॥ নবম হাদিস ॥
◾হযরত আবু বকর, আহমদ বিন আলী বাগদাদী (রহ.) হযরত আবু দারদা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, হুজুর শাফিউল মুযনেবীন (ﷺ) এরশাদ করেন,
شفاعتی لاهل الذنوب من امتی -
অর্থাৎ আমার শাফায়াত আমার পাপী উম্মতদের জন্যে। এ প্রসঙ্গে সাহাবী আবু দারদা (رضي الله عنه) আরজ করলেন,
وان زنى وإن سرق
অর্থাৎ হে আল্লাহর রাসুল (ﷺ) যদি যেনা কিংবা চুরি করে ? হুজুর (ﷺ) তদুত্তরে বললেন-
وان زنی وان سرق على رغم أنف ابي الدردا -
অর্থাৎ : যদিও সে যেনাকারী হয় কিংবা চোর হয়, আবু দারদার ইচ্ছার পরিপন্থী।
॥ দশ ও এগার হাদিস ॥
👉তাবরানী, বায়হাকী, হযরত বুরায়দাহ এবং তাবরানী ‘মু’জামে আউসত’এ হযরত আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, হুজুর শাফিউল মুযনেবীন (ﷺ) এরশাদ করেন,
انی لاشفع يوم القيامة لاکثر مما علی وجه الارض من شجر وحجر ومدر
অর্থাৎ : ভূপৃষ্ঠে যত বৃক্ষ, পাথর ও ঢিলা আছে, কিয়ামত দিবসে আমি ততােধিক ব্যক্তির জন্য শাফায়াত করবাে।
॥ বার হাদিস ॥
👉বােখারী, মুসলিম, হাকেম, বায়হাকী হযরত আবু হােরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন- হুজুর (ﷺ) এরশাদ করেন,
شفاعتی لمن شهد لا اله الا الله مخلصا يصدق لسانه قلبه
অর্থাৎ আমার শাফায়াত প্রত্যেক কলেমা পাঠকারীর জন্য হবে, যে আন্তরিকভাবে কলেমা পাঠ করে, যে মুখের সত্যায়ন অন্তরই করে।
॥ তের হাদিস ॥
👉 ইমাম আহমদ, তাবরানী এবং বাজ্জার رحمة الله হযরত মায়াজ ইবনে জবল (رضي الله عنه) এবং হযরত আবু মুসা আশআরী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, হুজুর শফিউল মুযনেবীন (ﷺ) এরশাদ করেন,
انها اوسع لهم هی لمن مات ولا يشرك بالله شيٸا
অর্থাৎ: শাফায়াতে উম্মতদের জন্যে অধিক প্রশস্থতা রয়েছে। যা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্যই হবে, যার মৃত্যু ঈমানের উপর হয়েছে।
॥ চৌদ্দ হাদিস ॥
👉ইমাম তাবরানী মু’জামুল আওসাত-এ হযরত আবু হুরাইরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, হুজুর শাফিউল মুযনেবীন (ﷺ) এরশাদ করেন,
انی جهنم فاضرب بابها فيفتح لی فادخلها فاحمد الله محامد ما حمده احد مثله ولا محمده احد بعدی مثله ثم اخرج منها من قال لا اله ال الله مخلصا
অর্থাৎ : আমি জাহান্নামের দরজা খুলিয়ে তশরীফ নিয়ে যাব এবং আল্লাহর প্রসংশা করবো এমনভাবে যে, যেমন আমার পূর্বে কেউ করেনি, না আমার পরে কেউ করবে। অতঃপর দোযখ থেকে ঐ ব্যক্তিকে বের করে আনবাে যে খাটি অন্তরে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লহু বলেছে।
॥ পনের হাদিস ॥
👉হাকেম, তাবরানী ও বায়হাকী (রহ.) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, হুযুর শাফিউল মুযনেবীন (ﷺ) এরশাদ করেন,
يوضع لانبياء منابر من ذهب فيجلسون عليها ويبقی منبری ولم اجلس ،لا ازال اقيم خشية الله ان ادخل الجنة ويبقی امتی بعدی فاقول يا رب امتی امتی فيقول الله يا محمد وما تريد ان اصفع بامتك ؟فاقول يا رب عجل حسابهم فما ازال حتی وَعُطِیَ وقد بعثت بهم الی النار وحتی ان مالکا خازن النار يقول يا محمد ما ترکت لغضب ربك فی امتك من بقية
অর্থাৎঃ(কেয়ামত দিবসে) নবীগণের জন্যে মিম্বর তৈরী হবে। তারা এগুলোর উপর অধিষ্ঠিত হবেন এবং আমার মিস্বর খালি থাকবে, তাতে আমি আরােহণ করবো না, বরঞ্চ স্বীয় প্রতিপালকের দরবারে সবিনয় দণ্ডায়মান থাকবাে। এ ভয়ে যে, যেন এমন না হয় যে, আমাকে জান্নাতে প্রেরণ করা হয় আর আমার উম্মত আমার পিছনে থেকে যাবে। অতঃপর আরজ করবো, হে আমার প্রতিপালক! আমার উম্মত, আমার উম্মত (অর্থাৎ আপনি আমার উম্মতের প্রতি করুনা করুন)। তখন আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করবেন, হে মােহাম্মদ (ﷺ) আপনার কিসে সন্তুষ্ট? আমি আপনার উম্মতের অন্য কি করবো? অতঃপর আরজ করবে, হে আমার প্রতিপালক। তাদের হিসাব নিকাশ অতিসত্বর সমাপন করুন। অতঃপর আমি শাফায়াত করতে থাকবো। শেষ পর্যন্ত দোজখের দারােগা মালেক আরজ করবেন, হে মুহাম্মদ (ﷺ)! আপনিতো আপনার উম্মতের মধ্যে আল্লাহর গযব নামে মাত্রও বাকী রাখেননি।
________________
কিতাবঃ কোরআন হাদিসের আলোকে শাফায়াত
মূলঃ- চতুর্দশ শতাব্দীর মোজাদ্দিদ ইমামে আহলে সুন্নাত আলা হযরত শাহ মাওলানা আহমদ রেযা খান ফাযেলী বেরলভী (রহঃ)
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন