৩৮
ব্যান্ডেজের ওপর মসেহ ওয়াজিব কি না?
بيان ان المسح على الجبائر واجب ام لا
ذكر فى ظاهر الرواية وقال اذا ترك المسح على الجبائر وذلك يضره جاز عند ابى حنيفةؒ-وقال اذا كان لايضره لايجزئه .
وبعض مشائخنا قالوا : ان القول مثل قولهما فى ان المسح على الجبائر واجب عند تعذر الغسل وانما يسقط اذا كان المسح يضره – لما روينا من الحديث ان النبى ﷺ امر بالمسح على الجبائر .
وظاهر الامر لوجوب العمل – الا انه اذا كان يخاف الضرر فى المسح يسقط لان الغسل يسقط عند خوف زيادة الضرر – فالمسح اولى ان يسقط. وبعض مشائخنا قالوا بان المسألة على الخلاف على قول ابى حنيفةؒ المسح على الجبائر مستحب وليس بواجب وعند هما واجب .
وكذا ذكر هذا فى الكتاب – ولكن القول الاوّل اصح ولوترك المسح على بعض الجبائر ومسح على البعض لم يذكر هذا فى ظاهر الرواية .
জাহেরুর রেওয়ায়তে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, মসেহ বর্জন করে ক্ষতির সম্মুখীন হলে, ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) এর মতে মসেহ বৈধ হবে; সাহেবাইনের মতে ক্ষতি না হলে যথেষ্ট বা বৈধ হবে না। হানাফি মাজহাবের কতিপয় ইমাম বলেন, ইমাম আজম ও সাহেবাইনের অভিমতে কোন পার্থক্য নেই। অবশ্যই ধৌত করতে অপারগ হলে ব্যান্ডেজের ওপর মসেহ করা ওয়াজিব হয়। তাহাও (মসেহ) ক্ষতি হলে রহিত হয়। কেননা আমাদের বর্ণিত হাদীসে নবী করিম (ﷺ) নির্দেশ দিয়েছেন পট্টীর ওপর মসেহ করতে। প্রকাশ্যভাবে নির্দেশ মোতাবেক আমল করা ওয়াজিব। তবে মাসেহ এর মধ্যে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে রহিত হয়ে যাবে। যেমন ক্ষতির ভয়ে ধৌত করা রহিত হয়েছে অনুরূপ মসেহ রহিত হওয়া অধিক যুক্তি সংগত। কতিপয় হানাফী শেখ বলেন, পট্টীর ওপর মসেহ করার মাসআলাটি মতবিরোধ মাসআলা। ইমাম আবু হানিফার মতে মসেহ করা মুস্তাহাব, ওয়াজিব নয়; সাহেবাইনের মতে ওয়াজিব। অনেক কিতাবে এরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু প্রথম উক্তি অধিক বিশুদ্ধ। যদি ব্যান্ডেজের কিছু অংশে মসেহ করে বাকী অংশ বর্জন করলে- এ সম্পর্কে জাহের রেওয়ায়তে বর্ণনা করেননি।
__________________
কুররাতুল উয়ুন লিমানিল মুমিনুনাল মুখলিছুন
রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী (رحمة الله)
অনুবাদ: এম. এম. মহিউদ্দীন
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন