স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য মহিলাদের অলংকার পরিধান করা কেমন?


প্রশ্ন:- স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য মহিলাদের অলংকার পরিধান করা কেমন?


উত্তর:- সাওয়াবের কাজ। আমার আক্বা আ’লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত মাওলানা শাহ্ ইমাম আহমদ রযা খাঁন رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বলেন: “স্বামীর জন্য মহিলাদের অলংকার পরিধান করা, সাজসজ্জা করা মহান প্রতিদানের মাধ্যম ও তার জন্য নফল নামায আদায় করা থেকেও উত্তম। কতিপয় নেক্কার বিবিগণ (এমনও ছিলেন) নিজে এবং তার স্বামী উভয়েই আউলিয়ায়ে কিরামের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। প্রতি রাতে ইশারের নামাযের পর পুরোপুরি নব বধুর মতো সেজে নিজের স্বামীর নিকট আসতেন। যদি তাকে নিজের দিকে আগ্রহী মনে হতো তবে স্বামীর নিকট উপস্থিত থাকতেন। নতুবা অলংকার খুলে জায়নামায বিছিয়ে নামাযে লিপ্ত হয়ে যেতেন। আর নব বধুকে সাজানো তো অনেক পুরোনো সুন্নাত এবং অনেক হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। বরং যুবতি মেয়েদেরকে ভাল পোশাক ও অলংকার দ্বারা সজ্জিত রাখা যেন তাদের বিয়ের প্রস্তাব আসে, এটাও সুন্নাত।” (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ২২তম খন্ড, ১২৬ পৃষ্ঠা)


কিন্তু স্মরণ রাখবেন! সাজ-সজ্জা যেন ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে এবং তাও শুধুমাত্র মাহরামদের সামনে হয়। যুবতী মেয়েদের সাজিয়ে পর-পুরুষের সামনে বেপর্দা অবস্থায় নিয়ে ঘুরে বেড়ানো হারাম এবং জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ।


প্রিয় নবী ﷺ এর দীদার নসীব হয়ে গেলো


ইসলামী বোনেরা! শরয়ী পর্দা করাতে দৃঢ়তা পাওয়ার জন্য তবলীগে কোরআন ও সুন্নাতের বিশ্বব্যাপী অরাজনৈতিক সংগঠন দা’ওয়াতে ইসলামীর মাদানী পরিবেশের সাথে সর্বদা সম্পৃক্ত থাকুন। দা’ওয়াতে ইসলামীর মাদানী কাজও করতে থাকুন এবং দা’ওয়াতে ইসলামীর সুন্নাত প্রশিক্ষণের মাদানী কাফেলায় ইসলামী বোনেরা মুসাফির হওয়ার সৌভাগ্যও অর্জন করতে থাকুন।* যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে, মাদানী কাফেলায় কি পাওয়া যায়? তবে আমি বলব: মাদানী কাফেলায় কি পাওয়া যায় না! এই মাদানী বাহারটি লক্ষ্য করুন এবং নবীর প্রেমে মুখরিত অন্তরের অনুধাবন মাদানী বাহারের পরিশেষে প্রদত্ত কবিতার লাইনে سُبْحٰنَ اللهِ عَزَّوَجَل বলে সত্যায়নের মোহর লাগিয়ে নিন। হায়দারাবাদ সিন্ধু প্রদেশের একজন ইসলামী বোনের বর্ণনা কিছুটা এরকম: আমাদের এলাকার দা’ওয়াতে ইসলামীর ইসলামী বোনদের একটি মাদানী কাফেলা আগমন করলো। দ্বিতীয় দিন নেকীর দাওয়াতের মাদানী দাওরার পর অনুষ্ঠিত সুন্নাতে ভরা বয়ানে আমারও অংশগ্রহণ করার সৌভাগ্য অর্জিত হলো। বয়ান শেষে যখন সালাত ও সালামের এই কবিতার লাইনগুলো পড়া হলো;


“হে শাহানশাহে মদীনা আস্‌সালাতু ওয়াস্‌সালাম” তখন আমি জাগ্রত চোখে দেখলাম যে, রহমতে আলম صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ফুলের মালা পরিধান করে সেখানে আগমণ করলেন। আমার আক্বা, উভয় জাহানের দাতা صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে দেখে আমি নিজেকে সামলাতে পারলাম না, আমার চোখ দিয়ে অশ্রুধারা প্রবাহিত হতে লাগলো। অতঃপর সেই ঈমান তাজাকারী দৃশ্য আমার চোখের সামনে থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলো, আর তখনই ইজতিমাও সমাপ্ত হয়ে গেলো।


————-


*ইসলামী বোনদের মাদানী কাফেলা প্রত্যেক মুসাফির ইসলামী বোনের সাথে তার সন্তানের বাবা অথবা নির্ভরযোগ্য মুহরিম পুরুষ থাকা আবশ্যক। এ ছাড়া যিম্মাদারদের জন্য নিজের ইচ্ছায় মাদানী কাফেলায় সফর করানোর অনুমতি নেই। যেমন- ইসলামী বোনদের মাদানী কাফেলার জন্য ইসলামী বোনদের মজলিশ বরায়ে মুলক (দেশ পর্যায়ের ইসলামী বোনদের যিম্মাদারের) অনুমতি আবশ্যক।


————-


মিল গেয়ে ওহ তো ফির কমি কেয়া হে,


দোনো আলম কো পা লিয়া হামনে।


صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد

______________

কিতাব : পর্দা সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর ও মাসআলা

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন