❏ প্রশ্ন-১৯১: সূরা আলে-ইমরানে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ مَثَلَ عِيسَى عِنْدَ اللهِ كَمَثَلِ آدَمَ উক্ত আয়াতে হযরত ঈসা (عليه السلام)কে হযরত আদম (عليه السلام)-এর অনুরূপ ও সাদৃশ হিসেবে তুলনা করা হয়েছে। অথচ হযরত আদম (عليه السلام) ছিলেন মাতা-পিতাবিহীন এবং হযরত ঈসা (عليه السلام) হলেন পিতাবিহীন। অতএব এ সাদৃশ্যতা কিভাবে শুদ্ধ হবে? বর্ণনা কর।
✍ উত্তর: হযরত ঈসা (عليه السلام) সাধারণ প্রচলিত নিয়ম ও পদ্ধতি বর্হিভূত পিতা ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এটা ছিল এক আশ্চর্য বিষয়। কিন্তু এর চেয়ে আরো বেশী আশ্চর্যের বিষয় ছিল হযরত আদম (عليه السلام) মা-বাবা উভয় ছাড়াই আল্লাহ তা‘আলার কুদরতী শক্তিতে সৃষ্টি হয়েছিলেন। সুতরাং এখানে এক বিস্ময়কর বিষয়কে তার চেয়েও আরো অধিক বিস্ময়কর বিষয়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। দৃষ্টান্ত ও উপমায় উপমান ও উপমেয় সকল দিক দিয়ে একরকম ও সমান হওয়া শর্ত নয়। বরং উপমানে কিছু গুণ উপমেয়-এর মধ্যে পাওয়া যাওয়াই উপমা ও দৃষ্টান্তের জন্য যথেষ্ট। যেমন- কোন মানুষের বীরত্ব ও সাহসিকতার দৃষ্টান্ত বাঘের সাথে করা হয়। অথচ উভয়ের মধ্যে প্রত্যেক দিক দিয়ে সমতা নেই।
235. তাফসীরে খাযেন,200. সূরা বাকারা, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-৩০১।
________________
কিতাবঃ ফতোয়ায়ে আজিজি (২য় খন্ড)
রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন