❏ প্রশ্ন-১৯৪: বর্তমানে প্রচলিত ফাঁসির শাস্তি শরীয়তের দৃষ্টিতে কিসাসের হুকুমের অন্তভুর্ক্ত হবে কি-না?
✍ উত্তর: শরীয়তে কিসাসের শাস্তি প্রদানের জন্য যে শর্তসমূহ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা নিম্নরূপ। কিসাসের মধ্যে মৌলিক শর্ত তিনটিঃ
১. হত্যাকারী থেকে কিসাস লওয়া। বাস্তবিকপক্ষে হত্যাকৃত ব্যক্তির ওয়ারিশদের ওপর নির্ভর, তারা ইচ্ছে করলে কিসাস নিতে পারে, না হয় দিয়্যত বা রক্তপণ গ্রহণ করতে পারে। আর ইচ্ছে করলে ক্ষমাও করে দিতে পারে।
২. কিসাস লওয়ার সময় হত্যাকৃত ব্যক্তির ওয়ারিশরা উপস্থিত থাকা আবশ্যক।
৩. হানাফিদের মতে একটি শর্ত এটাও যে, কিসাস তরবারি দ্বারা নিতে হবে। বর্তমানে ফাঁসির প্রচলিত নিয়মে উক্ত তিনটি শর্ত পাওয়া যায় না বিধায় শর্ত অনুপস্থিতির কারণে ওটাকে শরয়ী কিসাস না বলে তা‘যির বা শাস্তি বলা যেতে পারে। অবশ্য কিসাস বলা শুদ্ধ হবে না।
قال العلامة علاء الدين الكاسانى استبقاء القصاص تثبتُ باسباب .
আল্লামা আলাউদ্দিন কাসানী (رحمه الله تعالي ) বলেন, قصاص বা বদলা নেয়ার কার্যকারিতা বিভিন্ন প্রদ্ধতিতে হতে পারে।
238. বদায়েউস্ সানায়ে, জেনায়াত অধ্যায়, খন্ড-৭, পৃষ্ঠা- ২৪৩।
হ্যাঁ! অবশ্য হত্যাকারীকে শাস্তি দেয়ার জন্য ফাঁসি কার্যকরী একটি উত্তম কাজ। যদিও কিসাস না হয়। তবুও এটি বাস্তবায়ন করা জায়েয ও বৈধ।
________________
কিতাবঃ ফতোয়ায়ে আজিজি (২য় খন্ড)
রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন