ছাগলের গোশত কথা বলা

 

ছাগলের গোশত কথা বলাঃ-


সায়্যিদুনা হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, খায়বার বাসিদের মধ্যে প্রথমে এক ইয়াহুদী রমনী ভুনাইকৃত ছাগলের মাংশের মধ্যে বিষ মিশ্রিত করে রাসূল (ﷺ)’র খিদমাতে হাদিয়া পেশ করল।


রাসূল (ﷺ) তা হতে খাওয়া শুরু করলেন এবং সাহাবাদের একটি জামা‘আতও খেতে শুরু করলেন। এরপর রাসূল (ﷺ) সাহাবাদের বললেন যে, খাওয়া থেকে বিরত থাক। আর ইয়াহুদী রমনীকে ডেকে বললেন-



سَمَمْتِ هَذِهِ الشَّاةَ؟



-‘তুমি এই ছাগলের মধ্যে বিষ মিশ্রিত করেছো? মহিলাটি বললঃ আপনাকে কে বলেছে? রাসূল (ﷺ) বললেন-



أَخْبَرَتْنِي هَذِه فِي يَدي للذِّراع



-‘এই ছাগলের বাহুটি যা আমার হাতে আছে, এটাই আমাকে বলেছে।’ তখন রমনীটি বললঃ আমি বললাম:



إِن كَانَ نَبيا فَلَنْ يضرّهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ نَبِيًّا اسْتَرَحْنَا مِنْهُ



যদি তিনি সত্য নাবী হন তবে এই বিষ তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি তিনি নাবী না হন তবে তাঁর থেকে আমরা মুক্তি লাভ করব।


রাসূল (ﷺ) তাকে ক্ষমা করে দিলেন, এবং কোন ধরনের শাস্তিও দিলেন না।  ১৫৮


{১৫৮. খতিব তিবরিযি, মিশকাত শরীফ, ৩/১৬৬৭ পৃ. হা/৫৯৩১, পরিচ্ছেদ: بَاب فِي المعجزات, সুনানে আবি দাউদ শরীফ, ৪/১৭৩ পৃ. হা/৪৫১০, সুনানে দারেমী, ১/২০৮ পৃ. হা/৬৯, ইমাম তাবরানী, মু‘জামুল কাবীর, ১৯/৭০ পৃ. হা/১৩৭, মুসন্নাফে আবদুর রায্যাক, ৬/৬৫ পৃ. হা/১০০১৯, ইবনে আছির, জামেউল উসূল, ১১/৩২৭ পৃ. হা/৮৮৮৮, হাইসামী, মাযমাউয যাওয়াইদ, ৮/২৯৬ পৃ. হা/১৪০৯২}



আক্বিদা


জীবজন্তুও নাবীপাক (ﷺ)’র গোলাম এবং খাদিম। আল্লাহ তা’আলা তাঁর প্রিয় রাসূল ( কে এমন শক্তি দান করেছেন যে, জবাই করা ছাগলের পাকানো গোশতও তাঁর সাথে কথা বলে আর রাসূল (ﷺ) তার কথা শুনেন।


ইয়াহুদি নবী করিম (ﷺ)’র এই কামালিয়াত এবং মহান মর্যাদা দেখে ইসলাম গ্রহণ করেছে।



❏কবি বলেন-



جن و  ملك ہي  ان كے سپاہى


رب كى خدائى ميں ان كى شاہى



“জ্বিন ও ফেরেশতাও তাঁর সৈনিক,


আল্লাহর জগতের মধ্যেই তাঁর বাদশাহী।”



প্রবল ঝড় দেখে মুনাফিকের মৃত্যু সংবাদ প্রদানঃ-


সায়্যিদুনা জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, একদিন নাবী কারিম (ﷺ) সফর থেকে পুনরায় ফিরে আসলেন। যখন মাদিনা মুনাওয়ারার নিকটবর্তী হলেন, প্রবল ঝড়ের উপক্রম হল। তিনি সাওয়ারগুলোকে দাঁড় করালেন, প্রবল এই ঝড় দেখে বললেন-



بُعِثَتْ هَذِهِ الرِّيحُ لِمَوْتِ مُنَافِقٍ . فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ فَإِذَا عَظِيمٌ مِنَ الْمُنَافِقين قد مَاتَ



-‘‘এই প্রবল ঝড়টি এক বড় মুনাফিকের মৃত্যুর জন্য প্রবাহিত হচ্ছে, আমরা যখন মাদিনা মুনাওয়ারায় আসলাম, জানা গেল যে এক বড় মুনাফিক মারা গেল।’’  ১৫৯


{১৫৯. খতিব তিবরিযি, মিশকাত শরীফ, ৩/১৬৫৫ পৃ:, হা/৫৯০০, ইমাম মুসলিম, আস-সহীহ, ৪/২১৪৫ পৃ. হা/২৭৮২, মুসনাদে ইমাম আহমদ, । মুসনাদে আবি ই‘য়ালা, ৪/২০১ পৃ. হা/২৩০৭, ইবনে আছির, জামেউল উসূল, ১১/৩২৭ পৃ. হা/৮৮৮৫, }



আক্বিদা


মুনাফিকের মৃত্যুর সংবাদ দেয়া এটা নাবী কারিম (ﷺ)’র ইলমে গায়ব সমূহের মধ্যে একটি। নাবী কারিম (ﷺ) যে রকম বলেছেন সে রকম হওয়াকে সাহাবায়ে কেরাম (رضي الله عنه) গণ সত্যায়ন করেছেন, যেটি ছিল তাঁদের আক্বিদা স্পষ্ট দলিল।


____________________

আকাইদে সাহাবাহ

(সাহাবায়ে কিরামদের সাথে সুন্নি আক্বিদার সাদৃশ্য)

মূল:আল্লামা আবুল হামিদ মুহাম্মদ যিয়াউল্লাহ

ক্বাদেরী আশরাফী (رحمة الله)

বঙ্গানুবাদ: মাওলানা হাফেয মুহাম্মদ আতিকুর রহমান

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন