❏ প্রশ্ন-১৭৯: যখন কোন জাতির ওপর আযাব চলে আসে তখন আযাব চলে আসার পর ঈমান আনা ফলদায়ক নয়। তবে হযরত ইউনুস (عليه السلام) এর জাতির ওপর মেঘরাজি আসার পরেও যখন তারা ঈমান আনলো তখন তাদের ওপর আযাব উঠিয়ে নেওয়া হলো, এর পেছনে রহস্য কী?
✍ উত্তর: তাবারানী শরীফের একটি বর্ণনায় রয়েছে যে, তিনওয়া শহরে যখন আযাবের আলামতসমূহ দৃশ্যমান হতে লাগলো এবং হযরত ইউনুস (عليه السلام)কে খেঁাজার পরও পাওয়া যাচ্ছিলোনা তখন শহরবাসী ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে নিজেদের জনৈক আলেমের নিকট গেলো যিনি ছিলেন ঈমানদার ও সমকালীন শায়খ এবং তাঁর নিকট তারা আর্তি জানালো। তখন তিনি আদেশ দিলেন, তোমরা এই দু‘আটি পড়ে প্রার্থনা করো,
يا حىّ حين لا حىّ يا حىّ يحى الموتى يا حىّ لا الٰه الّا انت
সুতরাং লোকেরা এই দু‘আটি পড়ে প্রার্থনা করলো এবং আযাব দূর হয়ে গেলো। তবে প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও কারামতের অধিকারী ওলী হযরত ফুযাইল বিন আয়ায (رحمه الله تعالي ) বলেন, যে দু‘আটির বরকতে তিনওয়া শহরের আযাব দূর হয়ে গিয়েছিলো সে দু‘আটি ছিলো এটি যে,
اَللهم ان ذنوبنا قد عظُمتْ وجلَّت وانت اعظُم واجلُّ فا فعل بنا ما انت اهلهُ ولا تفعل بنا ما نحنُ اهلهُ .
মোদ্দাকথা আযাব দূর হয়ে যাবার পর হযরত ইউনুস (عليه السلام) যখন শহরের সন্নিকটে আসলেন তখন তিনি শহরে আযাবের কোন চিহ্ন বা নিদর্শন দেখেননি। লোকেরা বললো, আপনি স্বজাতির নিকট চলে যান। তিনি বললেন, আমি কিভাবে স্বজাতির নিকট যাবো? আমি তো তাদেরকে আযাবের সংবাদ দিয়ে শহর হতে বের হয়ে পড়েছি, তবে আযাব আসেনি। তাই এখন এসব লোকেরা আমাকে মিথ্যুক মনে করে হত্যা করে ফেলবে। তিনি নিকষ কালো অন্ধকার মাছের পেটে বন্দী হলেন। তবে ওই পরিস্থিতিতে তিনি এই আয়াতে কারিমার لَا إله الّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّى كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ . ওজিফা শুরু করে দিলেন। তাই এর বরকতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে এই অন্ধকার হতে মুক্তি দিলেন।
________________
কিতাবঃ ফতোয়ায়ে আজিজি (২য় খন্ড)
রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন