কারামাতে আউলিয়া
(৬)
--------
খাজা বাহাউদ্দিন নবন্দি ( র . ) ( ৭৯১ হি . ) ।
খাজা বাহাউদ্দিন নকশবন্দি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন - একদিন আমি মুহাম্মদ যাহেদ কে সঙ্গে নিয়ে
জঙ্গলের দিকে বেরিয়ে পড়লাম । মুহাম্মদ যাহেদ আমার একনিষ্ট ভক্ত ও মুরীদ ছিল । আমরা বসে বসে মারিফাত বিষয়ে আলােচনা করতে ছিলাম । আলােচনা চলতে চলতে এই সুপ্ত বিষয়ে পৌছল যে , উবুদিয়ত কি ?
আমি আমার বিশ্বস্ত মুরীদকে বললাম , উবুদিয়তের প্রান্তসীমা হল , যখন উবুদিয়তের তাজ পরিধানকারী কাউকে বলে যে , তুমি মরে যাও , তবে তৎক্ষণাৎ মরে যায় । যেহেতু মুহাম্মদ যাহেদকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলা হয়েছে সেহেতু সে তখনই মৃত্যুবরণ করেছে ।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সে সেখানে মৃত অবস্থায় পড়ে রইলাে । প্রচন্ড গরমের মৌসুম ছিল । আমি বড়ই ক্লান্ত ছিলাম । নিকটে একটি গাছের ছায়ায় এসে আধ্যাত্মিক জগতে মগ্ন অবস্থায় বসে রইলাম ।
দ্বিতীয়বার যখন তার কাছে এসে দেখলাম , তখন প্রচন্ড গরমের কারণে তার শরীর কিছুটা পরিবর্তন হয়ে গেল । এমন সময় আমার মনে আসল যে , আমি তাকে বলি যে , হে মুহাম্মদ ! জীবিত হয়ে যাও । একথা আমি তিনবার বলেছি । ফলে তার শরীরে ধীরে ধীরে
জীবন সঞ্চারিত হতে লাগল । আর আমি এই দৃশ্য অবলােকন করতেছি এমনকি সে পূর্বের ন্যায় সুস্থ হয়ে গিয়েছে ।
(আল্লমা ইউসুফ নাবহানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (১৩৫০হি:),জামে কারামাতে আউলিয়া,উর্দু,পৃ:; ৬২৮,
(৬)
--------
খাজা বাহাউদ্দিন নবন্দি ( র . ) ( ৭৯১ হি . ) ।
খাজা বাহাউদ্দিন নকশবন্দি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন - একদিন আমি মুহাম্মদ যাহেদ কে সঙ্গে নিয়ে
জঙ্গলের দিকে বেরিয়ে পড়লাম । মুহাম্মদ যাহেদ আমার একনিষ্ট ভক্ত ও মুরীদ ছিল । আমরা বসে বসে মারিফাত বিষয়ে আলােচনা করতে ছিলাম । আলােচনা চলতে চলতে এই সুপ্ত বিষয়ে পৌছল যে , উবুদিয়ত কি ?
আমি আমার বিশ্বস্ত মুরীদকে বললাম , উবুদিয়তের প্রান্তসীমা হল , যখন উবুদিয়তের তাজ পরিধানকারী কাউকে বলে যে , তুমি মরে যাও , তবে তৎক্ষণাৎ মরে যায় । যেহেতু মুহাম্মদ যাহেদকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলা হয়েছে সেহেতু সে তখনই মৃত্যুবরণ করেছে ।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সে সেখানে মৃত অবস্থায় পড়ে রইলাে । প্রচন্ড গরমের মৌসুম ছিল । আমি বড়ই ক্লান্ত ছিলাম । নিকটে একটি গাছের ছায়ায় এসে আধ্যাত্মিক জগতে মগ্ন অবস্থায় বসে রইলাম ।
দ্বিতীয়বার যখন তার কাছে এসে দেখলাম , তখন প্রচন্ড গরমের কারণে তার শরীর কিছুটা পরিবর্তন হয়ে গেল । এমন সময় আমার মনে আসল যে , আমি তাকে বলি যে , হে মুহাম্মদ ! জীবিত হয়ে যাও । একথা আমি তিনবার বলেছি । ফলে তার শরীরে ধীরে ধীরে
জীবন সঞ্চারিত হতে লাগল । আর আমি এই দৃশ্য অবলােকন করতেছি এমনকি সে পূর্বের ন্যায় সুস্থ হয়ে গিয়েছে ।
(আল্লমা ইউসুফ নাবহানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (১৩৫০হি:),জামে কারামাতে আউলিয়া,উর্দু,পৃ:; ৬২৮,
বিষয় ভিত্তিক কারামাতে আউলিয়া,পৃ:- ৫৬)।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন