অতিভোজনের ৬টি উদ্বেগজনক ক্ষতি
যারা অতি মাত্রায় খাবার খায়, তারা একবার ভাবুন যে, শয়তানথেকে কিভাবে পিছু ছাড়াবেন! হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত সায়্যিদুনা ইমাম মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাযালী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন: বর্ণিত আছে, অতিভোজনে ছয়টি অমঙ্গল নিহিত:
(১) অন্তর থেকে খোদাভীতি চলে যায়
(২) আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টির প্রতি দয়ার প্রেরণা অর্থাৎ, সহানুভূতি চলে যায়, কেননা এরূপ ব্যক্তি এমন মনে করে যে, আমার ন্যায় সবারই পেট ভরা আছে ।
(৩) ইবাদত করতে কষ্ট হয়
(৪) ওয়াজ ও নসিহত (সুন্নাতে ভরা বয়ান) শুনে অন্তরে নম্রতা সৃষ্টি হয় না
(৫) যদি সে নিজে মুবাল্লিগ হয় এবং বয়ান ও হিকমতপূর্ণ কথাবলে, তবে মানুষের অন্তরে এর প্রভাব বিস্তার করে না
(৬) বিভিন্ন ধরণের রোগ জন্ম নেয়।
(ইহইয়াউল উলুম থেকে সংক্ষেপিত, ৩য় খন্ড, ৪০ পৃষ্ঠা)
ইয়া ইলাহী! ভোক কি দৌলত সে মালামাল কর,
দো জাহাঁ মে আপনি রহমত সে মুঝে খোঁশহাল কর।
(ক্ষূধার উপকারীতা এবং অধিক আহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য ফয়যানে সুন্নাত ১ম খন্ডের “পেটের কুফলে মদীনা” অধ্যায়টি অধ্যয়ন করুন) আল্লাহ তায়ালা যখন শয়তানকে অভিশপ্ত ঘোষনা করলেন তখন সে মানুষের সাথে শত্রুতার ঘোষনা করলো! তার উক্তিটি কোরআনে মজীদের ৮ম পারায় সূরা আ’রাফের ১৬ ও ১৭ নং আয়াতে এভাবে উদ্ধৃত করা হয়:
قَالَ فَبِمَآ أَغْوَيْتَنِى لَأَقْعُدَنَّ لَهُمْ صِرَٰطَكَ ٱلْمُسْتَقِيمَ
ثُمَّ لَءَاتِيَنَّهُم مِّنۢ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ وَمِنْ خَلْفِهِمْ وَعَنْ أَيْمَٰنِهِمْ وَعَن شَمَآئِلِهِمْۖ وَلَا تَجِدُ أَكْثَرَهُمْ شَٰكِرِينَ
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: বললো, ‘শপথ এরই যে, তুমি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছো। আমি অবশ্যই তোমার সরল পথের
উপর তাদের জন্য ওঁত পেতে বসে থাকবো’। অতঃপর আমি অবশ্যই তাদের নিকট আসবো- তাদের সম্মুখ, পশ্চাৎ, ডান ও বাম দিক থেকে এবং আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন না’।
মাহবুবে খোদা সর পে আজল আ’কে খাড়া হে
শয়তান সে আত্তার কা ঈমান বাঁচা লো।
(ওয়াসায়িলে বখশীশ, ৮৬ পৃষ্ঠা)।
_____________
কিতাব: ওয়াসওয়াসা এবং এর প্রতিকার
লেখক: আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন