সাহাবায়ে কেরামদের (رضي الله عنه) ৫টি বানী
______
👉(১) হযরত সায়্যিদুনা আবু বকর সিদ্দিক (رضي الله عنه)
বলেন: “নবী করীম, রউফুর রহীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর উপর
দরূদ শরীফ পাঠ করা গুনাহ সমূহকে এত দ্রুত মিটিয়ে দেয় যে,
পানিও আগুণকে তত দ্রুত নিভাতে পারে না, আর রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর উপর সালাম প্রেরণ করা গর্দান সমূহ
(অর্থাৎ- গোলামদেরকে) আযাদ করার চেয়েও উত্তম।”
______
তথ্যসূত্র
▪তারিখে বাগদাদ, ৭ম খন্ড, ১৭২ পৃষ্ঠা
______
👉(২) হযরত সায়্যিদুনা আয়েশা সিদ্দিকা -(رضي الله عنه)
বলেন: “তোমরা তোমাদের মজলিশ সমূকে আল্লাহ্র নবী, রাসুলে
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ করে সজ্জিত
করো।”
______
তথ্যসূত্র
▪তারিখে বাগদাদ, ৭ম খন্ড, ২১৬ পৃষ্ঠা
______
👉(৩) হযরত সায়্যিদুনা ফারুকে আজম (رضي الله عنه)
বলেন:
“নিশ্চয় দোয়া জমীন ও আসমানের মধ্যখানে ঝুলন্ত থাকে এবং তা
থেকে কোন বস্তু উপরের দিকে যায় না, যতক্ষণ তোমরা নিজেদের
নবীয়ে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর উপর দরূদ পাক পড়ে না
নাও।”
______
তথ্যসূত্র
▪তিরমিযী, ২য় খন্ড, ২৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৮৬
______
👉(৪) হযরত সায়্যিদুনা মাওলা আলী মুশকিল কোশা (رضي الله عنه)
বলেন: “হুযুর হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এবং আওলাদে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর উপর দরূদ পাক
পাঠ করার আগ পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া পর্দার (আড়ালে)
থাকে।”
______
তথ্যসূত্র
▪মুজাম আওসাত, ১ম খন্ড, ২১১ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৭১
______
👉(৫) হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে আমর বিন আ’স (رضي الله عنه)
বলেন: “যে (ব্যক্তি) নবী পাক, সাহিবে লাওলাক,
হুযুর পুরনূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর উপর এক বার দরূদে পাক
পাঠ করবে, তার উপর আল্লাহ্ তাআলা এবং তার ফিরিশতারা ৭০
বার রহমত প্রেরণ করবেন।”
______
তথ্যসূত্র
▪মুসনাদে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ২য় খন্ড, ৬১৪ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৬৭৬৬
কা’বে কে বদরুদ দোজা তুম পে করোড়ো দরূদ,
তৈইবা কে শামসু দ্দোহা তুম পে করোড়ো দরূদ।
(হাদায়িকে বখশিশ শরীফ, ২৬৪ পৃষ্ঠা)।
_______________
কিতাব : যিয়ায়ে দরূদ ও সালাম
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন