ক্ষুব্ধ বাঘের মত উদ্যত তরবারি ও প্রাণহরা বল্লম হাতে
ক্ষুব্ধ বাঘের মত উদ্যত তরবারি ও প্রাণহরা বল্লম হাতে রণক্ষেত্রে দ্রুত গতিতে এসে পৌঁছান । তখন ময়দানে শত্রুপক্ষ হতে একজন নামকরা বাহাদুর হাকম বিন তোফাইল, যে সৌর্যবীর্য প্রদর্শনে দাম্ভিক ভাবে রণক্ষেত্রে টহল দিচ্ছিল, হযরত সায়্যিদুনা ওয়াহাব رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ প্রথম আক্রমণেই তাকে বল্লমবিদ্ধ করে এমনভাবে মাটিতে আছাড় দিলেন যে, তার সব হাড়গোড় ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল। এতে উভয় পক্ষে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেল। শত্রুপক্ষে সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার মত আর কেউ রইল না। সায়্যিদুনা ওয়াহাব رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ ঘোড়া দৌঁড়িয়ে দুশমনদের ভেতর ঢুকে পড়েন। যেই মুকাবালা করার জন্য সামনে আসতো, তাকে বল্লমের আগায় বিদ্ধ করে মাটিতে লুটিয়ে দিতেন। এক পর্যায়ে বল্লম টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এরপর খাপ থেকে তরবারি বের করে শত্রুদের গর্দন উড়িয়ে দিতে থাকেন। শত্রুরা যখন যুদ্ধে একের পর এক সৈন্য হারাতে লাগল, তখন আমর বিন সা’আদ সৈন্যদের নির্দেশ দিল, ঐ যুবক যোদ্ধাকে চারপাশ থেকে ঘিরে আক্রমণ করার ও একই সাথে আঘাত করার। সুতরাং তারা তাই করল। হোসাইনী দুল্হা যখন চতুর্দিক হতে আক্রমণের শিকার হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন কপট-হৃদয়ের জালিমরা তাঁর মস্তক মোবারক কর্তন করে হুসাইনী সৈন্যদের দিকে নিক্ষেপ করল। মা আপন কলিজার টুকরার পবিত্র মস্তকটিকে চুমুয় চুমুয় ভরে দিল আর বলতে লাগলেন: হে আমার পুত্র! হে আমার বাহাদুর বৎস! এবার তোমার মা তোমার উপর সন্তুষ্ট। তারপর পবিত্র মস্তকটি তিনি পুত্রবধুর কোলে সমর্পন করলেন। নববধু একটি ঝাঁকুনি দিয়ে উঠেন। এমন সময় পতঙ্গের ন্যায় এই সুন্দর ফানুসের উপর পড়ে হোসাইনী দুল্হার সাথে তাঁর প্রাণ একাত্ম হয়ে যায় ।
সুরখুরোঈ উসে কেহ্তে হেঁ কেহ্ রাহে হক মেঁ
সর কে দেনে মেঁ যরা তো নে তাআম্মুল না কিয়া।
(অর্থাৎ, আল্লাহ্ তা’আলা আপনাদেরকে জান্নাতুল ফিরদৌসে স্থান দান করুন। আর রহমত ও সন্তুষ্টির সমুদ্রে অবগাহন করুন)। (সাওয়ানিহে কারবালা হতে সংকলিত, ১৪১ হতে ১৪৬, মাকতাবাতুল মাদীনা বাবুল মাদীনা করাচী)।
____________
হোসাইনী দুলহা
🖋আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলয়াস আত্তার কাদেরী রযভী
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন