ইসমাঈল দেহলভীর আকিদাঃ
মৌ: ইসমাঈল দেহলভী হলেন,"তাকৃভীয়াতুল ঈমান"গ্রন্থের লেখক। এ কিতাব মারাত্বক ঈমান বিধ্বংসকারী। অথচ এ কিতাব' খুবই উত্তম' বলে, তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মৌ: ইলিয়াস। সাহেবের পীর মৌ: রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী অভিমত দিয়েছেন এবং এ কিতাব"নিজের কাছে রাখা, পড়া ও কিতাব অনুযায়ী আমল করা প্রকৃত ইসলাম"-এমন উপদেশ দিয়েছেন। (ফতােয়ায়ে রশীদিয়া, পৃ: ৭৮)।
এখন দেখি"তাকৃভীয়াতুল ঈমান"গ্রন্থে তাদের প্রকৃত ইসলামের কিছু নমুনাঃ-
১। উক্ত কিতাবের পৃ: ২৩-"বিশ্বাস রাখাে যে, প্রত্যেক ব্যক্তি চাই সে যত বড় মানুষই হােক বা যত নৈকট্যশীল ফেরেশতাই হােক না কেন-আল্লাহর শানের মােকাবেলায় তাঁরা চামার থেকেও বেশী নিকৃষ্ট।"(নাউযুবিল্লাহ)
মন্তব্যঃ ইহা নবী অলীদের শানে অত্যন্ত বেয়াদবীপূর্ণ ও মন্তব্য: অবমাননাকর উক্তি।
২। পৃষ্ঠা: ৫১ যার নাম মুহাম্মদ অথবা আলী তাদের (শরীয়তে) কোন কথা বলার অধিকার নেই। (নাউযুবিল্লাহ)
৩। পৃষ্ঠা: ৬৯-রাসূলের চাওয়ায় কিছুই হয় না। (নাউযুবিল্লাহ)
৪। পৃষ্ঠা: ৩৫"বান্দার সাথে আল্লাহ পাক দুনিয়াতে, কবরে ও পরকালে কি ব্যবহার করবেন তা কেহ জানে না, এমনকি কোন নবী অলীও জানেন না যে, তার নিজের সাথে বা অপরের সাথে কিরূপ ব্যবহার করা হবে।"(নাউযুবিল্লাহ)।
৫। পৃষ্ঠা: ৭১ সমস্ত মানুষ পরস্পর ভাই ভাই। বড় বুযুর্গ বড় ভাই, সুতরাং তাকে বড় ভাইয়ের মত সম্মান করবে। আল্লাহর যত নৈকট্যশীল বান্দা-চাই সে নবী হােক বা অলী হােক সবই আল্লাহর অক্ষম বান্দা ছিলেন এবং আমাদের ভাই। আল্লাহ তাদেরকে বড় করেছেন। ভাই। (নাউযুবিল্লাহ)
৬। পৃষ্ঠা: ১৬-আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করলে মুহাম্মদ (ﷺ)-এর সমকক্ষ কোটি কোটি পয়দা করতে পারেন।
৭। পৃষ্ঠা: ৬১-নবীর মর্যাদা উম্মতের মধ্যে গ্রামের চৌদুরী ও জমিদারের মত। (নাউযুবিল্লাহ)
৮। পৃষ্ঠা: ৭৫-কোন বুযুর্গ ব্যক্তির শান বর্ণনা করার ব্যাপারে জবান সংযত করে কথা বলতে হবে। মানুষ হিসেবে তাদের প্রশংসা কর-বরং তার চেয়েও কম কর।
৯। পৃষ্ঠা: ১৯ * সফর করে যাওয়া"কবর অথবা মাজার যিয়ারতের জন্য দূর থেকে প্রকাশ্য শিক।"
***মন্তব্যঃ-তাহলে বুঝা গেল যাৱা না গলাদের মাজার যিয়ারত করে তারা মুশরিক। (নাউযুবিল্লাহ) অথচ মাজার যিয়ারত কুরআন-হাদীসের আলােকে জায়েয। মাযার অর্থই হলাে-যিয়ারতের স্থান। কুরআনে আহসাবে কাহফনের গুহা/ মাযারের পাশে যিয়ারতকারীদের জন্য মসজিদ নির্মাণের কথা রয়েছে। (সূরা-কাহফঃ ২১)
১০। তার"সিরাতুল মুস্তাকিম"কিতাবের ১১৮ নং পৃষ্ঠায় রয়েছে-নামাজে পীর বা কোন মহিমান্বিত ব্যক্তি, এমনকি হুজুর (ﷺ)-এর প্রতি খেয়াল করা নিজের গরু-গাধার প্রতি খেয়াল করা অপেক্ষা নিকৃষ্টতর। (নাউযুবিল্লাহ)
১১। তার তাকবীয়াতুল ঈমান গ্রন্থের ৬১ নং পৃষ্ঠায় হুজুর (ﷺ)-এর প্রতি সম্পৃক্ত করে লিখেছেন"আমিও একদিন মরে মাটিতে মিশে যাব।"(নাউযুবিল্লাহ) অথচ এমন হাদীসের কোনই অস্তিত্ব নেই।
১২। উক্ত ইসমাঈল দেহলভী"রেসালা-ই এক রােযাহ, ফার্সী গ্রন্থের ১৭ নং পৃষ্ঠায়-"আল্লাহ্ তা'আলা মিথ্যা বলতে পারেন"বলে দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ)
===
উপরােক্ত বর্ণনা দ্বারা বুঝা গেলো মৌ: ইসমাঈল দেহলভী সাহেব কি পরিমাণ নবী অলী বিদ্বেষী ছিলেন।
__________________
কিতাবঃ ইসলামী তাবলিগ বনাম বর্তমান তাবলিগ
সংকলকঃ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আলম (অবঃ)
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন