শরীয়ত প্রণেতা এবং উম্মতের দরদি-
❏ ইমাম বুখারী, তাবরানী (رحمة الله)সহ আরও অনেকে সংকলন করেন-
عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ مَعَ كُلِّ وُضُوءٍ
-‘‘হযরত আলী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, আমি যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টের খেয়াল না করতাম, তাহলে আমি তাদের প্রত্যেক ওযূর সাথে মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।’’ ৫০
{৫০ . ইমাম তাবরানী, মু‘জামুল আওসাত, ২/৫৭ পৃ. হা/১২৩৮, ইমাম মুনযিরী, তারগীব ওয়াত তারহীব, ১/১০০ পৃ. হা/৩২০, তিনি বলেন- بِإِسْنَاد حسن -‘‘এ সনদটি ‘হাসান’।}
আক্বিদা
এ হাদিস থেকে বুঝা গেল শরিয়তের যে কোন ফরজ, ওয়াজিব, হালাল, হারাম ইত্যাদি বিষয়ের আদেশ দেওয়ার ইখতিয়ার রাসূল (ﷺ)-এর রয়েছে, আর এ কারনেই তিনি উম্মতের জন্য কঠিন হবে বলে প্রত্যেক ওযূর সাথে মিসওয়াককে আবশ্যক করেননি। ৫১
{৫১ . সম্পাদক কর্তৃক সংযোজিত।}
জানাযার নামাযের পর দোয়া করা-
❏ ইমাম বায়হাকী (رحمة الله) সংকলন করেন-
عَنِ الْمُسْتَظِلِّ، أَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: صَلَّى عَلَى جِنَازَةٍ بَعْدَ مَا صُلِّيَ عَلَيْهَا
-‘‘হযরত মুসতাযিল ইবনে হুসাইন (رحمة الله) বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই আলী (رضي الله عنه) এক জানাযার নামায আদায় করেন অতঃপর আবার তার জন্যে দোয়া করেন।’’ ৫২
{৫২. ইমাম বায়হাকী, আস-সুনানিল কোবরা, ৪/৭৪ পৃ. হা/৬৯৯৬।}
আক্বিদা
এ হাদিস থেকে বুঝা গেল খুলাফায়ে রাশেদীনগণ জানাযার পর দোয়া করতেন ও এটাকে উত্তম মনে করতেন এবং মৃত ব্যক্তির জন্য উপকারি মনে করতেন। ৫৩
{৫৩ . সম্পাদক কর্তৃক সংযোজিত।}
____________________
আকাইদে সাহাবাহ
(সাহাবায়ে কিরামদের সাথে সুন্নি আক্বিদার সাদৃশ্য)
মূল:আল্লামা আবুল হামিদ মুহাম্মদ যিয়াউল্লাহ
ক্বাদেরী আশরাফী (رحمة الله)
বঙ্গানুবাদ: মাওলানা হাফেয মুহাম্মদ আতিকুর রহমান
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন