মৃত্যুর পর মজলুম পশু নিয়োজিত হতে পারে
জবেহ করার পর রুহ বের হওয়ার আগে ছুরি চালিয়ে বোবা পশুদেরকে বিনা কারণে কষ্ট দানকারীদেরকে ভীত হওয়া উচিত কখনো আবার যেন মৃত্যুর পর শাস্তির জন্য এই পশুকে নিয়োজিত করা না হয়। দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত ১০১২ পৃষ্ঠা সম্বলিত কিতাব “জাহান্নাম মে লেজানে ওয়ালে আমাল” ২য় খন্ডের ৩২৩-৩২৪ পৃষ্ঠাতে বর্ণিত রয়েছে: ‘মানুষ অন্যায়ভাবে চতুষ্পদ পশুকে মারল বা ক্ষুধা পিপাসায় রাখল বা সেটার ক্ষমতার বাইরে কাজ নিল, তবে কিয়ামতের দিন তার থেকে ততটুকু প্রতিশোধ নেয়া হবে যতটুকু সে পশুর উপর জুলুম করেছে বা সেটাকে ক্ষুধার্ত রেখেছে।’ তার উপর নিম্নে প্রদত্ত হাদীস প্রমাণ বহন করে। যেমন- হুযুরে আনওয়ার (صلى الله عليه وسلم) জাহান্নামে এক মহিলাকে এই অবস্থায় দেখলেন, সে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে, আর একটি বিড়াল তার চেহারা এবং বুক আঁচড়াচ্ছিল, তাকে ততটুকু শাস্তি দেওয়া হচ্ছিল যতটুকু ঐ মহিলা সেটিকে দুনিয়াতে বন্দী করে এবং ক্ষুধার্ত রেখে কষ্ট দিয়েছিল। এই বর্ণনার হুকুম সকল পশুদের ব্যাপারে ব্যাপক ভাবে বর্ণিত। (আয্জাওয়াজির, ২য় খন্ড, ১৭৪ পৃষ্ঠা)
করলে তাওবা রব কি রহমত হে বড়ি,
কবর মে ওরনা সাজা হুগী কাড়ি।
___________
ঘোড়ার আরোহী
মূলঃ আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন