কারামতগুলো সত্যতা প্রমাণ করার একটি মাধ্যম ছিল
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা দেখলেন তো! ইমামে আলী মকাম ইমাম হোসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ একজন কত উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ছিলেন। জানা গেলো, তাঁর সাথে বেয়াদবী করা আল্লাহ্ তাআলা একেবারে পছন্দ করেন না, তাঁর সমালোচনাকারী ও বিরুদ্ধাচারীরা উভয় জাহানে ঘৃণিত ও লাঞ্চিত। হোসাইন বিদ্বেষীদের দুনিয়াতেও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সম্মুখীন হয়। তাই এতে আমাদের জন্য অনেক শিক্ষা রয়েছে। সদরুল আফাযিল হযরত আল্লামা মাওলানা সায়্যিদ মুহাম্মদ নঈম উদ্দীন মুরাদাবাদী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ ইমাম হোসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ এর বিরুদ্ধাচারী কতিপয় দুর্বৃত্তের তৎক্ষণাৎ শোচনীয় পরিণতির করুণ কাহিনী বর্ণনা করার পর লিখেছেন: আওলাদে রাসূল জগত বাসীকে এ কথাও দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি আল্লাহর একজন মকবুল বান্দা এবং আল্লাহ্ তাআলার নৈকট্য ও সান্নিধ্য লাভের ব্যাপারে যেভাবে কুরআন হাদীসের অসংখ্য দলীল প্রমাণ রয়েছে, তাঁর অসংখ্য কারামত ও অলৌকিক ঘটনাবলীও আরেকটি সাক্ষ্য বহন করে। তাই তিনি তাঁর এ কৃতিত্ব ও মহত্ত্বের বাস্তব প্রমাণ দেখিয়ে বিরুদ্ধাচারীদের সমালোচনার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছিলেন। তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় তাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন: “হে সমালোচনাকারীরা! তোমাদের যদি চোখ থাকে, তাহলে ভালভাবে দেখে নাও, যার দোয়া আল্লাহ্ তাআলার দরবারে মুহূর্তের মধ্যে কবুল হয়ে যায়, তাঁর বিরুদ্ধে লড়তে আসা অসীম ক্ষমতাধর আল্লাহর সাথে লড়তে আসার মত। তাই এর করুণ পরিণতি সম্পর্কে চিন্তা করে এবং যুদ্ধ বিগ্রহ থেকে বিরত থাকো। কিন্তু সে নরপিশাচরা তা থেকে উপদেশ গ্রহণ করল না। এ অস্থায়ী দুনিয়ার লোভ লালসার ভূত তাদের ঘাড়ে সাওয়ার হয়ে তাদেরকে অন্ধই বানিয়ে দিয়েছিল। (সাওয়ানেহে কারবালা, ৯০ পৃষ্ঠা)।
________________
ইমাম হোসাইন رضي الله عنه এর কারামত
🖋আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলয়াস আত্তার কাদেরী রযভী
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন