‘ক্বুল’ (বলুন) শব্দটির ব্যবহার দ্বারা খোদায়ী আজ্ঞার গুরুত্ব ও তাৎপর্য বৃদ্ধি
মহান আল্লাহতা’লার বাণী মানবজাতির কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে রাসূলুল্লাহ (দ;)-এর মাধ্যমে। কোনো বিশেষ আজ্ঞার গুরুত্ব ও তাৎপর্যের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণের প্রয়োজন হওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু দিক আছে। এই উদ্দেশ্যেই ‘বলুন’ শব্দটি প্রয়োগ করা হয়েছে। আল্লাহতা’লার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এটা মহানবী (ﷺ)-এর কর্তৃত্বের ইঙ্গিত বহন করে। নিঃসন্দেহে আল-ক্বুরআনে ’বলুন’ শব্দটির ব্যবহারে অনেক হেকমত তথা জ্ঞান রয়েছে; যেমন আমরা যদি “আপনি বলুন, ‘আল্লাহরই অনুগ্রহ ও তাঁরই দয়া (মুসলমানদের প্রতি, যা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামকে রাসূল করে প্রেরণের কারণে বর্ষিত হয়েছে), সেটারই ওপর তাদের আনন্দ প্রকাশ করা উচিত।” – শীর্ষক আয়াতটি নিয়ে ভাবি, তাহলে তা থেকে অনেক জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম হবো। আল্লাহতা’লা ‘বলুন’ শব্দটি ছাড়াই এ আয়াতটি নাযেল করতে পারতেন, যথা – “হে মানবকুল! আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁরই দয়ায় তোমরা আনন্দ প্রকাশ করো।” কিন্তু তিনি তা করেননি, বরঞ্চ তিনি এরশাদ ফরমান, “হে মাহবূব! আপনারই পবিত্র জবান মোবারক দ্বারা তাদের জানিয়ে দিন যে আল্লাহতা’লার অনুগ্রহ ও দয়াপ্রাপ্তিতে তাদের আনন্দ প্রকাশ করা উচিত।”
এমতাবস্থায় মনে একটি প্রশ্নের উদয় হয়: এই নেয়ামত/বরকত/আশীর্বাদ যিনি মঞ্জুর করেছেন তিনি স্বয়ং খোদাতা’লা, আর যারা এতে খুশি প্রকাশ করার কথা তারা তাঁরই বান্দা। তাহলে আল্লাহ পাক কেন মহানবী (ﷺ)-এর পবিত্র জবান মোবারক দ্বারা নিজের ঈমানদার বান্দাদের আপন রহমত/আশীর্বাদ উদযাপন করার আদেশ করেছেন? তিনি তো নিজেই তাদেরকে নির্দেশ দিতে পারতেন, যেমনটি তিনি আপন নেয়ামতের স্মরণ করিয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন পূর্ববর্তী জাতিগুলোকে। এই প্রশ্নের উত্তর খোদ আয়াতটিতেই বিধৃত হয়েছে; অর্থাৎ, এর দ্বারা ঈমানদার মুসলমানদের দেখানো হয়েছে যে তারা এসব রহমত/আশীর্বাদ লাভ করেছে মহানবী (ﷺ)-এর মহাসম্মানিত সত্তা মোবারকের মাধ্যমে এবং তাঁরই আল্লাহর রাসূল হিসেবে প্রেরিত হওয়ার দরুন।
__________________
মওলিদুন্নবী (ﷺ)-এর উদযাপন ও অনুমতি (১ম খণ্ড)
মূল: শায়খুল ইসলাম ড: মুহাম্মদ তাহিরুল কাদেরী
অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন