দরূদ পাঠে অন্তর নিফাক মুক্ত হয়

 

দরূদ পাঠে অন্তর নিফাক মুক্ত হয় 



মাজালিসে মাক্কীয়া নামক গ্রন্থে আবুল মোজাফফর মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ খৈয়াম সমরকন্দী (র) বলেন, একদিন আমি পথ হারিয়ে গেলে হঠাৎ একজন লোক দেখলাম। লোকটি আমাকে তার সাথে চলতে বললে আমি তার সাথে চললাম। আমার মনে হল যে, তিনি সম্ভবত হযরত খিজির (আঃ) হবেন, যিনি হারিয়ে যাওয়া পথিককে রাস্তা দেখান এবং মনজিলে মকসুদ পর্যন্ত পেঁৗছিয়ে দেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার নাম কী? উত্তরে তিনি বললেন আমার নাম খিজির ইবনে ইসা আবুল আব্বাস। আমি তার সাথে আরেকজনকে দেখতে পাই। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনার নাম কী? উত্তরে তিনি বললেন, ইলিয়াস ইবনে শাম। এরপর উভয়কে সম্ভোধন করে বললাম, আল্লাহ তায়ালা আপনাদের উপর রহমত নাযিল করুন। আপনারা কি মুহাম্মদ (ﷺ) কে দেখেছেন? তারা বললেন হ্যা দেখেছি। আমি আরয করলাম আপনারা আমাকে ঐ সব কথা শুনান যা আপনারা রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছেন। যাতে আমি অন্যদেরকে বর্ননা করতে পারি । তারা বললেন আমরা রাসূল (ﷺ) কে ইরশাদ করতে শুনেছি, 


من صلى على طهر الله قلبه من النفاق كمايطهر الثوب الماء


অর্থাৎ- যে ব্যক্তি আমার উপর দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার অন্তরকে নিফাক থেকে এমন ভাবে পবিত্র করবেন, যেভাবে পানি কাপড়কে পবিত্র করে। 


(জযবুল কুলুব উর্দূ পৃ: ২৬৭) (তথ্য সূত্র : বার মাসের আমল ও ফযীলত- ১৭৩)।

________________

কিতাব :দরূদে মোস্তফা (দরূদ পাঠের উপকারিতা ও ফযিলত)

লেখক : মুহাম্মদ হোসাইন আহমেদ আলকাদেরী

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন