জান্নাতে বৃক্ষ রােপন করুন
আপনি যদি চান, তাহলে এ দুনিয়াতে থাকাকালীন সময়েই আপনি প্রতি সেকেন্ডেই জান্নাতে এক একটি বৃক্ষ রােপ করতে পারেন।
জান্নাতে বৃক্ষ রােপন করার পন্থাও খুবই সহজ। ইবনে মাযাহ শরীফের হাদীসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত চারটি শব্দ হতে যে কোন একটি শব্দ পাঠ করবে তার জন্য জান্নাতে একটি বৃক্ষ রােপন করা হবে। সে চারটি শব্দ হচ্ছে যথা (১) سُبۡحٰنَ اللّٰه (২) اَلۡحَمۡدُ لِلّٰه (৩) لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ (৪) اَللّٰهُ اَكۡبَرُ (সুনানে ইবনে মাযাহ, খন্ড-৪র্থ, পৃ-২৫২, হাদীস নং ৩৮০৭, দারুল মারেফাত, বৈরুত) সুতরাং বুঝা যায় যে, সময় অতি মূল্যবান। ।
দুরূদ শরীফের ফযীলত
প্রিয় প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেনতাে! জান্নাতে বৃক্ষ রােপন করা কতই সহজ। যদি বর্ণিত চারটি শব্দ থেকে যে কোন একটি আপনি পাঠ করেন তাহলে একটি, আর যদি চারটি শব্দই পাঠ করেন তাহলে জান্নাতে আপনার জন্য চারটি বৃক্ষ রােপিত হবে। এখন আপনি নিজেই ভেবে দেখুন, সময় কতই মূল্যবান। জিহ্বার সামান্য নাড়াচাড়া দ্বারা যদি জান্নাতে বৃক্ষ রােপন করা সম্ভবপর হয়, তাহলে ফালতু কথাবার্তার স্থানে سُبۡحٰنَ اللّٰه : জপে জপে আমরা জান্নাতে অগনিত বৃক্ষ রােপন করতে পারি। উঠা-বসা, চলা-ফেরা, শয়নে স্বপনে, কাজের অবসরে আমরা দুরূদ শরীফও পাঠ করতে পারি।
কেননা এর সাওয়াবও অসীম। হুযুর صَلَّی اللّٰهُ تَعَالٰی عَلَيۡهِ وَاٰلِهٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দুরূদ শরীফ পাঠ করে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি দশটি রহমত নাজিল করেন, তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করে দেন এবং তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। (সুনানে নাসায়ী, পৃ-২২২, হাদীস নং-১২৯৪, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, বৈরুত)
صَلُّوۡا عَلَى الۡحَبِيۡب
صَلَّى اللّٰهُ تَعَالٰى عَلٰى مُحَمَّد
স্মরণ রাখবেন! শুয়ে শুয়ে কোন কিছু পড়ার সময় পা গুটিয়ে রাখতে হয়।
প্রিয় প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! কোন কিছু বলার আগে আপনি ভেবে দেখবেন, যে কথাটি আপনি বলতে চাচ্ছেন তার মধ্যে ইহলৌকিক কিংবা পরলৌকিক কোন কল্যাণ আছে কিনা? যদি আপনার নিকট আপনার সে কথাটি অযথা মনে হয় তাহলে তা না বলে এর পরিবর্তে দুরূদ শরীফ পাঠ করা কিংবা আল্লাহর জিকির করাটাই আপনার জন্য কল্যাণকর হবে। কেননা এতে আপনি অগনিত সাওয়াব অর্জন করতে পারবেন। অথবা : سُبۡحٰنَ اللّٰهِ বা اَلۡحَمۡدُ لِلّٰه বা لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ বা اَللّٰهُ اَكۡبَرُ জিকির করে জান্নাতে বৃক্ষ রােপন করার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারবেন।
“জিকরাে দুরূদ হর ঘড়ি বিরদে জবান রহে, মেরি ফুজুল গুঁয়ি কি আদাত নিকাল দো।”
_______________
কিতাব: অমূল্য রত্ন
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন