোন উত্তম রীতি-নীতি জারী করবে সে সেটার সওয়াবও পাবে, অতঃপর যারা সেটা অনুসরন করবে, তাদের সওয়াবও সে লাভ করবে। সে সওয়াবের কোন অংশ কমাবে না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি ইসলামে মন্দ রীতিনীতি জারী করবে সে সেটার জন্য দায়ী হবে। অতঃপর যতলোক সেটা অনুসরণ করবে, তাদের কৃত গুনাহের জন্যও সে দায়ী হবে। এটা অনুসরণকারীদের গুনাহের কোন অংশ কমাবেনা। [মুসলিম শরীফ]
‘প্রত্যেক বিদ‘আত গোমরাহী’ হাদীসের তাৎপর্য
হাদীসে বর্ণিত নতুন জিনিস দ্বারা নতুন আক্বিদা বুঝানো হয়েছে। যেমন- রাফেযী, খারেজী, শিয়া, কাদিয়ানীদের আক্বিদা। এসবই বিদ‘আত ও গোমরাহী যা ইসলামে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর যুগের পর উদ্ভাবিত হয়েছে। সুতরাং উক্ত হাদীসে আক্বিদাগত গোমরাহী উদ্দেশ্য। আমল বুঝানো উদ্দেশ্য নয়। কেননা আমলের মধ্যে যেটা উত্তম বিদ‘আত সেটা কখনো ওয়াজিব, কখনো সুন্নাত, কখনো মুস্তাহাব, কখনো নফল হয়ে থাকে। যেমন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা আমিরুল মুমেমীন হযরত ফারুকে আজমের যুগের তারাবীহ্ নামায যথারীতি জামাত সহকারে চালু করেছিলেন, এটাকে তিনি উত্তম বিদ‘আত বলেছেন, ‘যা মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক আমল। এছাড়াও বর্তমানে এমন অসংখ্য আমল রয়েছে যেগুলো সাহাবায়ে কেরামের যুগে ছিলনা, যেমন তাঁরা বোখারী মুসলিম সংকলন করেননি, তাঁরা বিমান যোগে হজ্ব ওমরা পালন করেননি।
বিশাল বিশাল সুরম্য, বহুতল বিশিষ্ট আধুনিক নয়নাভিরাম স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, আলিয়া ও কওমী মাদরাসা, তাঁরা প্রতিষ্ঠা করেননি, তাঁরা উড়োজাহাজ, রকেট ও মিসাইল দ্বারা যুদ্ধ করেননি, তাঁরা টেলিফোন, মোবাইল, ইন্টারনেট, ইলেকট্রনিক ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করেননি অথচ আমরা এসব উদ্ভাবন করেছি, ব্যবহারও করছি। অথচ তথাকথিত বিদআতের অপব্যাখ্যাকারীরা এসব কিছুকে বিদ‘আত পরিত্যাজ্য মন্দ বা নিন্দনীয় বলেন না। এসব ভ্রান্ত মতবাদীদের দৃষ্টিতে কুরআন, সুন্নাহ, এজমা ও কিয়াস ইসলামের দলীল চতুষ্টয়ের আলোকে অসংখ্য প্রমাণাদির ভিত্তিতে আবহমানকাল ধরে মুসলিম সমাজে প্রচলিত পূণ্যময় ও বরকতময় আমলগুলোকে তারা বিদ‘আত, বিদ‘আত বলে ফতোয়াবাজী করে সমাজে ফিতনা ফ্যাসাদের সৃষ্টি করে থাকে। যেমন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম উদযাপন করা, নবীজির শানে দাঁড়িয়ে মিলাদ কিয়াম পরিবেশন করা, নবী রসূল মুজতাহিদ-ইমাম ও ওলীগনের ওসীলা অবলম্বন করা, নবীজির রওযা মুবারক জিযয়ারতের উদ্দেশ্যে মদীনা মনোওয়ারা সফর করা, মৃত ব্যক্তির কবরের পাশে কুরআন তিলাওয়াত করা, জানাযা নামাযের পর হাত তুলে দুআ করা, ফাতেহা ও ইসালে সওয়াব করা, অসংখ্য বরকতময় আমলগুলোকে বিদ‘আত নামে অপপ্রচার করে মুসলিম সমাজকে পুণ্যময় আমল থেকে বঞ্চিত করে যাচ্ছে। সরলপ্রাণ মুসলমানদের ঈমান আক্বিদা বিনষ্ট করা হচ্ছে। সুতরাং উত্তম বিদ‘আত সম্পর্কে জানুন, আমল করুন, অপরিসীম সওয়াব হাসিল করুন। পক্ষান্তরে বিদআত-এ সাইয়্যাহ্ পরিহার করুন, মন্দ বিদআত থেকে বিরত থাকুন, বিদ‘আতে হাসানাহ্ দ্বারা পূণ্য অর্জিত হয়। বিদ‘আতে সাইয়্যাহ্ দ্বারা গুনাহ্ অর্জিত হয়। আসুন সুন্নাত ও বিদ‘আত সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করুন। আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন। আমীন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন