ষাট বছরের ইবাদতের চেয়েও উত্তম

 

ষাট বছরের ইবাদতের চেয়েও উত্তম


 যদি কিছু পাঠ করতে আপনার মন না চায়, বরং চুপচাপ বসে থাকতেই আপনার ভাল লাগে, তাহলে এর মধ্যেও সাওয়াব অর্জন করার অনেক পন্থা রয়েছে। যেমন আপনি আজে বাজে কল্পনাতে মগ্ন না হয়ে আল্লাহ তাআলার ধ্যান কিংবা মাদীনা ও শাহে মাদীনা صَلَّی اللّٰهُ تَعَالٰی عَلَيۡهِ وَاٰلِهٖ وَسَلَّم  এর ধ্যানে মগ্ন হয়ে পড়েন। অথবা ইলমে দ্বীন সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করতে থাকবেন অথবা মৃত্যুর ভয়াবহতা, কবরের একাকীত্ব জীবনের ভয়ানকতা, হাশরের ময়দানের হৃদয় বিদারক দৃশ্যের কল্পনাতে আপনি বিভাের হয়ে পড়েন। এভাবে মগ্ন থাকলে আপনার সময় বৃথা যাবে না। বরং আপনার প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাস اِنشَاءَ اللّٰهُ عَزَّ وَجَلَّ  ইবাদাতের মধ্যেই গণ্য হবে।

 “জামেউস সাগীর” কিতাবে বর্ণিত আছে, মাদীনার তাজেদার, হযরত মুহাম্মদ صَلَّی اللّٰهُ تَعَالٰی عَلَيۡهِ وَاٰلِهٖ وَسَلَّم  ইরশাদ করেছেন, আখেরাতের বিষয় নিয়ে সামান্য চিন্তা ভাবনা করা ষাট বছরের ইবাদাতের চেয়েও উত্তম। (আল জামেউস সাগীর, লিস সুয়ুতী, পৃ-৩৬৫, হাদীস নং-৮৯৭, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, বৈরুত)। 

“উন কি ইয়াদা মে খাে যাইয়ে, মােস্তফা মােস্তফা কি জিয়ে।” 

_______________

কিতাব: অমূল্য রত্ন

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন