একটি বালিকার ঘটনা

 

একটি বালিকার ঘটনা 



দালায়েলুল খাইরাত প্রনেতা হযরত মুহাম্মদ ইবনে সুলাইমান জাযুলী (رحمة الله) একদিন ভ্রমণ করতে গিয়ে ফাস নাম শহরে উপস্থিত হলেন। সেখানে ভ্রমণে জোহরের সময় হল, তিনি পানি পাচ্ছিলেন না। অনেক্ষণ পানি তালাশ করার পর একটি কূপ দৃষ্টিগোচর হল, কিন্তু পানি উঠানোর জন্য কোন মাধ্যম তথা বালতি বা অন্য কোন পাত্র পেলেন না। উক্ত কিতাবের গ্রন্থকার পানির আশায় ঐ কূপের চারপাশে অসহায়ভাবে প্রদক্ষিণ করতে লাগলেন। কিন্তু এর কোন সমাধান না পেয়ে গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হলেন। এই ঘটনা এক জায়গা হতে আট বা নয় বছরের এক বালিকা প্রত্যক্ষ করেছেন। 


অল্পক্ষণপর বালিকা লেখক হযরত সুলায়মান জাযুলি (رحمة الله) এর কাছে এসে বললেন যে, আপনার এই চিন্তার কারণ কী? অনুগ্রহ করে আমাকে কি বলবেন? তদুত্তরে তিনি বললেন যে, আমি জোহরের নামাজ আদায় করতে চাই। অথচ অযুর পানি পাওয়ার কোন মাধ্যম বা লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না। আপনার সম্ভব হলে সাহায্য করুন। উত্তরে বালিকা বললেন আপনি একজন জগৎখ্যাত ওলী। অথচ এ সামান্য কাজও সমাধান করতে পারছেন না। এ বলে বালিকাটি এসে কূপের মধ্যে থু-থু নিক্ষেপ করলেন। সাথে সাথে পানি ফুসলিয়ে উঠে। কূপের উপর দিয়ে প্রবাহিত হল। 


ফলে উপস্থিত সবাই অযু করে নামাজ আদায় করলেন। নামাজ থেকে অবসর হয়ে লেখক ঐ বালিকার ঘরে গিয়ে ডেকে জানতে চাইলেন যে, আপনার ঐ সত্তার কসম যে সত্তা আপনাকে সৃষ্টি করেছেন এবং ইসলামের সঠিক পথ প্রদর্শন করেছেন। তোমাকে আল্লাহ সমস্ত নবী-রাসূল বিশেষত আমার নবীয়ে পাক (ﷺ) এর দোহাই দিয়ে বলছি যে কুপ থেকে পানি উঠানো এটা কীভাবে সম্ভব হলো? 


বালিকা বললেন, জনাব আপনি যদি আমাকে এতবড় শপথের কথা না বলতেন, তাহলে আমি অবশ্যই বলতাম না। ইহা মূলত বিশেষ একটি দরূদ শরীফ পাঠ করার কারণে পেয়েছি। যে দরূদ শরীফ খানা আমি সর্বদা পাঠ করে আসছি। 


শেখ মুহাম্মদ সুলায়মান (رحمة الله) বললেন যে, আমি উক্ত দরূদশরীফ বালিকা থেকে মুখস্ত করলাম এবং উহাকে মানুষের মধ্যে প্রচার করার অনুমতি নিলাম। অত:পর দৃঢ় ইচ্ছা ব্যক্ত করলাম যে আমি দরূদ শরীফ সংক্রান্ত কিতাব রচনা করব। তাই দালায়েলুল খাইরাত কিতাবখানা রচনা করলাম। 

________________

কিতাব :দরূদে মোস্তফা (দরূদ পাঠের উপকারিতা ও ফযিলত)

লেখক : মুহাম্মদ হোসাইন আহমেদ আলকাদেরী

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন