কুরবানী দেওয়ার সময় তামাশা দেখা কেমন?

 

কুরবানী দেওয়ার সময় তামাশা দেখা কেমন? 


কুরবানীর পশু নিজ হাতে জবেহ করা উত্তম এবং জবেহ করার সময় আখিরাতের সাওয়াবের নিয়্যতে সেখানে নিজে উপস্থিত থাকাও উত্তম। কিন্তু ইসলামী বোনেরা শুধু এ অবস্থায় সেখানে দাঁড়াতে পারবে যখন বেপর্দার কোন অবস্থার সম্মুখীন না হয়, যেমন নিজের ঘরের মধ্যে হলে, জবেহকারী মুহরিম হলে এবং উপস্থিত লোকদের থেকেও কেউ নামুহরিম না হলে। হ্যাঁ, তবে না মুহরিম নাবালিগ ছেলে বিদ্যমান থাকলে, কোন সমস্যা নেই। শুধু আত্মতুষ্টির জন্য ও আনন্দ লাভের উদ্দেশ্যে পশুর চতুর্দিকে বেষ্টনী দেওয়া, এর চিৎকার ও লুটোপুটি খাওয়া দেখে আনন্দ পাওয়া, হাসা, অট্টহাসি দেওয়া এবং একে হাসি তামাশার বস্তু বানানো সরাসরি এর প্রতি অবহেলা দেখানোরই নিদর্শন। জবেহ করার সময় বা নিজের কুরবানীর পশু কুরবানী দেওয়ার সময় সেখানে অবস্থানের বিষয়টা সুন্নাত আদায়ের নিয়্যতে হওয়া চাই এবং সাথে সাথে এই নিয়্যতও করবেন যে, আমি আজ যেভাবে আল্লাহ্ তাআলার রাস্তায় কুরবানী দিচ্ছি, প্রয়োজন হলে আল্লাহ্ তাআলার রাস্তায় নিজের জানও কুরবান করে দেব । �এটাও নিয়্যতে থাকতে হবে যে, পশু জবেহের মাধ্যমে নিজের নফসে আম্মারাকেও জবেহ করে দিচ্ছি আর ভবিষ্যতে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকব। জবেহ কৃত পশুর প্রতি দয়াপরবশ হবেন এবং চিন্তা করুন, যদি এটির স্থানে আমাকে জবেহ করা হত লোকেরা তামাশা করত আর বাচ্চারা তালি বাজাত, তাহলে আমার কি অবস্থা হত!

___________

ঘোড়ার আরোহী

মূলঃ আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন