শয়তান থেকে মুক্তি
** রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে,তিঁনি বলেন - লা - ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ" বলে শয়তানকে শীর্ণ করে দাও।কারণ,কালেমায়ে ত্বাইয়িবা শয়তানকে এরুপ দুর্বল করে যেরুপ তোমরা একটি উটকে দীর্ঘ দিন দুরুহ বোঝা টানিয়ে জীর্ণ করে ফেলে। ( আল - ফাতহুর রব্বানী,পৃ:- ২০৫)।
** "বুস্তানুত তাফাসীর" গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে,হুজুর আলাইহিস সালাম এরশাদ করেছেন,যে ব্যক্তি প্রত্যহ দশ বার " 'আউযু বিল্লাহি " পড়ে নেয়,মহান আল্লাহ তার জন্য একজন ফেরেস্তা নিযুক্ত করেন।যিনি তাকে শয়তান থেকে রক্ষা করেন।রুহুল বয়ান শরীফের তাফসীরকারক উক্ত তাফসীরে " 'আউযু বিল্লাহি " এর তাফসীর প্রসঙ্গে বলেছেন,হযরত হাসান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন," কোন ব্যক্তি যদি অন্তরের নিষ্ঠা সহকারে " 'আউযু বিল্লাহ" পড়ে - তাহলে মহান রব তার ও শয়তানের মধ্যে তিনশ পর্দার আবরণ করে দেন।( আশরাফুত তাফাসীর - তাফসীরে নাঈমী,খন্ড -১ম,পৃ:- ১০১)।
** হাদীস শরীফের মধ্যে আছে যে,যে
ঘরের মধ্যে প্রত্যহ সূরা বাক্বারা শরীফ
তিলাওয়াত করা হয়,সে ঘর শয়তান থেকে
রক্ষিত থাকবে। সুতরাং জিনদের রোগ
থেকেও নিরাপদ থাকবে।( আশরাফুত
তাফাসীর - তাফসীরে নাঈমী,খন্ড - ১ম,
পৃ:-৮৫)।
** রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেন," শয়তান তোমাদের একজনের
গলায় ঘুমন্তবস্থায় তিনটি গিরা লাগিয়ে
দেয়।প্রত্যেক গিরায় একথা বলে ফুঁক মারে
যে,এখনও রাত অনেক বাকী আছে,ঘুমিয়ে
থাক।লোকটি যদি জাগ্রত হয় এবং আল্লাহকে
স্বরণ করে, তাহলে একটি গিরা খুলে যায়।
যদি অযু করে, তাহলে দ্বিতীয় গিরা খুলে
যায়।আর যদি নামায পড়ে,তাহলে তৃতীয়
গিরাটিও খুলে যায়।সে সকালে খুশী মনে
বিছানা ছেড়ে ওঠে।অন্যথায় মন্দ ও অলস হয়ে ঘুম থেকে জাগে।( ইহইয়াউল উলুমুদ্দীন,
পৃ:- ৩০২)।
** সাদা মোরগ রাখো।এজন্য যে,যে ঘরে
সাদা মোরগ থাকবে,তাতে না শয়তান এ ঘরের কাছে আসবে আর না জাদুকর ঐ ঘরগুলোর নিকটবর্তী হবে।যা এ ঘরের আশে - পাশে রয়েছে।( আল মা'জুমুল আওসাত,খন্ড -
১ম,হাদীস নং- ৬৭৭,পৃ:- ১২০১,খাবারের
ইসলামী নিয়মাবলী,পৃ:- ১৪০)।
__________________
ফয়যানে শরিয়ত ও মারফত (আমলের ভান্ডার)
লেখক : মুহাম্মাদ আবদুল কাদির মাহী
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন