বর্শা বিদ্ধ মস্তক মোবারকের কুরআন তিলাওয়াত

 

বর্শা বিদ্ধ মস্তক মোবারকের কুরআন তিলাওয়াত


হযরত সায়্যিদুনা যায়েদ বিন আরকাম رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ বর্ণনা করেন: যখন ইয়াজিদীরা হযরত ইমামে আলী মকাম সায়্যিদুনা ইমাম হোসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ এর শির মোবারক বর্শার অগ্রভাগে বিদ্ধ করে কুফার অলিগলিতে ঘুরে ঘুরে আনন্দ করছিল তখন আমি আমার ঘরের বালাখানাতে ছিলাম। যখন মস্তক মোবারক আমার সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন আমি শুনতে পেয়েছিলাম, মস্তক মোবারক সূরা আল্ কাহাফের ৯ নং আয়াতটি তিলাওয়াত করছেন:

أَمْ حَسِبْتَ أَنَّ أَصْحَابَ الْكَهْفِ وَالرَّقِيمِ كَانُوا مِنْ آيَاتِنَا عَجَبًا

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ:“আপনি কি অবগত হয়েছেন যে, পাহাড়ের গুহা এবং অরণ্যের পাশে অবস্থানকারীরা আমার এক বিস্ময়কর নিদর্শন ছিলো।” (সূরা- কাহাফ, পারা- ১৫, আয়াত- ৯) (শাওয়াহেদুন নবুওয়াত, ২৩১ পৃষ্ঠা)



অপর এক বুযুর্গ বর্ণনা করেন: যখন ইয়াজিদীরা মস্তক মোবারক বর্শা থেকে নামিয়ে হতভাগা ইবনে যিয়াদের শাহী মহলে ঢুকল, তখন তাঁর পবিত্র ওষ্ঠদ্বয় নড়তে দেখা গেল এবং তাঁর পবিত্র জবান মোবারক দ্বারা সূরায়ে ইব্রাহীমের ৪২ নং আয়াতটি তিলাওয়াত করতে শুনা গেল:



وَلَا تَحْسَبَنَّ اللَّهَ غَافِلًا عَمَّا يَعْمَلُ الظَّالِمُونَ



কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ:“এবং নিশ্চয় আল্লাহকে অনবহিত মনে করো না, যালিমদের কার্যকলাপ সম্পর্কে।” (সূরা ইব্রাহিম,পারা-১৩, আয়াত-৪২) (রাওজাতুশ শোহদা মুতারজাম, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৮৫)



ইবাদত হো তো এইছি হো, তিলাওয়াত হো তো এইছি হো


ছরে সাব্বির তো নে-জে পে বি কুরআঁ ছুনাথা হে।


صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد



মিনহাল বিন আমর رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ বর্ণনা করেন: খোদার কসম! আমি স্বচক্ষে দেখেছি, যখন লোকেরা ইমাম হোসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ এর শির মোবারক বর্শার অগ্রভাগে বিদ্ধ করে নিয়ে যাচ্ছিল তখন আমি দামেস্কে ছিলাম। শির মোবারকের সামনে এক ব্যক্তি সুরাতুল কাহাফ তিলাওয়াত করছিল। যখন সে সূরা কাহাফের ১৫ পারার ৯নং আয়াতে পৌঁছল;



أَنَّ أَصْحَابَ الْكَهْفِ وَالرَّقِيمِ كَانُوا مِنْ آيَاتِنَا عَجَبًا


কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: পাহাড়ের গুহা এবং অরণ্যের পাশে অবস্থানকারীরা আমার এক বিস্ময়কর নিদর্শন ছিলো। (সূরা- কাহাফ, পারা- ১৫, আয়াত- ৯)


তখন আল্লাহ্ তাআলা সে মস্তক মোবারককে কথা বলার শক্তি প্রদান করলেন। মস্তক মোবারক বলতে লাগল:



اَعْجَبُ مِنْ اَصْحَابِ الكَهْفِ قَتْلِى وَحَمْلِى


অর্থাৎ- “আসহাবে কাহাফের হত্যার ঘটনার চেয়েও আমার হত্যা ও আমার মস্তক নিয়ে ঘোরাফেরা করা আরো অধিক বিস্ময়কর।” (শরহুস সুদূর, ২১২ পৃষ্ঠা)



ছর শহীদানে মহব্বত কি হে, নাইজোঁ পর বুলন্দ


আউর উছে কি খোদা নে ইজ্জ শানে আহলে বাইত



প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! সদরুল আফাযিল মাওলানা সায়্যিদ মুহাম্মদ নঈম উদ্দীন মুরাদাবাদী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ তাঁর রচিত “সাওয়ানেহে কারবালা” গ্রন্থে এ ঘটনা উল্লেখ করে বলেন: “মূল কথা হল, আসহাবে কাহাফদের উপর কাফিররা অত্যাচার করেছিল। আর হযরত ইমামে আলী মকাম ইমাম হোসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ কে তাঁর নানাজানের উম্মতেরা মেহমান হিসাবে কুফাতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। অতঃপর তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করে পানি পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল এবং ইমাম হোসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ এর সামনেই তাঁর পরিবার পরিজন ও সঙ্গীদের নৃশংসভাবে শহীদ করে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সে নর পিশাচরা স্বয়ং হযরত ইমামে আলী মকাম ইমাম হোসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ কে শহীদ করে দেয়। আহলে বাইত্দের বন্দী করে নিয়ে এসেছিল, শির মোবারককে বর্শার অগ্রভাগে বিদ্ধ করে শহরে শহরে পরিভ্রমণ করেছিল। আসহাবে কাহাফরা শত শত বছর নিদ্রা মগ্ন থাকার পর কথা বলেছিল, এটা অবশ্যই আশ্চর্যজনক। কিন্তু শির মোবারক দেহ মোবারক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরপরই কথা বলা আরো অধিক বিস্ময়কর ছিল। (সাওয়ানেহে কারবালা, ১১৮ পৃষ্ঠা)।


صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد

________________

ইমাম হোসাইন رضي الله عنه এর কারামত

🖋আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলয়াস আত্তার কাদেরী রযভী

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন