হাদিসের আলোকে শাফায়াত (৫)


॥ চব্বিশ হাদিস ॥


👉সহীহ মুসলিম শরীফে হযরত উবাই ইবুনে কা’য়াৰ  (رضي الله عنه)  থেকে বর্নিত, হুজুর শফিউল মুযনেবীন (ﷺ) এরশাদ করেন,

আল্লাহ তায়ালা আমাকে তিনটি প্রার্থনা করার ইখতিয়ার প্রদান করেছেন। আমি পৃথিবীতেই দুটো প্রার্থনা করে ফেলেছি। যথাঃ


اللهم اغفر لامتی اللهم اغفر لامتی۔



(হে খোদা আমার উম্মতের গুনাহ ক্ষমা করুন, হে খোদা আমার উম্মতের গুনাহ ক্ষমা করুন।)



واخرت الثالثة ليوم يرغب الی فيه الخلق حتی ابراهيم .



এবং তৃতীয় আরজটি সেই দিবসের জন্যে অবশিষ্ট রেখেছি। যেটার জন্য আল্লাহর সমস্ত সৃষ্টি আমার মুখাপেক্ষী হবে। এমন কি হযরত ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ (عليه السلام)ও।



॥ পঁচিশ হাদিস ॥



👉ইমাম বায়হাকী হযরত আবু হুরাইরা   (رضي الله عنه)  থেকে বর্ণনা করেছেন হুজুর, শাফিউল মুযনেবীন (ﷺ) শবে আসয়ায় (মিরাজ শরীফের রাত্রে) স্বীয় প্রতিপালকের দরবারে আরজ করলেন আপনি এ মর্যাদা সমূহ অন্যান্য নবীগণ (عليه السلام) কে প্রদান করেছেন? তখন মহান স্রষ্টা এরশাদ করেন,



أطيتك خيرا من ذالك (الی قوله ) خياعت شفاعتك ولم اخبارءھا لنبی غيرك .



অর্থাৎ আমি আপনাকে এমন মর্যাদা বা নেয়ামত প্রদান করেছি, যা সেগুলো অপেক্ষা উৎকৃষ্ট। আমি আপনার জন্যে শাফায়াতকে গোপন রেখেছি এবং এটা আপনি ব্যতীত অন্য কাউকে প্রদান করিনি।




॥ ছাব্বিশ হাদিস ॥



👉ইবনে আবি শায়বা ও ইমাম তিরমিযী -


হাসান ও সহীহ হাদিসে বর্ননা করেন এবং ইমাম ইবনে মাজাহ (রহ.) সহীহ সূত্রে হযরত উবাই ইবনে কা'ব  (رضي الله عنه)  থেকে বর্ননা করেন হুজুর শাফিউল মুযনেবীন (ﷺ) এরশাদ করেন,



واذا كان يوم القيامة كنت امام النبيين وخطيبهم  وصاحب شفاعتهم غير فخر



অর্থাৎ কিয়ামত দিবসে আমি নবীকুলের সরদার, তাদের খতীব এবং তাদের শাফায়াতকারী হবো এবং এটা কোনো অহংকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে বলছিনা। 

________________

কিতাবঃ কোরআন  হাদিসের আলোকে শাফায়াত

মূলঃ- চতুর্দশ শতাব্দীর মোজাদ্দিদ ইমামে আহলে সুন্নাত আলা হযরত শাহ মাওলানা আহমদ রেযা খান ফাযেলী বেরলভী (রহঃ)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন