ছহিহ হাদিসের আলোকে কবর যিয়ারত
রাসূলে করিম (ﷺ) এ হাদিস সমূহ অনুসন্ধান করে দেখা যায় মু'মিনের জীবনে কবর যিয়ারত একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম প্রতিনিয়ত কবর যিয়ারত করতেন। যেমন এ বিষয়ে সহিহ হাদিসে আছে-
حدثنا أبو بكر بن أبي شيبة ، ومحمد بن عبد الله بن نمير ، ومحمد بن المتى ، والقط لأبي بكر وانن تير قالواঃ حدا محمد بن فضيل ، عن أبي سان وهو صر از تن مژه ، عن محارب بن دثار ، حنا أبو بكر بن أبي شيبة ، ومحمد بن عبد الله بن نمير ، ومحمد بن الی واللفظ لأبي بكر وابن مير قالواঃ حدنا محمد بن فصل ، عن أبي سنان وهو صراز بن مرة ، عن محارب بي دار ، عن ابن بريدة ، عن أبيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم نهيتكم عن زيارة القبور فیروزوها ، قاين زيارتها تگر
-”হজরত ইবনে বুরাইদ (رضي الله عنه) তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইতিপূর্বে আমি তােমাদেরকে কবর যিয়ারত নিষেধ করেছিলাম, এখন থেকে কবর যিয়ারত কর। কেননা যিয়ারতের মাধ্যমে (পরকালের কথা) স্বরণ হয়।”
(মুসনালে ইবনে জা'দ, হাদিস নং ১৯৮৯ ; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ২৯৯৫৮;সহিহ মুসলীম, হাদিস নং ২৩০৫ ; সুনানে আবী দাউদ, হাদিস নং ৩২৩৫ ; মুসনাদে বাজ্জার, হাদিস নং ৪৪৩৫ ; ইমাম নাসাঈঃ সুনানে কুবরা, হাদিস নং ২১৭১ ; সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং ২০৩২ ; আল মুনতাকা, হাদিস নং ৮৬৩ ; সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং ৫৩৯১ ; ইমাম তাবারানীঃ মুজামুল আওছাত, হাদিস নং ২৯৬৬ ; ইমাম তাবারানীঃ মুজামুল কবীর, হাদিস নং ১১৫২ ; ইমাম তাবারানীঃ মুসনাদে শামেঈন, হাদিস নং ২৪৪২ ; ইমাম আবু নুয়াইমঃ হিলিয়াতুল আউলিয়া, ৭ ম খন্ড, ৩৬৭ পৃঃ ইমাম বায়হাক্বীঃ শুয়াইবুল ঈমান, হাদিস নং ৮৮৪৮ ; ইমাম বাগভীঃ শরহে সুন্নাহ, হাদিস নং ১৫৫৩ ; মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং ৬৭০৮ ; ইমাম বায়হাক্বী ; মারেফাতু সুনানি ওয়াল আছার, হাদিস নং ১৭৪ ১৪ ; ইমাম বায়হাকীঃ সুনানে কুবরা, হাদিস নং ১৭৪৮৬)
এ সম্পর্কে আরেক রেওয়াতে আছে,
عمر ، نا ابن أبي شيبة ، نا يزيد بن هارون ، عن حماد بن زید ، تا فرق السخي ، نا جابر بن زيد ، تا مسروق ، عن عبد الله قالঃ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إلي نت نهيتكم عن زيارة القبور ، فإنه قد أذن لمحمد في زيارة قبر أمه ، فوروها فإنها گرم ،
-”হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইতিপূর্বে আমি তােমাদেরকে কবর যিয়ারত নিষেধ করেছিলাম। নিশ্চয় মুহাম্মদ (ﷺ) মায়ের যিয়ারতের মাধ্যমে অন্তরে কষ্ট অনুভব হয়েছে। তােমরা কবর যিয়ারত কর, কেননা তাতে তােমাদেরও স্বরণ হবে।”(মুসনাদে ইবনে আবী শায়বাহ, হাদিস নং ৩১২ ; মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ৪৩১৯ ; মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদিস নং ৫২৯৯) সনদ ছহীহ
এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়াত লক্ষ্য করুন,
حدثنا محمد بن بشار ، ومحمود بن غيلان ، والحسن بن علي الحلال ، قالواঃ حدثنا أبو عاصم 1 السبيل قالঃ حدثنا سفيان ، عن علقمة بن مرد ، حدنا محمد بن بشار ، ومحمود بن غيلان والحسن بن علي الحلال ، قالواঃ نا أبو عاصم البيل قالঃ نا سفيان ، عن علقمة بن مرد ، عن سليمان بن بريدة ، عن أبيه قالঃ قال رسول الله صلى الله عليه وسمঃ قد كنت نهيتكم عن زيارة القبور ، فقد أبي إممممممي في زيارة قبر أمه ، ژوژولها فاتنها گر الآخرة ، وفي الباب عن أبي سعيد ، وابن مسعود ، وأقيس ، وأبي هريرة ، وأم سلمة . حديث بريدة حديث حسن صحيح
-”সুলাইমান ইবনে বুরাইদা (رحمة الله) তাঁর পিতা সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইতিপূর্বে আমি তােমাদেরকে কবর যিয়ারত নিষেধ করেছিলাম। নিশ্চয় মুহাম্মদ [ﷺ] এর অন্তরে তাঁর মায়ের যিয়ারতে কষ্ট অনুভব হয়েছে। সুতরাং তােমরাও কবর যিয়ারত কর, কেননা তাতে তোমাদেরও (মৃত্যুর কথা) স্বরণ হবে।
এ বিষয়ে হযরত আবু সাঈদ (رضي الله عنه), হযরত ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه), হযরত আনাস (رضي الله عنه), হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه), হযরত উম্মে সালামা (رضي الله عنه) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। হজরত বুরাইদা (رضي الله عنه) এর রেওয়াতটি হাছান সহিহ।”(সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ১০৫৪)।
এ বিষয়ে আরেক হাদিসে আছে,
حدنا يزيد بن هارون ، عن حماد بن سلمة ، عن علي بن زيد ، عن ربيعة بين النافعة ، عن أبيه ، عن علي ، أ ول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن زيارة القبور ، وعن الأوعية وأن تختی لحوم الأضاحي بعد ثلا ، ثم قالঃ إلي گن تهتم عن زيارة القبور ژوژولها فإنها گرځم الآخرة
-”হজরত আলী (রা .) বর্ণনা করেন, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল [ﷺ] কবর যিয়ারত নিষেধ করে ছিলেন।..... অতঃপর বললেনঃ ইতিপূর্বে আমি তােমাদেরকে কবর যিয়ারত নিষেধ করেছিলাম, এখন থেকে কবর যিয়ারত কর। কেননা এতে আখেরাতের কথা স্বরণ হয়।”
(মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ১২৩৬, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদিস নং ২৭৮ ; মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, হাদিস নং ১১৮০৬) সনদ সহিহ।
এ বিষয়ে আরেক রেওয়াতে আছে,
حدثنا يحيى بن آدم ، مما ان مبارك ، عن أسامة ، عن محمد بن يحيى بن حال ، عن عمه ، م عن أبي يزيد الخدري ، قالঃ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى نهيتكم عن زيارة القبور فوژولها ، هذا حديث صحيح على شرط مسلم ،
-”হজরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে করিম [ﷺ] বলেছেনঃ ইতিপূর্বে আমি তােমাদেরকে কবর যিয়ারত নিষেধ করেছিলাম, এখন থেকে কবর যিয়ারত কর। ইমাম মুসলীম (رحمة الله) এর শর্তে হাদিসটি সহীহ।”
(মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ১১৩২৯ ; ইমাম তাহাবীঃ শরহে মুশকিলুল আছার, হাদিস নং ৪৭৪৪ ; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ১৩৮৬ ; ইমাম বায়হাক্কীঃ সুনানে ছগীর, ১১৫৩ ; ইমাম বায়হাকীঃ মারেফাতু সুনানি ওয়াল আছার, হাদিস নং ৭৭৯৮ ; ইমাম বায়হাক্বীঃ সুনানুল কুবরা, হাদিস ৭১৯৬)
এ সম্পর্কে আরেকটি হাদিস আছে,
حدثنا يونس بن عبد الأعلى قالঃ حدثنا ابن وهب قالঃ أنبأنا ابن جريج ، عن أيوب بن هانئ ، عن مسروق بين الأخدع ، عن ابن مسعود ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قالঃ كنت نهيتكم عن زيارة القبور وژولها ؛ فإنها تترد في الدنيا ، و الآخرة
-”হজরত ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেনঃ ইতিপূর্বে আমি তােমাদেরকে কবর যিয়ারত নিষেধ করেছিলাম, এখন থেকে কবর যিয়ারত কর। কেননা ইহা দুনিয়ার প্রতি বিমুখ করে ও আখেরাতের কথা স্বরণ করে।”
(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৫৭১ ; মুসনাদে শাশী, হাদিস নং ৩৯৭ ; সুনানে দারে কুতনী, হাদিস নং ৪৬৭৯ ; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ১৩৮৭ ; ইমাম বায়হাক্বী ; সুনানুল কুবরা, হাদিস নং ৭১৯৭ ; মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, হাদিস নং ১১৮০৯)
এ সম্পর্কে আরেকটি হাদিস উল্লেখ করা যায়,
حدثنا أحمد بن عبد الله بن على بن سوید ، قالঃ حنا روح بن عبادة ، قالঃ حدنا بسطام الله عنها أن رضي عائشة عن بن مسلم ، قالঃ حدثنا أبو التياح, عن ابن أبي مليكة التي صلى الله عليه وسلم قالঃ قد نهيتكم ، عن زيارة القبور فزوروها
-”হজরত আয়েশা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ ইতিপূর্বে আমি তােমাদেরকে কবর যিয়ারত নিষেধ করেছিলাম, এখন থেকে কবর যিয়ারত কর।”(মুসনাদে বাজ্জারর, হাদিস ২৩০)।
এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়াত রয়েছে,
حدنا إبراهيم قالঃ نا أبي قالঃ نا أبو يحيى الحماني ، عن الضر أي عمر ، عن عكرمة ، عن ابن عباس ، أن النبي صلى الله علیه وسه قال ، تهيتكم عن زيارة القبور ژوژوها
-”হজরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। বলেছেন ; ইতিপূর্বে আমি তােমাদেরকে কবর যিয়ারত নিষেধ করেছিলাম, এখন থেকে কবর যিয়ারত কর।”
(ইমাম তাবারানীঃ মুজামুল আওছাত, হাদিস নং ২৭০৯ ; ইমাম তাবারানীঃ মুজামুল কবীর, হাদিস নং ১১৬৫৩)।
এ সম্পর্কে আরেকটি হাদিস লক্ষ্য করুন,
حدا أحمد بن محمد بن يحيى بن حمرة ، ثنا إسحاق بن إبراهيم أبو النضر ، ثنا يزيد بن ربيعة ، أنا أبو الأشعث ، عن بيان ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم ، قالঃ إلى كنت نهيتكم عن زيارة القبور ، و وها ، واجعوا زيارتكم لها صلاة عليهم واستغفارا لهم ،
-”হজরত ছাওবান (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, নিশ্চয় আল্লাহর নবী (ﷺ) বলেছেনঃ ইতিপূর্বে আমি তােমাদেরকে কবর যিয়ারত নিষেধ করেছিলাম, এখন থেকে কবর যিয়ারত কর। তােমাদের যিয়ারতকে মৃতদের জন্য দোয়া ও মাগফেরাতের কাজে পরিণত কর।”(ইমাম তাবারানীঃ মু'জামুল কাবীর, ২/৯৪ পৃ . হাদিস নং ১৪১৯)
এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়াত লক্ষ্য করুন,
حدثنا ابن السميد ع ، ثنا يعقوب بن كعب ، ثنا يحيى بن المتوكل ، عن ابن ريح ، عن النبي أبي مليكة ، عن أم سلمة ، قالঃ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم نهيتكم عن زيارة القبور فژووها
-”হজরত উম্মে ছালামা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, আল্লাহর হাবীব (ﷺ) বলেছেনঃ ইতিপূর্বে আমি তােমাদেরকে কবর যিয়ারত নিষেধ করে ছিলাম, এখন থেকে কবর যিয়ারত কর।”(ইমাম তাবারানীঃ মু'জামুল কবীর, ২৩/২৭৮ পৃ . হাদিস নং ৬০২)।
এ সম্পর্কে আরেক হাদিসে আছে,
حدثنا أبو بكر محمد بن عبد الله بن عمر البراز بغداد ، ثنا محمد بن شاذان الجوهري ، ثنا زکریا بن عدي ، شنا سام بن سليم ، عن يحيى بن الحابر ، عن عمرو بن عامر ، عن أنس بن مالك ، قالঃ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تهيتكم عن زيارة القبور قوروها ، فإنها تكرم المؤث
-”হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, রাসূলে করিম (ﷺ) বলেছেনঃ ইতিপূর্বে আমি তােমাদেরকে কবর যিয়ারত নিষেধ করেছিলাম, এখন থেকে কবর যিয়ারত কর। নিশ্চয় ইহাতে মৃত্যুর কথা স্বরণ হয়।”
(মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ১৩৮০ ; ইমাম বায়হাকীঃ আল আদাব, হাদিস নং ২৮০ ; ইমাম বায়হাকীঃ সুনানুল কুবরা, হাদিস নং ৭১৯৮)।
উপরে উল্লেখিত ১০ জন সাহাবী থেকে বর্ণিত হাদিস থেকে জানা যায়, স্বয়ং আল্লাহর রাসূল (ﷺ) কবর যিয়ারত করার অনুমতি দিয়েছেন। প্রিয় নবীজি (ﷺ) বলেছেনঃ
فزوروها
-”তােমরা কবর যিয়ারত কর ”। প্রিয় নবীজি (ﷺ) এর এরূপ কথা দ্বারা স্পষ্টভাবে কবর যিয়ারত করা সুন্নাত প্রমাণিত হয়ে যায়। এবার আরাে কিছু রেওয়াত উল্লেখ করব, যে রেওয়াত গুলােতে দ্বীনের নবী (ﷺ) নিজে কবর যিয়ারত করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে আরেক হাদিসে আছে,
حدثنا إسحاق بن عيسى ، أخبرنا مالك ، عن العلاء ، عن أبيه ، عن أبي هريرة ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم خرج إلى المقابر ، فقالঃ السلام عليكم دار قوم مؤمنين ، وإنا إن شاء الله بكم لاحقون
-”হজরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় আল্লাহর নবী (ﷺ) কবরস্থানের উদ্দেশ্যে বের হলেন, এবং বললেনঃ হে মু'মীন সম্প্রদায়! আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হউক। অতি শীঘ্রই আমরাও আপনাদের সাথে মিলিত হব।”(মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ৮৮৭৮)
এ বিষয়ে নিচের হাদিসটি লক্ষ্য করুন,
حدثنا معاوية بن هشام ، وأبو أحمد قالঃ نا سفيان ، عن علقمة بين مرد ، عن سليمان بريدة ، عن أبيه قالঃ كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يعلمحم إذا خرجوا إلى المقابر فكان قايله يقولঃ السلام عليكم أهل الديار من المؤمنين والمسلمين ، إنا إن شاء الله بكم لاحقون
-”হজরত সুলাইমান ইবনে বুরাইদা (رضي الله عنه) তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিক্ষা দিয়েছেন, যখন তােমরা কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে বের হবে, তখন যিয়ারতকারী যেন বলেঃ হে মু'মীন ও মুসলীম সম্প্রদায়! আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হউক। অতিশীগ্রই আমরাও আপনাদের সাথে মিলিত হব।”
(মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ২২৯৮৫ ; সহিহ মুসলীম, হাদিস নং ১০৪ ; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৫৪৭ ; সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং ৩১৭৩ ; ইমাম তাবারানীঃ আদ দোয়া, হাদিস নং ১২৩৭ ; ইমাম বায়হাকীঃ দাওয়াতুল কবীর, হাদিস নং ৬৪১ ; ইমাম বাগভীঃ শরহে সুন্নাহ, হাদিস নং ১৫৫৫ ; ইমাম বায়হাকী ; সুনানে ছগীর, হাদিস নং ১১৬৩ ; ইমাম বায়হাকীঃ সুনানুল কুরা, হাদিস নং ৭২১৩ ; মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, হাদিস নং ১১৭৮৭)।
অতএব, কবর যিয়ারত করা ও যিয়ারতের উদ্দেশ্যে বের হওয়া উভয় স্বয়ং রাসূলে করিম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ও সাহাবায়ে কেরামের আমলকৃত ও নির্দেশিত সুন্নাত। আর ইহা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এর বিরােধিতা করা কুফরী।
_______________
সহিহ হাদিসের আলােকে মাজার যিয়ারত পূজা নয় ও কদমবুছির সমাধান
গ্রন্থনায়ঃ মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আলাউদ্দিন জিহাদী
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন