শয়তান ব্যাঙের আকৃতিতে

 

শয়তান ব্যাঙের আকৃতিতে


হযরত সায়্যিদুনা ওমর বিন আব্দুল আযীয (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) َবর্ণিত, কেউ আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করলো: “হে আল্লাহ!আমাকে বনী আদমের (অর্থাৎ মানুষের) অন্তরে শয়তানের কুমন্ত্রণা প্রদানের পদ্ধতি দেখিয়ে দাও।” সে স্বপ্নে দেখলো যে, একজন স্বচ্চ কাঁচের ন্যায় মানুষ, যার ভেতরে বাইরে সব কিছু দেখা যাচ্ছে, তার কাঁধ এবং কানের মধ্যবর্তী স্থানে শয়তান ব্যাঙের আকৃতিতে বসে তার লম্বা চিকন শুড়কে কাঁধ হতে তার অন্তর পর্যন্ত প্রবেশ করিয়ে কুমন্ত্রণা দিতে থাকে, যখনই ঐ ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার যিকির করে, শয়তান পিছনে সরে যায়।


 (মুকাশাফাতুল কুলুব, ৫৯ পৃষ্ঠা)



হুযুর (ﷺ) এর কোন মুহুর্ত আল্লাহর যিকির হতে উদাসিন ছিল না


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জানা গেলো যে, আল্লাহ তায়ালার যিকির কুমন্ত্রণার উত্তম চিকিৎসা, কেননা শয়তান আল্লাহ তায়ালার যিকিরে দূরে পালিয়ে যায়, আমাদের প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তাফা (ﷺ)  َএর কোন মুহুর্তই, কোন নিশ্বাসই আল্লাহ তায়ালার যিকির হতে উদাসিন ছিলো না। আমাদের যখনই সুযোগ হয় বিনা প্রয়োজনে মুখ বন্ধ রাখার পরিবর্তে “আল্লাহ আল্লাহ” বা দরূদ শরীফ পড়তে থাকা উচিত এভাবেই সাওয়াবের “মিটার” চলতে থাকবে এবং শয়তানও দূর্বল হতে থাকবে। (ইহইয়াউল উলুম, ৩য় খন্ড, ৩৭ পৃষ্ঠা)।



শয়তান গলে পাখির মতো হয়ে যাওয়া



 হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত সায়্যিদুনা ইমাম মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাযালী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) ِউদ্ধৃত করছেন: হযরত সায়্যিদুনা কায়েস বিন হাজ্জাজ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন: আমার শয়তান (হামযাদ) আমাকে বললো: যখন আমি তোমার ভেতরে প্রবেশ করলাম, তখন উটের মতো (শক্তিশালী) ছিলাম এবং এখন পাখির ন্যায় (দূর্বল) হয়ে গেছি। আমি জিজ্ঞাসা করলাম: কেন? বলতে লাগলো: তুমি আল্লাহ তায়ালার যিকিরের মাধ্যমে আমাকে গলিয়ে দিয়েছো।  (ইহয়াউল উলুম, ৩য় খন্ড, ৩৭ পৃষ্ঠা)।


 তবে আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসিন থাকা ভালো বিষয় নয়।

_____________

কিতাব: ওয়াসওয়াসা এবং এর প্রতিকার

লেখক: আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন