৯৯টি আসমাউল হুসনা ও এর ফযীলত

 

৯৯টি আসমাউল হুসনা ও এর ফযীলত 


প্রত্যেক ওযীফার শুরু ও শেষে একবার দরূদ শরীফ পাঠ করে নিন, উপকার প্রকাশ না হওয়া অবস্থায় অভিযােগ করার পরিবর্তে নিজের উদাসীনতার বিষয়টি ভাবুন এবং আল্লাহ পাকের হিকমতের প্রতি দৃষ্টি রাখুন।

 

(১) يَا اَللّٰهُ : যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর ১০০বার পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه  তার বাতিন প্রশস্ত হয়ে যাবে।

 (২) هُوَا للّٰهُ الرِّحِيۡمُ : যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর ৭বার পাঠ করে নিবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه শয়তানের ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকবে ও ঈমানের সাথে মৃত্যু হবে।

(৩) يَا قُدُّوۡسُ : যে ব্যক্তি সফর অবস্থায় পাঠ করতে থাকবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه ক্লান্তি থেকে রক্ষা পাবে।

(৪) يَارَحۡمَنُ : যে ব্যক্তি ফজরের নামাযের পর ২৯৮ বার পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তার প্রতি অনেক দুয়া করবেন। اِنۡ شَاءَ اللّٰه

(৫) يَا رَحِيۡمُ : যে ব্যক্তি প্রতিদিন ৫০০ বার পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه ধন সম্পদ লাভ করবে এবং সৃষ্টিকুল তার প্রতি মেহেরবান ও দয়ালু হবে। 

(৬) يَا مَلِكُ : ৯০ বার যেই গরীব অসহায় ব্যক্তি দৈনিক পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه সে অভাব থেকে মুক্তি পাবে। 

(৭) يَا سَلَامُ : ১১১ বার পাঠ করে রােগীর উপর ফুঁক দেয়াতে اِنۡ شَاءَ اللّٰه আরােগ্য লাভ করবে। (৮) يَا مُؤۡمِنُ : যে ব্যক্তি ১১৫ বার পাঠ করে নিজের উপর ফুঁক দিবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه সুস্থতা লাভ করবে। 

(৯) يَا مُهَيۡمِنُ : দৈনিক ২৯ বার পাঠকারী اِنۡ شَاءَ اللّٰه প্রত্যেক বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকবে। 

(১০) يَا عَزِيۡزُ : ৪১ বার বিচারক বা অফিসারের কাছে যাওয়ার পূর্বে পাঠ করে নিন اِنۡ شَاءَ اللّٰه সেই বিচারক বা অফিসার দয়ালু হয়ে যাবে।

(১১) يَا جَبَّارُ : যে ব্যক্তি এটা নিয়মিত পাঠ করবে সে গীবত থেকে اِنۡ شَاءَ اللّٰه বেচে থাকবে। 

(১২) يَا مُتَكَبِّرُ : দৈনিক ২১ বার পাঠ করে নিন, ভীতিকর স্বপ্ন দেখলেও اِنۡ شَاءَ اللّٰه  স্বপ্নে ভয় পাবেন না। (চিকিৎসার সময়কাল: সুস্থ হওয়া পর্যন্ত)। يَا مُتَكَبِّرُ  স্ত্রীর সাথে "সহবাসের পূর্বে" ১০ বার পাঠকারী اِنۡ شَاءَ اللّٰه নেককার ছেলের পিতা হবে ।

(১৩) یَا خَالِقُ : যে ব্যক্তি ৩০০ বার পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه তার শক্র পরাজিত হবে।

(১৪) یَا بَارِئُ : যে ব্যক্তি ১০ বার প্রত্যেক শুক্রবার পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه তার পুত্র সন্তান লাভ হবে। 

(১৫) یَا مُصَوِّرُ : যে বন্ধ্যা মহিলা ৭টি রােযা রাখবে এবং ইফতারের সময় ২১ বার یَا مُصَوِّرُ  পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে পান করে নিবে, আল্লাহ পাক তাকে নেককার ছেলেসন্তান দান করবেন। اِنۡ شَاءَ اللّٰه 

(১৬) یَا غَفَّارُ : যে ব্যক্তি এটি সর্বদা পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه নফসের মন্দ চাহিদা থেকে মুক্তি পাবে। 

(১৭) یَا قَهَّارُ : ১০০বার যদি কোন বিপদ এসে যায় তখন পাঠ করুন, اِنۡ شَاءَ اللّٰه বিপদ দূর হয়ে যাবে। 

(১৮) یَا وَهَّابُ : যে ব্যক্তি ৭ বার দৈনিক পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه মুস্তাজাবুদ দাওয়াত হবে। (অর্থাৎ তার সকল দোয়া কবুল হবে) 

(১৯) یَا رَزَّاقُ : যে ব্যক্তি ফজরের ফরয ও সুন্নাতের মধ্যবর্তী সময়ে ৪১ দিন পর্যন্ত ৫৫০ বার করে পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه সে সম্পদশালী হয়ে যাবে। 

(২০) یَا فَتَّاحُ : দৈনিক ৭০ বার যে ব্যক্তি ফজরের নামাযের পর উভয় হাত বুকে রেখে পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه তার অন্তরের মরিচা ও ময়লা দূর হয়ে যাবে। یَا فَتَّاحُ ৭ বার যে ব্যক্তি দৈনিক (দিনের যেকোন সময়ে একবার) পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه তার অন্তর আলােকিত হয়ে যাবে।

(২১) یَا عَلِیۡمُ : যে ব্যক্তি এই নামটি অধিকহারে পাঠ করবে আল্লাহ পাক তাকে দ্বীন ও দুনিয়ার মারিফাত (পরিচিতি ও জ্ঞান) দান করবেন। اِنۡ شَاءَ اللّٰه 

(২২) یَا قَابِضُ , یَا بَاسِطُ: ৩০ বার যে ব্যক্তি দৈনিক পাঠ করবে । اِنۡ شَاءَ اللّٰه সে শত্রুর উপর বিজয় লাভ করবে। 

(২৩) یَا بَاسِطُ : যে ব্যক্তি ৪০ বার পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه সে সৃষ্টিজগতের প্রতি অমুখাপেক্ষী হয়ে যাবে। 

(২৪) یَا خَافِضُ : যে ব্যক্তি এটি ৫০০ বার পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه  সে শক্র থেকে নিরাপদ থাকবে। 

(২৫) یَا رَافِعُ : ২০ বার যে ব্যক্তি দৈনিক পাঠ করবে, اِنۡ شَاءَ اللّٰه তার উদ্দেশ্য পূরণ হবে। 

(২৬) یَا مُعِزُّ : যে ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাতে ইশার নামাযের পর এটি ১৪০ বার পাঠ করবে, সৃষ্টিজগতের দৃষ্টিতে তার মান ও সম্মান এবং প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। 

اِنۡ شَاءَ اللّٰه 

(২৭) یَا حَكَمُ : যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর ৮০ বার পাঠ করে নিবে, কারাে প্রতি মুখাপেক্ষী হবে না। اِنۡ شَاءَ اللّٰه

(২৮) یَا بَصِیۡرُ : ৭ বার যে ব্যক্তি প্রতিদিন আসরের সময় (তথা আসরের ওয়াক্ত শুরু হওয়া থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ে) পাঠ করবে, اِنۡ شَاءَ اللّٰه হঠাৎ মৃত্যু থেকে নিরাপদ থাকবে। 

(২৯) یَا سَمِیۡعُ : ১০০ বার যে ব্যক্তি প্রতিদিন পাঠ করবে এবং এসময়ে কোন কথাবার্তা বলবে না আর পাঠ করে দোয়া করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه যা চাইবে তা পাবে। 

(৩০) یَا مُذِلُّ , یَا مُعِزُّ : যে ব্যক্তি ৭৫ বার পাঠ করে সিজদা করবে এবং বলবে “হে আল্লাহ! অমুক অত্যাচারীর ক্ষতি থেকে আমাকে রক্ষা করাে” আল্লাহ পাক তাকে নিরাপত্তা দিবেন এবং নিজের হেফাযতে রাখবেন। اِنۡ شَاءَ اللّٰه

(৩১) یَا عَدۡلُ : যে ব্যক্তি মাগরীবের নামাযের পর ১০০০ বার পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه আসমানী বিপদ থেকে রক্ষা পাবে। 

(৩২) یَا لَطِیۡفُ : সন্তানের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়া ও রােগ থেকে সুস্থতা লাভ এবং বিপদ থেকে মুক্তির জন্য প্রতিদিন “তাহিয়াতুল অযুর” নামাযের পর ১০০ বার পাঠ করে নিন। 

(৩৩) یَا خَبِیۡرُ : যে ব্যক্তি নফসে আম্মারার হাতে বন্দী হয়ে যায়, তবে প্রতিদিন এই ওযীফা পাঠ করে নিন اِنۡ شَاءَ اللّٰه  মুক্তি পাবেন। 

(৩৪) یَا حَلِیمُ : যে ব্যক্তি এটি কাগজে লিখে তা ধুয়ে নিজের ক্ষেতে পানি ছিটিয়ে দেয়, اِنۡ شَاءَ اللّٰه শস্যক্ষেত সমস্ত বিপদ থেকে নিরাপদ থাকবে। 

(৩৫) یَا عَظِیۡمُ : যে ব্যক্তি ৭ বার পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে পানি পান করে নিবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه তার পেটে ব্যথা হবে না। 

(৩৬) یَا غَفُوۡرُ : যার মাথা ব্যথা বা অন্য কোন রােগ অথবা পেরেশানী আসে, সে ৩ বার یَا غَفُوۡرُ অংশটি লিখে ( অর্থাৎ এ নাম মুবারককে কাগজে লিখে এর ভেজা কালিতে রুটির টুকরা লাগিয়ে সেই নকশা রুটিতে মিলিয়ে নিন এবং) খেয়ে নিন اِنۡ شَاءَ اللّٰه আরােগ্য লাভ হবে। 

(৩৭) یَا شَكُوۡرُ : যে ব্যক্তি ৫০০০ বার প্রতিদিন পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه কিয়ামতের দিন উচ্চ মর্যাদা হবে। 

(৩৮) یَا عَلِیُّ : যে ব্যক্তি ফোলা স্থানে ৩ বার পাঠ করে ফুঁক দিবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه সুস্থতা লাভ করবে। 

(৩৯) یَا كَبِیۡرُ : যে ব্যক্তি ৯ বার পাঠ করে কোন রােগীর উপর ফুঁক দিবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه সুস্থ হয়ে যাবে। 

(৪০) یَا حَفِیۡظُ : যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১৬ বার পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه সর্বক্ষেত্রে বীরত্ব বজায় থাকবে। 

(৪১) یَا مُقِیۡتُ : যার চোখ লাল হয়ে যায় এবং ব্যথা করে, ১০ বার পাঠ করে ফুঁক দিন। 

(৪২) یَا حَسِیۡبُ : যে ব্যক্তি প্রতিদিন ৭০ বার পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه সমস্ত বিপদ থেকে নিরাপদ থাকবে। 

(৪৩) یَا جَلِیۡلُ : ১০ বার পাঠ করে যে ব্যক্তি নিজের জিনিসপত্র ও টাকা পয়সা ইত্যাদির উপর ফুঁক দিবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه  চুরি থেকে নিরাপদ থাকবে। 

(৪৪) یَا كَرِیۡمُ : যদি নিজের বিছানায় এটি পাঠ করতে করতে ঘুমিয়ে যায় তবে ফিরিশতারা তার জন্য দোয়া করবে। اِنۡ شَاءَ اللّٰه

(৪৫) یَا رَقِیۡبُ : যে ব্যক্তি ঘা-পাঁচড়ার উপর ৩ বার পাঠ করে ফুঁক দিবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه আরােগ্য লাভ করবে। 

(৪৬) یَا مُجِیۡبُ : যে ব্যক্তি ৩ বার পাঠ করে ফুঁক দিবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه মাথাব্যথা দূর হয়ে যাবে। 

(৪৭) یَا وَاسِعُ : যাকে বিচ্ছু দংশন করে, সে এটি ৭০ বার পাঠ করে ফুঁক দিবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه বিষক্রিয়া হবে না। 

(৪৮) یَا حَكِیۡمُ : ৮০ বার যে ব্যক্তি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه কারাে মুখাপেক্ষী হবে না। 

(৪৯) یَا وَدُوۡدُ : এই নামটি ১০০০ বার খাবারে পাঠ করে যার পক্ষ থেকে মতভেদ হয় তাকে খাইয়ে দিন اِنۡ شَاءَ اللّٰه শত্রুতা শেষ হয়ে যাবে। (৫০) یَا مَجِیۡدُ : যে ব্যক্তি গরমের সময় এটি পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه পানির তৃষ্ণা থেকে নিরাপদ থাকবে। 

(৫১) یَا بَاعِثُ : যে ব্যক্তি ৭ বার পাঠ করে নিজের উপর ফুঁক দিবে এবং বিচারকের সামনে যাবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه বিচারকের দয়া হবে। 

(৫২) یَا شَهِیۡدُ : ২১ বার সকালে (সূর্য উঠার পূর্বে) অবাধ্য ছেলে বা মেয়ের কপালে হাত রেখে আকাশের দিকে মুখ করে যে পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه  তার সেই ছেলে বা মেয়ে নেককার হয়ে যাবে। 

(৫৩) یَا حََقُّ : যদি কয়েদী মধ্যরাতে খালি মাথায় ১০৮ বার পাঠ করে اِنۡ شَاءَ اللّٰه বন্দীত্ব থেকে মুক্তি পাবে। 

(৫৪) یَا وَكِیۡلُ : ৭ বার যে ব্যক্তি দৈনিক আসরের সময় পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه  বিপদ থেকে রক্ষা পাবে। 

(৫৫) یَا قَوِیُّ : যদি শুক্রবার দ্বি-প্রহরের সময় অধিকহারে পাঠ করে اِنۡ شَاءَ اللّٰه তবে ভুলে যাওয়ার রােগ চলে যাবে। 

(৫৬) یَا مَتِیۡنُ : যে বাচ্চার দুধ ছাড়ানাে হয়েছে তাকে এটি কাগজে লিখে পান করিয়ে দিন, শান্ত হয়ে যাবে এবং যদি মায়ের বুকে দুধ কম হয় তবে এই নাম মুবারক লিখে পান করলে দুধ বৃদ্ধি পাবে। اِنۡ شَاءَ اللّٰه 

(৫৭) یَا وَلِیُّ : যে ব্যক্তি এই নামটি অধিকহারে পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه তার স্ত্রী তার অনুগত হবে। 

(৫৮) یَا حَمِیۡدُ : ৯০ বার যে ব্যক্তির অশ্লীল কথা বলার অভ্যাস যায় না সে পাঠ করে খালি বাটি বা গ্লাসে ফুঁক দিয়ে দিবে প্রয়ােজনে সেই পাত্রে বা গ্লাসে পানি পান করবে। اِنۡ شَاءَ اللّٰه অশ্লীল কথা বলার অভ্যাস চলে যাবে। (একবার ফুঁক দেয়া গ্লাস বছরের পর বছর ব্যবহার করা যাবে।) 

(৫৯) یَا مُحۡیِیۡ : ৭ বার পাঠ করে নিজের উপর ফুঁক দিন, গ্যাস হােক বা পেটে কিংবা অন্য কোন স্থানে ব্যথা হােক বা কোন অঙ্গ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় হােক اِنۡ شَاءَ اللّٰه উপকার হবে। (চিকিৎসার সময়সীমা: সুস্থ হওয়া পর্যন্ত অন্তত দৈনিক একবার) । 

(৬০) یَا مُمِیۡتُ , یَا مُحۡیِیۡ: ৭ বার দৈনিক পাঠ করে নিজের উপর ফুঁক দিন, اِنۡ شَاءَ اللّٰه যাদুর প্রভাব পড়বে না। 

(৬১) یَا حَیُّ : কেউ অসুস্থ হলে, এই নামটি ১০০০ বার পাঠ করুন اِنۡ شَاءَ اللّٰه সুস্থ হয়ে যাবে। 

(৬২) یَا قَیُّوۡمُ : সকালে যে ব্যক্তি এটি অধিকহার পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه এর প্রভাব অন্তরে প্রকাশ পাবে অর্থাৎ মানুষ তাকে পছন্দ করবে। 

(৬৩) یَا وَاجِدُ : যে ব্যক্তি খাবার খাওয়ার সময় প্রতি গ্রাসে পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه ঐ খাবার তার পেটে নূর হবে এবং তার রােগ দূর হবে। 

(৬৪) یَا مَاجِدُ : ১০ বার পাঠ করে শরবতে ফুঁক দিয়ে পান করে নিন اِنۡ شَاءَ اللّٰه  রােগ হবে না। 

(৬৫) یَا وَاحِدُ : ১০০১ বার যে ব্যক্তি একা ভয় পায়, নির্জনাবস্থায় পাঠ করে নিন اِنۡ شَاءَ اللّٰه তার অন্তর থেকে ভয়-ভীতি দূর হয়ে যাবে। 

(৬৬) یَا اَحَدُ : যে ব্যক্তি এই নামটি ৯ বার পাঠ করে বিচারকের সামনে যাবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه সম্মান ও সাফল্য লাভ করবে, যে ব্যক্তি এটি একাকী অবস্থায় ১০০০ বার পাঠ করবে, নেককার হয়ে যাবে। اِنۡ شَاءَ اللّٰه 

(৬৭) یَا صَمَدُ : যে ব্যক্তি এটি ১০০০ বার পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه শক্রর উপর বিজয় লাভ করবে। 

(৬৮) یَا قَادِرُ : যে ব্যক্তি ওযু করাবস্থায় প্রতিটি অঙ্গ ধৌত করার সময় পাঠ করার অভ্যাস গড়ে নিবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه শত্রু তাকে অপহরন করতে পারবে না। یَا قَادِرُ বিপদ এসে পড়লে ৪১ বার পাঠ করে নিন, اِنۡ شَاءَ اللّٰه বিপদ দূর হয়ে যাবে। 

(৬৯) یَا مُقۡتَدِرُ : ২০ বার যে ব্যক্তি পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه রহমতের ছায়ায় থাকবে। یَا مُقۡتَدِرُ: ২০ বার যে ব্যক্তি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে পাঠ করে নিবে, তার প্রতিটি কাজে আল্লাহর সাহায্য লাভ করতে থাকবে। 

(৭০) یَا مُقَدِّمُ : যে ব্যক্তি যুদ্ধ বা কোন ভীতিকর স্থানে অস্থির অবস্থায় থাকে তবে সে যেনাে এই নাম মুবারক অধিকহারে পাঠ করতে থাকে। 

(৭১) یَا مُؤَخِّرُ : দৈনিক ১০০ বার পাঠকারীর অসমাপ্ত কাজ اِنۡ شَاءَ اللّٰه সমাপ্ত হয়ে যাবে। 

(৭২)  یَا اَوَّلُ : যে ব্যক্তি ১০০ বার দৈনিক পাঠ করে নিবে। اِنۡ شَاءَ اللّٰه তার স্ত্রী তাকে ভালবাসবে। 

(৭৩) یَا اٰخِرُ : যে ব্যক্তি কোন স্থানে যায় এবং এই পবিত্র নাম পাঠ করে নেয় اِنۡ شَاءَ اللّٰه সেখানে সম্মান লাভ করবে। 

(৭৪) یَا ظَاهِرُ : ঘরের দেয়ালে লিখে নিন اِنۡ شَاءَ اللّٰه দেয়াল নিরাপদ থাকবে। 

(৭৫) یَا بَاطِنُ : যে ব্যক্তি কাউকে আমানত সমর্পণ করলাে বা মাটিতে পুঁতে রাখলাে, তবে যেন তা লিখে ঐ বস্তুর সাথে রেখে দেয় اِنۡ شَاءَ اللّٰه কেউ তা খেয়ানত করতে পারবে না।

(৭৬) یَا وَالِی : যে ব্যক্তি নতুন পাত্রে লিখে তাতে পানি ভরে ঘরের দেয়ালে ঢেলে দেয় اِنۡ شَاءَ اللّٰه ঐ ঘর বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকবে। 

(৭৭) یَا مُتَعَالِی: কঠিনতম কাজের জন্য এটি অধিকহারে পাঠ করা অনেক উপকারী। 

(৭৮) یَا بَرُّ : যে ব্যক্তি ৭ বার পড়ে বাচ্চার উপর ফুঁক দিয়ে আল্লাহ পাকের জিম্মায় দিয়ে দেয়, বালিগ হওয়া পর্যন্ত اِنۡ شَاءَ اللّٰه ঐ বাচ্চা বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকবে। 

(৭৯) یَا تَوَّابُ : যে ব্যক্তি চাশতের নামাযের পর ৩৬০ বার এটি পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তাকে ‘তাওবাতুন নাছুহা’ (অর্থাৎ সত্যিকার তাওবা) নসীব করবেন। اِنۡ شَاءَ اللّٰه

(৮০) یَا مُنۡتَقِمُ , یَا عَفُوُّ.: শত্রুকে বন্ধু বানানাের জন্য তিন জুমা পর্যন্ত এটি অধিকহারে পাঠ করুন। 

(৮১) یَا عَفُوُّ : যার গুনাহ অধিক, সে যদি এই পবিত্র নামটি অধিকহারে পাঠ করে, আল্লাহ পাক আপন দয়ায় তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। 

(৮২) یَا رَءُوۡفُ : যে ব্যক্তি কোন নির্যাতিতকে কোন অত্যাচারী থেকে মুক্তি দিতে চায়, ১০ বার পাঠ করে ঐ অত্যাচারীর সাথে কথা বলে, اِنۡ شَاءَ اللّٰه সেই অত্যাচারী তার সুপারিশ গ্রহণ করে নিবে। 

(৮৩) یَا مَالِك الۡمُلۡكِ : যে ব্যক্তি এটি অধিকহারে পাঠ করবে। اِنۡ شَاءَ اللّٰه সুখী ও সমৃদ্ধ থাকবে। 

(৮৪) یَا ذَاالۡجَلَالِ وَالۡاِكۡرَام : এটি অধিকহারে পাঠ করলে সুখ ও সমৃদ্ধি নসীব হবে এবং এটি সহকারে দোয়া করলে দোয়া কবুল হবে। اِنۡ شَاءَ اللّٰه 

(৮৫) یَا مُقۡسِطُ : শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ১০০ বার পাঠ করা খুবই উপকারী। اِنۡ شَاءَ اللّٰه 

(৮৬) یَا جَامِعُ: যার নিকটাত্মীয় আলাদা হয়ে গেছে, চাশতের সময় গােসল করে আকাশের দিক মুখ করে ১০ বার এই নামটি পাঠ করবে এবং প্রতিবার একটি করে আঙ্গুল বন্ধ করে নিবে, অতঃপর নিজের মুখের উপর হাত বুলিয়ে নিবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه কিছুদিনের মধ্যেই সকলে একত্রিত হয়ে যাবে। 

(৮৭) یَا غَنِیُّ : মেরুদন্ডের হাঁড়, গােড়ালী, জোড়ায় বা শরীরের কোথাও ব্যথা হলে, চলতে-ফিরতে, উঠতে-বসতে এটি পাঠ করতে থাকুন اِنۡ شَاءَ اللّٰه ব্যথা চলে যাবে। 

(৮৮) یَا مُغۡنِیۡ : একবার পাঠ করে হাতে ফুঁক দিয়ে ব্যথার স্থানে মালিশ করলে اِنۡ شَاءَ اللّٰه আরাম পাওয়া যাবে। 

(৮৯) یَا مُعۡطِیۡ .یَا مَانِعُ : স্ত্রী অসন্তুষ্ট হলে স্বামী এবং স্বামী অসন্তুষ্ট হলে স্ত্রী ২০ বার শয়নকরার পূর্বে বিছানায় বসে পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه আপােষ হয়ে যাবে। (সময়সীমা: উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত)। 

(৯০) ضَارُّ. یَا نَافِعُ: যার কোন পদমর্যাদা অর্জন হয় এবং সে তা ধরে রাখতে চায়, তবে সে যেনাে বৃহস্পতিবার রাতে ও আইয়্যামে বীয (তথা প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ১৫ তারিখে) ১০০ বার করে পাঠ করে। 

(৯১) یَا نَافِعُ : যে ব্যক্তি কোন কাজ আরম্ভ করার পূর্বে ২০ বার পাঠ করে নিবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه কাজ তার ইচ্ছা অনুযায়ী হবে। 

(৯২) یَا نُوۡرُ : যে ব্যক্তি ৭ বার ‘সূরা নুর’ এবং یَا نُوۡرُ ১০০১ বার পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه তার অন্তর আলােকিত হবে। 

(৯৩) یَا هَادِیۡ : যে ব্যক্তি আকাশের দিকে মুখ করে হাত তুলে এই নামটি অধিকহারে পাঠ করবে এবং হাত নিজের মুখমন্ডল ও চোখে বুলিয়ে নিবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه আহলে মারিফাতের (অর্থাৎ আল্লাহ পাকের পরিচয় লাভের) মর্যাদা পাবে। 

(৯৪) یَا بَدِیۡعُ : যে ব্যক্তি কোন কঠিন ব্যাপারের সম্মুখীন হলাে, সে এটা ৭০০০০ (সত্তর হাজার) বার পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه ও সফল হবে। 

(৯৫) یَا بَاقِیۡ : যে ব্যক্তি সূর্য উদয়ের পূর্বে দৈনিক ১০০ বার পাঠ করবে ; দুঃখ কষ্ট থেকে বেঁচে থাকবে। 

(৯৬) یَا وَارِثُ : যে ব্যক্তি এটি সর্বদা পড়তে থাকবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه তার হায়াত দীর্ঘ হবে। 

(৯৭) یَا رَشِیۡدُ : যে ব্যক্তি কোন কাজের উপায় জানে না, সে মাগরবি ও ইশার নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে ১০০০ বার এটা পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه সঠিক উপায় তার অন্তরে জানা হয়ে যাবে। 

(৯৮) یَا صَبُوۡرُ : যে ব্যক্তি কষ্ট, দুঃখ বা বিপদাপদের সম্মুখীন হলাে, সে ৩৩ বার পড়বে اِنۡ شَاءَ اللّٰه শান্তি অর্জিত হবে। 

(৯৯) یَا مُؤَخِّرُ : যে ব্যক্তি এই পবিত্র নাম কোন নামাযের পর ১০০ বার পাঠ করবে اِنۡ شَاءَ اللّٰه তার অন্তর আল্লাহ পাকের ভালবাসা ও তাঁর স্মরণে থাকবে। 

______________

আল্লাহ তাআলার ৯৯ নামের বরকত 

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন